somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উঁচু গাছের পাতা খাওয়ার জন্য জিরাফ যদি তার গলা লম্বা করে নিতে পারে, আমরা কেনো আমাদের ঘাড়ে দুইটা পাখা গজিয়ে নিতে পারি না?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উঁচু গাছের পাতা খাওয়ার জন্য জিরাফ যদি তার গলা লম্বা করে নিতে পারে, আমরা কেনো আমাদের ঘাড়ে দুইটা পাখা গজিয়ে নিতে পারি না?

বিবর্তন সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির একটা প্রধান কারণ হলো অনেকেই ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে মনে করেন, বিবর্তন একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের পানে এবং একটা বেঁধে দেওয়া পথে চলে। আর একটা কারণ হলো এই ভুল ধারনা যে, ইচ্ছে করলেই কোন বিশেষ প্রাণীকুল প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারে।

আলফ্রেড ওয়ালেস (১৮২৩-১৯১৩) এবং চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২), প্রায়ই একই সময়ে যদিও স্বতন্ত্রভাবে আবিস্কার করেন যে, পরিবেশের সাথে মানানসই বিশেষ প্রকারণ (variation) থাকার কারণে কোন জনপুঞ্জের (population) যে সদস্যরা (individuals) অন্যদের তুলনায় প্রকৃতির সাথে বেশি খাপ খাইয়ে টিকে থাকতে পারে তারাই বেশি বেশি বংশধর রেখে যায়। পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে পূর্ববর্তী প্রজন্মের যে বৈশিষ্ট্যগুলো টিকে থাকতে এবং বংশবিস্তার করতে বেশি কাজে লাগে সেগুলোকেই বেশি বেশি দেখা যেতে থাকে। বংশবিস্তারে এই অতিরিক্ত সক্ষমতাকে differential reproductive success বলা হয়েছে – যাকে বাংলায় ‘ভিন্নতাজনিত প্রজনন সাফল্য’ বলা যেতে পারে। এই সাফল্য ছাড়া বিবর্তন সম্ভব নয়। আর এই প্রক্রিয়ার নামই হলো প্রাকৃতিক নির্বাচন বা natural selection।

বন্যা আহমেদের ভাষায়[1],“যে প্রকারণগুলো তাদের পরিবেশের সাথে অপেক্ষাকৃত বেশি অভিযোজনের (adaptation) ক্ষমতা রাখে, তাদের বাহক জীবরাই বেশীদিন টিকে থাকে এবং বেশী পরিমানে বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। এভাবে প্রকৃতি প্রতিটা জীবের মধ্যে পরিবেশগতভাবে অনুকুল বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের নির্বাচন করতে থাকে এবং ডারউইন প্রকৃতির এই বিশেষ নির্বাচন প্রক্রিয়ারই নাম দেন প্রাকৃতিক নির্বাচন (natural selection)”

প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন জনপুঞ্জের মধ্যে থাকা প্রকারণগুলোর মধ্য থেকে বেছে নেয় সেই বৈশিষ্ট্যগুলোকে যেগুলো পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। আর তার ফলেই ঘটে বিবর্তন। দেখা যাচ্ছে প্রকারণ না ঘটলে বেশি খাপ খাইয়ে চলার মতো সুবিধা অর্জন সম্ভব হয় না। এই কারণেই লম্বা গলাওয়ালা জিরাফের সংখ্যা বাড়তে থাকে খাটো গলাওয়ালা জিরাফের সংখ্যার তুলনায়। প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া জিরাফের গলা রাবারের তৈরী খেলনার মতো টেনে লম্বা করে দেয়নি। বরং প্রকারণের কারণে যে জিরাফগুলোর ‘জিন’-এর মধ্যে গলা লম্বা হওয়ার মতো ‘সুবিধাজনক’ বৈশিষ্ট্য ছিল সেগুলোই টিকে থাকতে পেরেছে বেশি এবং খাটো গলার জিরাফের চাইতে বংশবিস্তার করতে পেরেছেও বেশি। কিছু কাল পরে দেখা গেল প্রকৃতির এহেন পক্ষপাতমুলক নির্বাচনের ফলে শুধু লম্বা গলাওয়ালা জিরাফেরাই টিকে থাকলো। সংক্ষেপে এই হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের প্রক্রিয়া।

আরো একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে[2]। ধরা যাক, একসময়ে গুবরে পোকারা সব উজ্জ্বল সবুজ রং-এর ছিল। হঠাৎ দেখা গেল, তাদের সন্তানদের মধ্যে খয়েরি রং-এর কিছু পোকার আবির্ভাব শুরু হয়েছে। এই প্রকারণটা (জেনেটিক ভেরিয়েশন) ঘটে থাকতে পারে মিউটেশনের ফলে। (একটি জিন-এর ডিএনএ অনুক্রমে স্থায়ী পরিবর্তনকে বলা হয় মিউটেশন। মিউটেশন হচ্ছে প্রকারণ ঘটার একটা প্রধান উপায় যদিও একমাত্র উপায় নয়।) ক্রমান্বয়ে দেখা গেল খয়েরি রং-এর পোকার সংখ্যা ওই জনপুঞ্জে বাড়ছে আর উজ্জ্বল সবুজ রং-এর পোকার সংখ্যা কমছে। কারণ, পাখীরা উজ্জ্বল সবুজ পোকাগুলো সহজেই চোখে পড়ছে বলে ওগুলোকেই বেশি বেশি খেয়ে নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সবুজ পোকা আর থাকলোই না, পুরো জনপুঞ্জটাই পরিণত হলো খয়েরি গুবরে পোকার প্রজাতিতে।

সংক্ষেপে এই হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের প্রক্রিয়া।

কোন ডিজাইন বা নক্সা নয়, কারো সুচিন্তিত পরিকল্পনার ফলশ্রুতি নয় - প্রাকৃতিক নির্বাচন একটা নিছক বস্তুবাদী প্রক্রিয়া। কোন অতিপ্রাকৃতিক শক্তির নির্দেশ ছাড়াই প্রকৃতি তার কাজ করে যাচ্ছে, জীবজগতে প্রতিনিয়ত ঘটিয়ে চলছে রূপান্তর।

বিবর্তিত হওয়া মানেই কিন্তু উন্নততর হওয়া নয়। অনেক ‘উন্নীত’ জনপুঞ্জ নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে অবলুপ্ত হয়ে গেছে। টিকে থাকার যোগ্যতা পরিবেশের সাথে সম্পর্কিত, সুচিন্তিত কিংবা সুসমন্বিত অগ্রগতির কোন নিদর্শন এতে নেই। তাই বিবর্তিত হওয়া মানে যোগ্যতর হওয়া, যোগ্যতম নয়।

ঠিক এ কারণেই কোন প্রানীই নিখুঁত ডিজাইনের ফল নয়। প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন দক্ষ কারিগর নয়। তাই একে বড়জোর ক্রমোন্নয়নের প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে। যা আছে তার ওপরেই প্রাকৃতিক নির্বাচন কাজ করে, যা নেই তা বানাতে পারে না। সুবিধাজনক মিউটেশন ঘটলে অভিযোজন কাজ করতে পারে, নইলে নয়।

সামুদ্রিক কচ্ছপের কথাই ধরুন না। এদের পাখনা সাঁতার কাটতে যতটা সুবিধাজনক, বালি খোঁড়ার কাজে ততটা নয়। অথচ, ডিম পাড়ার জন্য তাদেরকে এই কাজটাও করতে হয়। কিন্তু কাজটা খুব একটা ভালোভাবে করা যায় না, উপযুক্ত পাখনার অভাবে[3]। এমন আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে প্রকৃতিতে, জীবজগতে। বস্তুতঃ ঠিকমতো অভিযোজন ঘটে নি বলে অনেক প্রজাতিতো বিলুপ্তই হয়ে গেছে। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রজাতির পরিমাণ আনুপাতিক হারে প্রায় শতকরা নিরানব্বই ভাগ।

মানে দাঁড়ালো এই যে, বিবর্তনের প্রক্রিয়া কার্যকর হতে হলে প্রাকৃতিক নির্বাচন বা জেনেটিক ড্রিফটের মতো কিছু ঘটতে হবে এবং তা ঘটার আগে ডিএনএ-র মধ্যে জেনেটিক ভেরিয়েশনও ঘটতে হবে। তাই কোন প্রজাতি বা কেউ চেষ্টা করলেই বিবর্তিত হ’তে পারে না। এবং তাই প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন প্রজাতির বা প্রাণীর যা ‘দরকার’ তাই সরবরাহ করতে পারে না। পারলে এরোপ্লেন না বানিয়ে আমাদের মানবপ্রজাতি নিজেদের ঘাড়ে দুটো কেন হয়তো চারটে পাখাই গজিয়ে নেয়ার ব্যাবস্থা করে নিত।বিবর্তন সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির একটা প্রধান কারণ হলো অনেকেই ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে মনে করেন, বিবর্তন একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের পানে এবং একটা বেঁধে দেওয়া পথে চলে। আর একটা কারণ হলো এই ভুল ধারনা যে, ইচ্ছে করলেই কোন বিশেষ প্রাণীকুল প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারে।

আলফ্রেড ওয়ালেস (১৮২৩-১৯১৩) এবং চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২), প্রায়ই একই সময়ে যদিও স্বতন্ত্রভাবে আবিস্কার করেন যে, পরিবেশের সাথে মানানসই বিশেষ প্রকারণ (variation) থাকার কারণে কোন জনপুঞ্জের (population) যে সদস্যরা (individuals) অন্যদের তুলনায় প্রকৃতির সাথে বেশি খাপ খাইয়ে টিকে থাকতে পারে তারাই বেশি বেশি বংশধর রেখে যায়। পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে পূর্ববর্তী প্রজন্মের যে বৈশিষ্ট্যগুলো টিকে থাকতে এবং বংশবিস্তার করতে বেশি কাজে লাগে সেগুলোকেই বেশি বেশি দেখা যেতে থাকে। বংশবিস্তারে এই অতিরিক্ত সক্ষমতাকে differential reproductive success বলা হয়েছে – যাকে বাংলায় ‘ভিন্নতাজনিত প্রজনন সাফল্য’ বলা যেতে পারে। এই সাফল্য ছাড়া বিবর্তন সম্ভব নয়। আর এই প্রক্রিয়ার নামই হলো প্রাকৃতিক নির্বাচন বা natural selection।

বন্যা আহমেদের ভাষায়[1],“যে প্রকারণগুলো তাদের পরিবেশের সাথে অপেক্ষাকৃত বেশি অভিযোজনের (adaptation) ক্ষমতা রাখে, তাদের বাহক জীবরাই বেশীদিন টিকে থাকে এবং বেশী পরিমানে বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। এভাবে প্রকৃতি প্রতিটা জীবের মধ্যে পরিবেশগতভাবে অনুকুল বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের নির্বাচন করতে থাকে এবং ডারউইন প্রকৃতির এই বিশেষ নির্বাচন প্রক্রিয়ারই নাম দেন প্রাকৃতিক নির্বাচন (natural selection)”

প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন জনপুঞ্জের মধ্যে থাকা প্রকারণগুলোর মধ্য থেকে বেছে নেয় সেই বৈশিষ্ট্যগুলোকে যেগুলো পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। আর তার ফলেই ঘটে বিবর্তন। দেখা যাচ্ছে প্রকারণ না ঘটলে বেশি খাপ খাইয়ে চলার মতো সুবিধা অর্জন সম্ভব হয় না। এই কারণেই লম্বা গলাওয়ালা জিরাফের সংখ্যা বাড়তে থাকে খাটো গলাওয়ালা জিরাফের সংখ্যার তুলনায়। প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া জিরাফের গলা রাবারের তৈরী খেলনার মতো টেনে লম্বা করে দেয়নি। বরং প্রকারণের কারণে যে জিরাফগুলোর ‘জিন’-এর মধ্যে গলা লম্বা হওয়ার মতো ‘সুবিধাজনক’ বৈশিষ্ট্য ছিল সেগুলোই টিকে থাকতে পেরেছে বেশি এবং খাটো গলার জিরাফের চাইতে বংশবিস্তার করতে পেরেছেও বেশি। কিছু কাল পরে দেখা গেল প্রকৃতির এহেন পক্ষপাতমুলক নির্বাচনের ফলে শুধু লম্বা গলাওয়ালা জিরাফেরাই টিকে থাকলো। সংক্ষেপে এই হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের প্রক্রিয়া।

আরো একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে[2]। ধরা যাক, একসময়ে গুবরে পোকারা সব উজ্জ্বল সবুজ রং-এর ছিল। হঠাৎ দেখা গেল, তাদের সন্তানদের মধ্যে খয়েরি রং-এর কিছু পোকার আবির্ভাব শুরু হয়েছে। এই প্রকারণটা (জেনেটিক ভেরিয়েশন) ঘটে থাকতে পারে মিউটেশনের ফলে। (একটি জিন-এর ডিএনএ অনুক্রমে স্থায়ী পরিবর্তনকে বলা হয় মিউটেশন। মিউটেশন হচ্ছে প্রকারণ ঘটার একটা প্রধান উপায় যদিও একমাত্র উপায় নয়।) ক্রমান্বয়ে দেখা গেল খয়েরি রং-এর পোকার সংখ্যা ওই জনপুঞ্জে বাড়ছে আর উজ্জ্বল সবুজ রং-এর পোকার সংখ্যা কমছে। কারণ, পাখীরা উজ্জ্বল সবুজ পোকাগুলো সহজেই চোখে পড়ছে বলে ওগুলোকেই বেশি বেশি খেয়ে নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সবুজ পোকা আর থাকলোই না, পুরো জনপুঞ্জটাই পরিণত হলো খয়েরি গুবরে পোকার প্রজাতিতে।

সংক্ষেপে এই হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের প্রক্রিয়া।

কোন ডিজাইন বা নক্সা নয়, কারো সুচিন্তিত পরিকল্পনার ফলশ্রুতি নয় - প্রাকৃতিক নির্বাচন একটা নিছক বস্তুবাদী প্রক্রিয়া। কোন অতিপ্রাকৃতিক শক্তির নির্দেশ ছাড়াই প্রকৃতি তার কাজ করে যাচ্ছে, জীবজগতে প্রতিনিয়ত ঘটিয়ে চলছে রূপান্তর।

বিবর্তিত হওয়া মানেই কিন্তু উন্নততর হওয়া নয়। অনেক ‘উন্নীত’ জনপুঞ্জ নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে অবলুপ্ত হয়ে গেছে। টিকে থাকার যোগ্যতা পরিবেশের সাথে সম্পর্কিত, সুচিন্তিত কিংবা সুসমন্বিত অগ্রগতির কোন নিদর্শন এতে নেই। তাই বিবর্তিত হওয়া মানে যোগ্যতর হওয়া, যোগ্যতম নয়।

ঠিক এ কারণেই কোন প্রানীই নিখুঁত ডিজাইনের ফল নয়। প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন দক্ষ কারিগর নয়। তাই একে বড়জোর ক্রমোন্নয়নের প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে। যা আছে তার ওপরেই প্রাকৃতিক নির্বাচন কাজ করে, যা নেই তা বানাতে পারে না। সুবিধাজনক মিউটেশন ঘটলে অভিযোজন কাজ করতে পারে, নইলে নয়।

সামুদ্রিক কচ্ছপের কথাই ধরুন না। এদের পাখনা সাঁতার কাটতে যতটা সুবিধাজনক, বালি খোঁড়ার কাজে ততটা নয়। অথচ, ডিম পাড়ার জন্য তাদেরকে এই কাজটাও করতে হয়। কিন্তু কাজটা খুব একটা ভালোভাবে করা যায় না, উপযুক্ত পাখনার অভাবে[3]। এমন আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে প্রকৃতিতে, জীবজগতে। বস্তুতঃ ঠিকমতো অভিযোজন ঘটে নি বলে অনেক প্রজাতিতো বিলুপ্তই হয়ে গেছে। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রজাতির পরিমাণ আনুপাতিক হারে প্রায় শতকরা নিরানব্বই ভাগ।

মানে দাঁড়ালো এই যে, বিবর্তনের প্রক্রিয়া কার্যকর হতে হলে প্রাকৃতিক নির্বাচন বা জেনেটিক ড্রিফটের মতো কিছু ঘটতে হবে এবং তা ঘটার আগে ডিএনএ-র মধ্যে জেনেটিক ভেরিয়েশনও ঘটতে হবে। তাই কোন প্রজাতি বা কেউ চেষ্টা করলেই বিবর্তিত হ’তে পারে না। এবং তাই প্রাকৃতিক নির্বাচন কোন প্রজাতির বা প্রাণীর যা ‘দরকার’ তাই সরবরাহ করতে পারে না। পারলে এরোপ্লেন না বানিয়ে আমাদের মানবপ্রজাতি নিজেদের ঘাড়ে দুটো কেন হয়তো চারটে পাখাই গজিয়ে নেয়ার ব্যাবস্থা করে নিত।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×