আতাউর রহমান কাবুল
ঘরে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ রাখার অভ্যাস অনেকেরই আছে। যদি ঠাণ্ডা লাগে বা সামান্য জ্বর আসে, তাহলে হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু অনেকেই ওষুধ ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। ফলে তাদের ভালো চিকিত্সা হয় না, এমনকি নিজের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি অনেক ক্ষতি ডেকে আনে তারা। তাহলে পরিবারের কী ধরনের ওষুধ এবং কীভাবে ওষুধপত্র রাখা উচিত? ওষুধ ব্যবহারের নিয়মইবা আমরা কীভাবে জানতে পারি?
সাধারণত মানুষের কাছে জ্বরের ওষুধই বেশি থাকে। অন্য ওষুধ বৈচিত্র্য বেশি বলে খুবই কম থাকে। তবে ঘরে কী ধরনের ওষুধ রাখা উচিত এবং তা কীভাবে রাখা উচিত এসব বিষয়ে কিছু জানা দরকার।
— প্রথমত, ঘরে ওষুধের পরিমাণ কম এবং ভালো ওষুধ রাখা উচিত এবং এক সপ্তাহের বেশি কোনো ওষুধ রাখা উচিত নয়।
— দ্বিতীয়ত, নির্দিষ্ট সময়, স্থান এবং মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ রাখলেই চলে। যেমন—গ্রীষ্মকালে মশার ওষুধ, শীতকালে জ্বরের ওষুধ ইত্যাদি। সাধারণত শহরাঞ্চলে অনেক ওষুধের দোকান আছে, এজন্য বড় একটি ওষুধের বাক্স ভরে তাতে বেশি করে ওষুধ রাখার কোনো দরকার নেই।
— যেখানে রাখা হয় সে ওষুধের বাক্সটি সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। সাধারণত তিন বা ছয় মাসের মধ্যে একবার পরিষ্কার করলে ভালো হয়, তবে আরও কম সময় পরপর করা যায়।
— ওষুধ রাখার জায়গাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কাগজের বাক্সের ভেতরে ওষুধ রাখা ভালো নয়। কাগজের বাক্সে ওষুধ রাখলে ভেজা ভেজা থাকবে আবার দেরাজে রাখলে সহজেই ময়লা হবে। এসব ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। রাখার জন্য ভালো পাত্র হচ্ছে নমনীয় জিনিসের তৈরি ওষুধের বাক্স।
— রোদ লাগে এমন জায়গায় ওষুধ রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে কিছু কিছু ওষুধ রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজে রাখতে হয়। ওষুধ কখনোই শিশুদের নাগালের ভেতরে রাখা ঠিক নয়।
— তৃতীয়ত, কিছু কিছু লোক ওষুধ রাখার সময় বাক্সের জায়গা বাড়ানোর জন্য প্যাকেটের বা ভেতরের ব্যবহারবিধি ফেলে দেয়। এটা ঠিক নয়, এতে ওষুধ ব্যবহারের নিয়মটাই ফেলে দেয়া হয়। ব্যবহারবিধি রোগীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে আইনগত দায়িত্বও। তাই রোগীদের ব্যবহারবিধি মেনেই ওষুধ খাওয়া উচিত। ব্যবহারবিধি মেনে চলা একটি ভালো অভ্যাস।
সূত্র: Click This Link