সন্তানের খেয়াল রাখুন...তাকে স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠতে দিন...
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
অনেক সময়ই আমাদের কিছুই করতে ভাললাগেনা। মনে হয় ঘরের কোনে চুপটি করে বসে থাকি। অবসাদে এবং বিষন্নতায় ভরে উঠে মন।
শুধু কী বড়রা, অনেক সময় কিন্তু ছোট্ট সোনামণিদের ওপর ভর করতে পারে অবসাদ বা বিষন্নতা। খেয়াল করলে হয়তো দেখবেন, হঠাত্ই আপনার বাচ্চাটি মনমরা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কোনো ঝামেলা পাকিয়ে বসল কিংবা অযথাই চলছে কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে ঘ্যানঘ্যানানি। এসব কিন্তু সে করে বসে অবসাদ থেকে। ফ্ল্যাট-শিশুরা জানে না মুক্ত বাতাসের স্বাদ কেমন, ওরা জানে না সবুজ ঘাসে পা রাখতে কেমন মজা লাগে। আজকের শিশুরা বলতেই পারবে না ছোঁয়াছুঁয়ি, ইচিংবিচিং, গোল্লাছুট, হাডুডু খেলার মধ্যে কী আনন্দ আছে। ওরা শুধু জানে কম্পিউটার গেমসের কথা। তাই তো তাদের মধ্যে বিষন্নতা ভর করে চট করে; কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই শিশুদের এই বিষন্নতা কাটিয়ে দেয়া যায়।
আজকের শিশুরা জানে না অবসর নামের শব্দটি। এই শব্দটির কোনো অস্তিত্ব নেই এদের জীবনে। রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে স্কুল আর কোচিংয়ের ব্যস্ততা। শুক্র ও শনিবার পড়াশোনার ক্লাস বন্ধ থাকলেও চলে গান, নাচ, কবিতা, ছবি আঁকার ক্লাস। ধরাবাঁধা রুটিনে চলতে চলতে তারা হয়ে পড়ে ক্লান্ত, ঘিরে ধরে বিষন্নতা। আপনার সন্তানকে এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে পারেন আপনিই।
ছুটির দিনে আপনার সন্তানকে থাকতে দিন ওর নিজের জগত্ নিয়ে। ও যা করতে চায় তা করতে দিন, যে খাবারটা ও পছন্দ করে সেটা ছুটির দিনে ওর জন্য রান্না করে ফেলুন। আমাদের সারা দেশে আছে নানা ঐতিহ্যসমৃদ্ধ দর্শনীয় স্থান, বিনোদন পার্ক। সুযোগ পেলে আপনার সন্তানকে ঘুরিয়ে আনুন এসব জায়গা থেকেও। ওর ভালো লাগবে।
এছাড়া আপনার সন্তানের যদি বাইরের খাওয়াটা পছন্দ হয় তবে তাকে মাঝেমধ্যে বাড়ির বাইরে ভালো কোনো রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাইয়ে আনতে পারেন। তবে তা যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়। বাড়িতেও যদি থাকেন তবে ওর সঙ্গে সময় দিন। ওর নানা আবদার যতটা সম্ভব পূরণ করার চেষ্টা করুন। তাই বলে অযথা বাহানা কানে তুলবেন না। বাসার ছোটখাট কাজে ওর সাহায্য চান। ওকে বুঝিয়ে দিন সেও পরিবারের একজন সদস্য। সব সময় পড়াশোনার চাপ না দিয়ে অন্যদিকেও ওর মনোযোগ নিয়ে যান। যেমন বইপড়া, ছবি আঁকা, গান গাওয়া ইত্যাদি। তবে কোনো বিষয় নিয়েই ওর সঙ্গে অযথা রাগারাগি করবেন না। এতে ওর সব কাজের প্রতি অনীহা ভাব চলে আসতে পারে। যার ফল হতে পারে বিষন্নতা।
সবসময়ই মনে রাখবেন, আপনার সন্তান যতই ছোটই হোক না কেন, ও একজন স্বতন্ত্র মানুষ। তাই বিষন্নতা ভর করে এমন কোনো কাজের জন্য তাকে বাধ্য করবেন না। শিশুকে ওর মতো থাকতে দিন, থাকতে দিন হাসিখুশি।
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অহমিকা পাগলা
এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন