somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান
চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। তারপর গল্প, উপন্যাস। এ যাবত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা-২১ টি।

দাগ-১২ (এই দাগ হৃদয়ের, এই দাগ সমাজের)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উর্মী এ্যালবামের একটা ছবি উল্টাল। তার বিয়ের ছবি। ছবির উপর বড় বড় করে লিখা আছে শুভ বিবাহ। উর্মী একটা শুষ্ক হাসি হেসে আপন মনে বলল, আসলে বিবাহ’র আগে শুভ কথাটা যে কে বসিয়েছে তা কেউ খোঁজাখুুঁজি করেনি, হবে হয়ত কোন ভাগ্যবান কিংবা ভাগ্যবতী যে জীবনে বিয়েই করেনি বা যার জীবনে বিয়েটা শুভ হয়েছিল কিন্তু তেমন ভাগ্য ক’জনের?
উর্মী আরেকটা ছবি উল্টাল। তার বাসর রাতের ছবি। বাসর রাত তার জীবনের সবচেয়ে কলংকিত রাত। এ রাতের কথা মনে পড়লে আজও তার হৃদয় ভেঙ্গে যায়। মায়া বুকের মধ্যে মামুনের ছবি নিয়ে বউ সেজে রাসেলের জন্য অপেক্ষা করছিল। তার দু’চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। রাসেল ঘরে ঢুকেছিল। মায়া বউ সেজে বসে আছে আর রাসেল তার থুতনি উঁচু করে ধরে আছে। উর্মীর আজও মনে পড়ে যে মুহূর্তে ছবিটা তোলা হয়েছে সে মুহূর্তে রাসেল বলেছিল তুমি খুব সুন্দর, আমি খুব ভাগ্যবান যে তোমার মতো বউ পেয়েছি।
হয়ত রাসেলের কথাগুলো ছিল মায়াকে খুশি করার জন্য কিংবা বাসর রাতে এমন কথা বলতে হয় তাই বলেছিল।
মায়ার খুব ভয় হচ্ছিল, যেন কাঁপছিল।
রাসেল জিজ্ঞেস করেছিল, মায়া কি হয়েছে? কাঁপছ কেন?
আমার খুব ভয় করছে।
কেন? আমি কি বাঘ না ভল্লুক?
মায়া মনে মনে বলেছিল, তুমি বাঘ, ভল্লুক না, তুমি কসাই। বাঘ কিংবা ভল্লুক হলে একেবারে খেয়ে ফেলত আমি মরে গিয়ে বাঁচতাম কিন্তু তুমি কসাই, তুমি আমাকে জবাই করবে, নিজের পছন্দ মতো করে সারাজীবন আমাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে।
রাসেল মায়ার ঘোমটা তুলে জিজ্ঞেস করেছিল, মায়া আমাকে কি তোমার পছন্দ হয়েছে?
মায়া মনে মনে বলেছিল, আমার পছন্দ-অপছন্দে কি যায় আসে? তুমি আমাকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছ আমি তোমার বউ। আমার পছন্দ-অপছন্দের কথা তোমার জানা উচিত ছিল বিয়ের আগে। এখন তোমাকে আমার পছন্দ না হলেই বা তুমি কি করবে?
মায়া মুখে কিছু বলেনি।
রাসেল মায়াকে বিছানায় শুইয়ে দিয়েছিল। মায়া বলেছিল, আজ না প্লিজ।
রাসেল বলেছিল, কেন?
মায়ার দু’চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়েছিল, আমার খুব ভয় করছে।
রাসেল বলেছিল, না কোন ভয় নাই।
রাসেল মায়ার কোন কথাই শোনেনি। বিয়ের প্রথম রাতেই মায়া তার ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে রাসেলের কাছে সমর্পন করেছিল। জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় রাতটি মায়ার জন্য ছিল কলংকের এবং বেদনার রাত।
মায়ার জীবনে শুরু হয়েছিল এক নতুন অধ্যায়। তার সব সময় মামুনের কথা মনে পড়ত, সে মুখ ভার করে বসে থাকত। তার এই মুখ গম্ভীর করে বসে থাকাকে সবাই খুব অস্বাভাবিকমনে করতো, তার শ্বাশুড়ী বলতো, নতুন বউ, ছোট মেয়ে সব সময় বাবা-মা’র কথা মনে পড়ে।
কয়েকদিন পর বাবার বাড়ী থেকে লতা, তার চাচাত ভাই-বোন এবং আরো অনেকে তাকে এবং নতুন জামাইকে নিয়ে গিয়েছিল। লতার মুখ দেখে মায়ার মুখ একটা অজানা আশংকায় শংকিত হয়ে গিয়েছিল, অনেকদিন থেকে একের পর এক শুধু দুসংবাদ, আবার নতুন কোন দুঃসংবাদ নাই তো।
মায়া লতাকে জিজ্ঞেস করেছিল, লতা কি হয়েছে রে? নতুন কোন খারাপ খবর আছে নাকি?
লতা মাথা বাঁকিয়ে না সুচক জবাব দিয়েছিল।
কিন্তু মায়ার আশংকা কাটেনি। তার সব সময় মনে হচ্ছিল লতা হয়ত তার কাছে কিছু লুকাচ্ছিল।
বাবার বাড়ীতে ফিরে রাতে খাবার-দাবার শেষ করে মায়া লতাকে জিজ্ঞেস করেছিল, লতা মামুন কি তোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল?
মায়া কোন জবাব দেয়নি তার দু’চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল।
মায়া উত্তেজিত হয়ে বলেছিল, লতা লুকাচ্ছিস কেন? আমাকে সত্যি করে বল্ তো কি হয়েছে?
লতা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেছিল, মায়া মামুন ভাই আর নাই।
মায়া অষ্ফুটস্বরেবলেছিল, নাই মানে?
তোর বিয়ের কথা শুনে মামুন ভাই একসঙ্গে অনেকগুলো ঘুমের ঔষধ খেয়েছিল, তারপর সেই যে ঘুমিয়েছে আর ঘুম ভাঙ্গেনি।
মায়া হাউ মাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল।
লতা তাড়াতাড়ি করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে মায়ার মুখে রুমাল চেপে ধরেছিল, মায়া চুপ কর। দুলাভাই শুনলে কি মনে করবে?
মায়া কাঁদছিল আর আপন মনে বিড় বিড় করে বলেই চলছিল, শুধু নিজে চলে গেলি, আমাকে নিয়ে গেলি না কেন মামুন? তোর স্মৃতি আমার বুকে রেখে আমি কিভাব বাঁচবো? তুই আমাকে এমন শাস্তি দিলি। তুই বলতিস্ আমার জন্য তুই সব করতে পারবি, আমি মনে করতাম এটা তোর আবেগের কথা, শেষ পর্যন্ত তুই তোর কথা রাখলি, আমি এখন কি করব মামুন?
মায়ার বিবেক যেন তাকে ধিক্কার দিয়েছিল, তুমি কি করবে মানে তুমি তো স্বামীসংসার নিয়ে সুখেই আছ, তোমার আবার চিন্তা কি?
লতা মায়ার চোখ মুছে দিয়েছিল, মায়া চুপ কর, কেঁদে আর কি হবে? সবাই জানলে আরও কেলেংকারী হবে, এমনি বাবা আমাদের বিদায় করতে পারলে বাঁচে, মামুন তোকে হারিয়ে জীবন দিয়েছে একথা সবাই জানলে কথাটা একদিন দুলাভাই এবং তোর শ্বশুর বাড়ীর আত্মীয়-স্বজনদেরকানে যাবে, তোর ঘর ভাঙবে। প্লিজ মায়া চুপ কর।
সে যাত্রায় রাসেল কিছু জানতে পারেনি কিন্তু ধীরে ধীরে কানাকানি করতে করতে একদিন রাসেল কথাটা জেনে ফেলেছিল।
খুব শান্ত এবং গম্ভীর কন্ঠে মায়াকে জিজ্ঞেস করেছিল, মায়া তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে?
রাসেলকে মায়া কখনো এত শান্ত এবং গম্ভীর দেখেনি সে কিছুটা অবাক হয়েছিল, রাসেল তোমার কি হয়েছে? আমাকে বলতো?
হ্যাঁ বলবই তো।
বেশ বল।
মায়া মামুন কি তোমাকে ভালবাসতো?
হ্যাঁ।
তুমি।
আমিও।
তবে আমাকে বিয়ে করলে কেন?
আমার কপালে তুমিই ছিলে তাই।
মায়া মামুন আত্মহত্যা করেছে, তুমি নিশ্চয়ই জানো?
জানি।
মায়া তুমি কি এখনো মামুনকে ভালবাস?
মায়া রুদ্ধ কন্ঠে বলেছিল, সে তো মরে গেছে, সে এখন সমস্ত কিছুর অতীত, থাক না ওর কথা, তুমি কিছু মনে কর না প্লিজ।
রাসেল কিছু বলেনি।
মায়া বলেছিল, তুমি আমার স্বাম, আমার আর কেউ নাই, আমি আর কাউকে নিয়ে ভাবতে চাই না। প্লিজ তুমি আমাকে ভুল বুঝ না।
রাসেল মায়াকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিল, মায়া তুমি খুব ভাল মেয়ে। আমি কিচ্ছু মনে করিনি মায়া বিয়ের আগে সবারই পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে, সেটা মন থেকে মুছে ফেলতে হয়।
আমি তোমার মতো একজন স্বামীপেয়েছি, তুমিই আমার মন থেকে মামুনের স্মৃতি মুছে দিতে পারবে।
রাসেলের সঙ্গে মায়ার দিন বেশ ভালভাবেই কেটে যাচ্ছিল।
বিয়ের আগে মায়া শুনেছিল, রাসেল ব্যবসা করে কিন্তু বিয়ের পর মায়া কোনদিন রাসেলকে কোথায় যেতে দেখেনি, রাসেল প্রতিদিন দেরিতে ঘুম থেকে উঠে তারপর বাড়ীর পাশে ছোট বাজারে আড্ডা দিয়ে এসে দুপুরে ভাত খায় তারপর একটা লম্বাঘুম, বিকেলবেলা আবার কোনদিন বাজার করতে যেত, কোনদিন ঘুরে বেড়াত। মায়ার মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল, রাসেল কিসের ব্যবসা করে?
একদিন মায়া রাসেলকে জিজ্ঞেস করেছিল, রাসেল তোমার ব্যবসা কেমন চলছে?
রাসেল চমকে উঠেছিল, ওহ ব্যবসা? ভাল না।
কেন?
আসলে ব্যবসাটা নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে।
কি সমস্যা?
আসলে আগে ভালই চলছিল, হঠাৎ করে একটা কাজে ব্যবসার কিছু ক্যাশ ঘাটতি হয়েছে।
আবার চালু কর।
আবার চালু করতে টাকা লাগবে।
টাকার ব্যবস্থা কর?
কি ব্যবস্থা করব?
আমি নতুন, আমি তো তোমাদের বাড়ীর কিছু জানি না, যেমন করেই হোক তোমার ব্যবসাটা আবার শুরু করা দরকার।
হ্যাঁ সেটা তো বুঝছি কিন্তু টাকা না হলে তো ব্যবসাটা শুরু করা যাচ্ছে না।
আমাদের বিয়ের সময় তো তোমার মোটর সাইকেল ডিমান্ড হয়েছিল তুমি তো মোটর সাইকেল না নিয়ে টাকা নিলে, ফ্রিজ, কালার টি.ভি সবকিছু তোমাদের আগে থেকেই আছে সেগুলোরও তো টাকা নিলে এতগুলো টাকা কি করলে?
লোন ছিল, লোন শোধ করতে সব টাকা শেষ হয়ে গেছে।
মায়ার দু’চোখ পানিতে ভিজে গিয়েছিল, রাসেল আমাদের গ্রামের সবাই জানে তুমি ধনী লোকের ছেলে, বড় ব্যবসা কর। এখন সবাই যদি জানে তোমার ব্যবসা ভাল চলছে না, তুমি হাত-পা গুটিয়ে বসে আছ তবে সবার কাছে আমি কি জবাব দিব?
রাসেল বলেছিল, তুমি কিছু ভেবো না মায়া সব ঠিক হয়ে যাবে।
মায়া কিছু বলেনি।
রাসেলের বড় বোন রেহানার পাশের বাড়ীতে চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে রেহানা সবার বড়, রাসেল মেজো, সবার ছোট বোন সোহানা। রাসেলের বয়স যখন দশ বছর তখন তার বাবা মারা যায়, তখন থেকে তার মা আর রেহানা সংসার চালিয়েছে তাই মা তার তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে যেন রেহানাকে বেশি স্নেহ করে। আর সে সুযোগে রেহানা খুব ছোট-খাট কারণে বাবার বাড়ীতে চলে আসে এবং বাবার বাড়ীর সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে। মায়া শুনেছিল রাসেলের বিয়ের জন্য রেহানা অসংখ্য মেয়ে দেখেছিল কিন্তু কোথাও কনে পছন্দ হয়নি। আদৌ মায়াকে পছন্দ হয়েছিল কি না তা জানা যায়নি, মায়াকে পছন্দ হওয়ার কারণ হতে পারে যৌতুকের পরিমান।
মায়ার বিয়ের পর রেহানার বাবার বাড়ীতে আসা আরো বেড়ে গিয়েছিল। পাশেই শ্বশুরবাড়ী হওয়ায় সে অপ্রত্যাশিতভাবে সব সময় বাবার বাড়ীতে এসে যেন বাবার সংসার দেখাশুনা করতো, মায়া কিভাবে চলবে, শ্বাশুড়ীকে কিভাবে সম্মান করবে, রাসেল কিভাবে বউকে শাসন করবে এসবের প্রেসক্রিপশন দিয়ে যেত। তবে আগে যেন মায়ার প্রতি তার এক ধরনের স্নেহ কাজ করতো। কিন্তু বিয়ের কয়েকমাস পর থেকে রেহানার ব্যবহার যেন বদলে গিয়েছিল। বাবার বাড়ীতে এলে মায়ার সঙ্গে খুব একটা কথা বলতো না। তার মা’র সঙ্গে কথা বলতো, রাসেলকে আড়ালে ডেকে নিয়ে এদিক-সেদিক তাকিয়ে ফিস্ফিস্ করে কথা বলতো মায়া বুঝতে পারতো তার কথাই হয় কিন্তু মায়া মুখ ফুটে কিছু বলতো না।
একদিন বিকেলবেলা রেহানা মায়ার রুমে ঢুকেছিল।
তখন রাসেল বাড়ীতে ছিল না।
মায়া কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিল, আপনি?
হ্যাঁ, অবাক হয়েছ মনে হয়।
না ঠিক তা না, আসলে আপনি কোনদিন আমার ঘরে আসেন না তো।
হ্যাঁ তোমার সঙ্গে একটা বিষয়ে আলাপ করতে আসলাম।
আলাপ, আমার সঙ্গে?
হ্যাঁ কেন? তোমার সঙ্গে আলাপ করতে হবে না, তুমি এ বাড়ীর বউ না?
মায়া একটা ঢোক গিলে বলেছিল, না মানে।
রেহানা বলেছিল, মায়া তুমি তো দেখছ রাসেলের ব্যবসায় অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে এখন ব্যবসা একেবারে অচল, আহারে কাজের ছেলে একেবারে বেকার হয়ে বসে আছে। মা’র সংসারে বউ নিয়ে বসে বসে খাচ্ছে।
তার কাছে তার স্বামীরদূর্নাম করায় মায়া যেন একবার প্রতিবাদ করতে চেয়েছিল, বসে বসে কেন আপা ও তো সারাদিন হাল গৃহস্থী দেখাশুনা করছে।
কিন্তু মায়া কিছু বলল না।
রেহানা আবার বলতে শুরু করেছিল, মায়া আমি বলছিলাম কি, রাসেল যদি আবার ব্যবসা করে তবে তোমাদের সংসারে দিন দিন উন্নতি হবে।
মায়া বলেছিল, বেশ তো আপা আপনি যখন বলছেন তবে ব্যবসা করবে।
ব্যবসা করবে বললেই হবে? টাকা লাগবে না।
মায়া রেহানার কথা বুঝতে পাচ্ছিল না। সে রেহানার মুখের দিকে তাকিয়েছিল।
রেহানা বলেছিল, মায়া আমি বলছিলাম কি তুমি যদি তাহই সাহেবের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা আনতে পারতে তবে রাসেল তার ব্যবসাটা আবার শুরু করতে পারত, ওর ব্যবসার হাত খুব ভাল। ক’দিনেই ধানের ব্যবসা করে অনেক টাকা রোজগার করেছিল। হঠাৎ ব্যবসায় একটা মার খেয়ে একেবারে বেকার হয়ে পড়েছে।
মায়ার কাছে সবকিছু ষ্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রেহানার কথা শুনে মায়ার বুক কেঁপে উঠেছিল, আপনি কি বলছেন আপা?
হ্যাঁ তোমাদের তো বাড়ীর অবস্থা ভাল এ আবার বেশি কি? তোমার স্বামীবেকার এটা দেখা তোমার দায়িত্ব না, তুমি যদি টাকা নিয়ে আসতে পার তবে সে আবার ব্যবসা শুরু করবে তখন তো তোমাদেরই ভাল। রাসেল ব্যবসা করে তো আর আমাদের খাওয়াবে না। তোমাদের সংসারেই কাজে লাগবে। তুমি না হয় একবার তোমার বাবার বাড়ী যাও, তাহই সাহেবকে সবকিছু বুঝিয়ে বললে তিনি নিশ্চয়ই বুঝবেন, মেয়ে-জামাইয়ের ভাল কে না চায়?
মায়া কিছু বলেনি।
রেহানা বলেছিল, কিছু বলছ না কেন মায়া?
কি বলব আপা?
আমি বলছি তুমি না হয় সময় করে একবার তোমাদের বাড়ীতে যাও।
মায়া মৃদু কন্ঠে বলেছিল, আমি পারব না আপা।
কেন পারবে না? রাসেলের বিপদের সময় তুমি পাশে দাঁড়াবে না?
রাসেল কোন বিপদে পড়লে আমি অবশ্যই ওর পাশে দাঁড়াব আপা কিন্তু তাই বলে ডিমান্ডের টাকার জন্য বাবার কাছে যেতে পারব না।
ডিমান্ডের টাকা বলছ কেন? জামাই বিপদে পড়েছে শ্বশুর নিশ্চয়ই দেখবে?
বাবা খুব প্রতিশ্রুতিবান মানুষ, আমার বিয়েতে বাবার যত ডিমান্ড দেওয়ার কথা ছিল বাবা দিয়ে দিয়েছে এখন আবার টাকার জন্য আমি বাবার কাছে যেতে পারব না আপা।
আমি তোমার ভালর জন্যই বলছিলাম, তুমি ভেবে দেখ, বলে রেহানা মুখ ভার করে চলে গিয়েছিল।
চলবে..
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রফেসদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×