সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে ১৬ দিন আটকে থাকা রেশমা আক্তার সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন তার ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা।
Published : 13 May 2013, 12:30 PM
উদ্ধারের তিনদিন পর সোমবার সাভার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সাংবাদিকদের সামনে আসেন এই পোশাক শ্রমিক।
রেশমা জানান, তিনি যেখানে আটকে ছিলেন, তা ছিলো একটি কাপড়ের দোকান। নিজের পরনের কাপড় ছিড়ে যাওয়ায় ওই দোকানের একটি পোশাক পরে নিয়েছিলেন তিনি।
“ভবন ধসের পর হামাগুড়ি দিয়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে ফাঁকা একটি স্থানে আসি। অন্ধকারে বুঝতে পারছিলাম না, কোথায় আছি।
এর মধ্যে গত শুক্রবার উদ্ধারকারীদের সাড়া পেয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রেশমা।
“তারা একটি ছোট টর্চ লাইট দেন। সেই টর্চের আলোতে দেখি আমি যেখানে আছি, তা একটা কাপড়ের দোকান। হামাগুড়ি দেয়ার সময় আমার কাপড়গুলো ছিড়ে গিয়েছিলো। বেরিয়ে আসার আগে কাপড় পাল্টে ফেলি।”
রেশমা বলেন, “কখনো ভাবতে পারিনি, জীবিত বের হতে পারবো। আটকে থাকার সময় শুধু আল্লাহকে ডেকেছি।”
দিনাজপুরের এই নারী জানান, ২০১০ সালের জুনে ঢাকায় আসেন তিনি। রানা প্লাজায় তার বেতন ছিলো ৪ হাজার ৭০০ টাকা।