নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করতে দলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
Published : 17 Aug 2013, 11:02 AM
শনিবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই বৈঠকের পরদিন ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিরোধীদলীয় নেতা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামসুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত রয়েছেন।
রাত সোয়া ৯টায় এই বৈঠক শুরুর আগে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনের কর্মসূচি ও করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। রোববার রাতে ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতার বৈঠকে কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঈদের পর জোরদার আন্দোলনের ঘোষণা রয়েছে বিরোধী দলের। তার কর্মসূচি ঘোষণার আগে এই দুটি বৈঠক করছেন খালেদা।
বিএনপি নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা চাইলেও অনির্বাচিত কারো কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
বিএনপির দাবি, সংবিধান সংশোধন করে আগের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হবে।
আগামী অক্টোবর মাসে নবম সংসদের সমাপণী ঘটার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রয়েছে। বিরোধী দলের কোনো প্রস্তাব থাকলে তা সংসদে উত্থাপন করতে সরকারি দলের নেতারা আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
তবে বিরোধী দল বলছে, তারা কোনো প্রস্তাব দেবে না। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা আওয়ামী লীগকেই উদ্যোগ নিয়ে সংসদে বিল তুলে তা পাস করতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইতোমধ্যে বলেছেন, সংসদের মেয়াদ শেষের আগেই সরকার যদি বিল উপস্থাপনের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে তাদের আন্দোলন ছাড়া বিকল্প থাকবে না।
“আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট- আগামী নির্বাচন কোনো দলীয় সরকারের অধীনে হতে পারবে না,” হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন তিনি।
‘আন্দোলন করে কোনো ফল আসবে না’- সরকারি দলের নেতাদের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে অস্থিরতার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
আর তা হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে- বলছেন বিরোধী নেতারা। অন্যদিকে সরকারি দলের নেতারা বিরোধী দলের উদ্দেশে বলছেন, এমন কোনো পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি করা না হয়, যাতে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।