somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম নিয়ে লেখা… প্লীজ পুরোটা পড়ুন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তখন ফেসবুকে আমি খুব ভদ্র ছিলাম, আপনিও খুব ভদ্র ছিলেন। হঠাৎ একদিন আপনি আমার ধর্মকে উদ্দেশ্য করে গালি দিয়ে দিলেন…
আমি পড়লাম। খারাপ লাগলো, মনে ক্ষোভও জাগলো।
আমিও আপনার ধর্মকে গালি দিলাম।
শুরু হলো তর্ক, শুরু হলো একের পর এক ধর্মের ভুল ধরা, শুরু হলো গালির ঝড়, অনেকেই এতে যোগ দিলো। শুরু হলো গন্ডগোল, শুরু হলো যুদ্ধ।
তখন শুধু আপনি/আপনারা না, আপনাদের ধর্মটাই আমার কাছে হয়ে গেলো সবচেয়ে বিরক্তিকর/খারাপ লাগার বিষয়। দুচোক্ষে না দেখতে পারার মতো। আপনারো ঠিক একই অবস্থা। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া আমাদের বাড়তেই থাকলো। অনেক ভালো বন্ধু শত্রুতে পরিনতো হইলো। আমাদের দুজনেরই বিপরীত ধর্মের প্রতি হিংসা বাড়তেই থাকলো। আমি শেষমেষ আপনার সাধের আইডিটা হ্যাক করে নস্টই করে দিলাম। আপনার খারাপ লাগলো আর আপনিও রেগে গিয়ে আমার সাধের আইডিটাও দিলেন নস্ট করে। ব্যাস সব খতম…
এরপর আমি আর আপনি দুজনেই পেজ খুললাম। আসর বড় হইলো, গালিবাজদের সংখ্যা বাড়তে লাগলো। বেপারটা কিছুটা অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গেলো। আমাদের স্বাভাবিক জীবনে এটা নিয়ে আমাদেরকে অনেক সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে হলো। কিন্তু তবুও আমরা শান্ত হতে পারলাম না। অতঃপর সারাজীবন অন্য ধর্মের ভুল ধরে, অপমান করে, নিচু করে, গালি দিয়েই আমাদের দুজনের লাইফটাই শেষ করে দিলাম। আমরা শুধু একটা জিনিসই জানি যে আমাদেরকে জান্নাতে যেতে হলে বিধর্মিদেরকে গালি দিতে হবে, মারতে হবে, ওদের ধর্মকে শেষ করে দিতে হবে, যুদ্ধ করতে হবে। আমরা তখন আর কন মানুষকে ভালো খারাপ দিয়ে বিচার করতাম না, ধর্ম দিয়ে বিচার করতাম।

আচ্ছা এই যে ভাইয়া আপনাকে বলছি, একটু আমাকে বুঝাবেন। এই যে আমরা ঝগড়া করতেছি, মারামারি করতেছি, গালাগালি করতেছি এতে আমাদের লাভটা কথায়?? এতে আমাদের নিজেদের কি পুন্যটা হলো, আমরা এসব করে দেশকে অথবা দশকে কি দিলাম। এই জিনিসটা বুঝান আমাকে যে আমরা ধর্মের ভুল ধরে, ধর্মকে গালি দিয়ে কি বিশাল পুন্যের কাজ করে ফেললাম।

আর ভাইয়া এসব করতে আপনাকে কে বলছে বলেন তো?? নিশ্চই ঈশ্বর নন। তার ইচ্ছাতেই সব কিছু হচ্ছে, এতো এতো ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে তারই ইচ্ছাতে। তিনি কি ইচ্ছা করলে পৃথিবীতে একটা ধর্মই রাখতে পারতেন না, অবশ্যই পারতেন, কিন্তু তিনি সেটা করেন নি। তিনি চেয়েছেন পৃথিবীটাকে বৈচিত্রময় করে তুলতে, রঙীন করে তুলতে। আর তাই এতো ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে। সব তারই ইচ্ছা। আর ঈশ্বরের সৃষ্টিতে হাত দেওয়ার বিন্দুমাত্র অধিকার আপনার নেই।

আর পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু জন্মগত ভাবেই নিজ নিজ ধর্মকে পালন করে আসছে। আমিতো ভাইয়া মুসলিম ঘরেও জন্ম নিতে পারতাম, আর আপনি হিন্দু ঘরে। তখনও কি আপনি হিন্দু ধর্মকে গালি দিতেন??
আবার আমিতো আপনার পরিবারেও জন্ম নিতে পারতাম আর আপনি আমার পরিবারে। তখনও কি আপনি আমার বাবাকে গালি দিতেন???
গালি দিয়ে নয়, তর্ক করে নয়, মারামারি করে নয়, ধর্মটাকে চিনুন মন থেকে, জানুন মন দিয়ে, জানান মন থেকে। ধর্ম হলো মানুষকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার একটা পথ। আর এর বিপরীত কোন ধর্মেই লিখা নেই। তাই এসব করে নিজেরসহ আরো দশজনের পাপের বোঝা বাড়াবেন না দয়াকরে। ভাল থাকবেন।
আর আশাকরি আমার পোষ্টটি বুঝতে পেরেছেন। আর কেনই বা বুঝবেন না। অবশ্যই বুঝবেন, কারন আপনি একজন মানুষ। এটা বোঝার শক্তি+জ্ঞান দুটোই আপনার রয়েছে। আর ভাইয়া শুধু নিজে বুঝলে হবে না, মানূষকেও বোঝাতে হবে। তাই যত পারেন পোষ্টটি শেয়ার করুন।

মোবাইল দিয়ে বাংলিশ কনভার্ট করে লিখছি। লিখতে অনেক কষ্ট হইছে এবং হয়তো অনেক ভুলও হইছে। ভুলগুলো দয়াকরে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×