somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফাতেমা (সা.) এর বিভিন্ন দোয়াঃ ও হযরত মুহাম্মাদ (স.) হতে বর্ণিত হাদীস

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১) রাসূলে খোদা (সা.) বলেছেনঃ বেহেশ্‌ত হচ্ছে মায়েদের পায়ের নিচে। ( কানযুল উম্মালঃ ৪৫৪৩৯, মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ৬১৪ )
২) ইমাম সাদেক (আ.) বলেছেনঃ এক লোক রাসূলের খেদমাতে এসে আরজ করলো-হে রাসুল! খেদমত করবো কার? রাসূল বললেনঃ তোমার মায়ের। লোকটি বললো-তারপর কার? রাসূল বললেনঃ তোমার মায়ের। লোকটি বললো-তারপর? রাসূল বললেন-তোমার মায়ের। লোকটি আবারো জিজ্ঞেস করলো তারপর কার? নবীজী বললেন-তোমার বাবার। ( আল-কাফিঃ ৯/১৫৯/২,মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ৬১৪ )
৩) রাসূলে কারিম (সা.) বলেছেনঃ নারীর প্রতি সবচেয়ে বেশি অধিকার হচ্ছে তার স্বামীর,আর পুরুষের উপর সবচেয়ে বেশি অধিকার হচ্ছে তার মায়ের। ( কানযুল উম্মালঃ ৪৪৭৭১, মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ২৫৪ )

ফাতেমা (সা.) এর ব্যক্তিত্ব এবং নারীর মর্যাদা বিষয়ক হাদিস

১) বেহেশ্‌ত হচ্ছে মায়েদের পায়ের নিচে।
২) প্রত্যেকেরই দুর্ভাগ্য কিংবা সৌভাগ্যের গোড়াপত্তন ঘটে মায়ের গর্ভে।
৩) মা-ই হলেন তার সন্তানের ইহকালীন এবং পরকালীন সৌভাগ্য নিশ্চিত করার প্রশিক্ষক।
৪) যখনি বেহেশতের ঘ্রাণ নেওয়ার ইচ্ছে জাগে তখনি ফাতেমাকে শুঁকি।
৫) আমার মেয়ের নাম রাখা হয়েছে ফাতেমা, কেননা আল্লাহ তাকে এবং তার
ভক্তদেরকে দোযখের আগুন থেকে দূরে রেখেছেন।
৬) আমি হলাম বৃক্ষ, ফাতেমা সেই বৃক্ষের শাখা, আলী সেই বৃক্ষের সার, হাসান এবং হোসাইন সেই বৃক্ষের ফল এবং আহলে বাইতের অনুরাগীরা হলেন বেহেশ্‌তি সেই বৃক্ষের পাতা।
৭) যে ফাতেমাকে তার উপযুক্ত মর্যাদাসহ চিনতে পেরেছে, সে শবে-কদরকে উপলব্ধি করতে পেরেছে। আর তাঁর ফাতেমা নামকরণের কারণ হলো কোনো সৃষ্টিই তাঁর অন্তর্দৃষ্টির পর্যায়ে পৌঁছতে পারবে না।
৮) যে-ই তাকে বিরক্ত করবে,সে যেন আমাকেই বিরক্ত করলো,আর যে আমাকে জ্বালাতন করলো সে আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হলো।
৯) ফাতেমা আমার দেহের অঙ্গ,আমার চোখের মণি এবং আমার হৃদয়ের ফল।
১০) ফাতেমা (সা.)'র অন্তর থেকে শুরু করে সকল অস্থি-মাংস এককথায় শরীরের
সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আল্লাহ ঈমান ও বিশ্বাসে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন,যেভাবে
পরিপূর্ণ আন্তরিকতার সাথে তিনি আল্লাহর আনুগত্যে নিমজ্জিত থাকেন।
১১) উত্তম নারীর জেহাদ হচ্ছে স্বামী সেবা।
১২) নফল নামায পড়া অবস্থায় যদি পিতা তোমাকে ডাকে তাহলে নামায ছাড়া যাবে না, কিন্তু যদি তোমার মা তোমাকে ডাকে তাহলে নামায ছেড়ে দাও।
১৩) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের প্রতি অধিকতর দয়াশীল।
১৪) কিয়ামতের দিন সে-ই আমার বেশি নিকটবর্তী হবে যে তার স্বামী বা স্ত্রীর সাথে
সবোর্ত্তম মানবিক আচরণ করবে।
১৫) মুমিন ব্যক্তি তার স্ত্রীর পছন্দের খাবার খায় আর মোনাফেকের স্ত্রী তার স্বামীর
পছন্দের খাবার খায়।

ইমাম সাদেক আ.:

১) ফাতেমার নাম যাহরা রাখা হয়েছে কেননা যখন সে ইবাদাতের মেহরাবে দাঁড়ায় আকাশবাসীদের ওপর তার নূরের ছটা পড়ে।
২) স্ত্রীদেরকে বেশি ভালোবাসলে ঈমান বেড়ে যায়।
৩) আমাদের প্রতি যতোবেশি ভালোবাসা থাকবে ততোবেশি স্ত্রীদেরকেও ভালোবাসবে।
৪) ফাতেমা (সা.) ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) এর অন্তরের ফল এবং চোখের জ্যোতি।
৫) হযরত আলী আ.: আল্লাহর শপথ! তোমার ঘর ছিল প্রশান্তির নীড়,আমি যখনি ঘরের দরোজায় আসতাম,তোমার চোখের ছোট্ট চাহনিতে আমার সকল চিন্তা-রাগ অন্তর থেকে দূর হয়ে যেত। (আ.):

ফাতেমা (সা.) এর বিভিন্ন দোয়াঃ

১) হে খোদা! রাগ-ক্রোধ কিংবা আনন্দের সময় ভয় এবং এখলাস, অভাবহীনতা বা অভাবের সময় মিতব্যয়ী বা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়ার তৌফিক দান করো।
২) আমার নফ্‌স্‌কে দুর্বল করে দাও আর নফসের ওপর আমার নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধের শক্তি বৃদ্ধি করে দাও!
৩) যে তার একনিষ্ঠ ইবাদাতগুলোকে আল্লাহর প্রতি প্রেরণ করে, মহান আল্লাহ সবোর্ত্তম কল্যাণগুলোকে তার প্রতি অনুগ্রহ করেন।
৪) মুমিনের জন্যে প্রফুল্লতার পুরস্কার হলো বেহেশ্‌ত।
৫) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসলিম উম্মাহর সামাজিক শৃঙ্খলা বিধানের জন্যে আহলে বাইতের অনুসৃতি আর ঐক্য এবং বিচ্ছিন্নতা থেকে নিরাপদ থাকার জন্যে রাহবারি এবং ইমামতের বিধান দিয়েছেন।
৬) গাদিরে খোমের পর আল্লাহ আর কারো জন্যেই কোনোরকম বাহানা বা ওজর- আপত্তির সুযোগ রাখেন নি।
৭) আলী হলেন একজন রাব্বানী ও ঐশী ইমাম,নূরানী অবয়বের অধিকারী, সকল খোদাপ্রেমিক আরেফের দৃষ্টি ও মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু, পবিত্র খান্দানের সন্তান, সত এবং যথার্থ বক্তা, ইমামতের মানদণ্ড, নবীজীর হাতের দুই গুচ্ছ ফুল আর বেহেশতবাসী যুবকদের নেতা হাসান ও হোসাইনের পিতা।
৮) পরিপূর্ণ এবং প্রকৃত সৌভাগ্যবান সে-ই যে ইমাম আলী (আ.) কে তাঁর
জীবৎকালে এবং তাঁর মৃত্যুর পর ভালবাসবে।
৯) রাসূলে খোদা (সা.) এর আহলে বাইত, ইমামত এবং রাহবারি হচ্ছে বিচ্ছিন্নতা
থেকে মুক্তি ও নিরাপত্তার নেপথ্য শক্তি। আর আল্লাহর পথে জেহাদ হলো
ইসলামের অমরত্ব আর সম্মান ও মর্যাদার উৎস।
১০) হে পরোয়ারদেগার! হে মহান! যেসব নবী-পয়গাম্বরকে তুমি মনোনীত করেছো তাদের সম্মানে এবং আমার বিরহে হাসান ও হোসাইনের কান্নার ওসিলায় তোমার নিকট আবেদন করছি-তুমি আমার অনুসারীদের এবং আমার সন্তানদের অনুসারীদের গুনাহগুলোকে মাফ করে দাও।
১১) পার্থিব জগতপূজারীদের পৃথিবীকে আমি ভালোবাসি না।
১২) তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম যে অন্যদের সাথে সদয় এবং নম্র ব্যবহার করে।
১৩) সে ব্যক্তিই সবোর্ত্তম মূল্যবোধের অধিকারী যে তার স্বামী বা স্ত্রীর ব্যাপারে সদয় এবং ক্ষমাশীল।
১৪) যে স্ত্রী নিজের ঘরে থাকে এবং সন্তান-সন্ততির লালন-পালন,তাদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে নিজের জীবন কাটায়,সে আল্লাহর খুব নিকটবর্তী।
১৫) কিয়ামতের দিন ইসলামের নবী (সা.) এর গুনাহগার উম্মাতের জন্যে আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবো।
১৬) সূরা হাদিদ,সূরা ওয়াকিয়া এবং সূরা আর-রাহমান তেলাওয়াতকারীদেরকে যমীনে এবং আসমানে বেহেশতের অধিবাসী বলা হয়।
১৭) তোমার পৃথিবীর তিনটি জিনিস আমার কাছে প্রিয়ঃ
• কোরআন তেলাওয়াত।
• রাসূলে খোদা (সা.) এর চহারা দেখা এবং
• আল্লাহর পথে দান-খয়রাত করা।
১৮) বাহনের মালিক নিজের বাহনের একজন আরোহীর চেয়ে অনেক বেশি উপযুক্ত।
১৯) শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং মুসলমানদের মধ্যকার বিচ্ছিন্নতাকে ঐক্যে পরিবর্তন
করার জন্যেই ইমামত।

তথ্যসূত্রঃ
• নাহজুল হায়া ( ফাতেমা (সা.) এর বক্তব্যের অভিধান) : মুহাম্মাদ দাশতি,কোম,আমিরুল মোমেনিন (আ.) গবেষণা সংস্থার প্রকাশনা,ফার্সি ১৩৮৫
• সহিফায়ে আয্‌যাহরা (সা.),জাওয়াদ কাইয়ুমি ইস্ফাহানী,কোম,ইসলামী প্রকাশনা সংস্থা, ফার্সি ১৩৭৫
• নারী দর্পন ( ইরানের সবোর্চ্চ নেতার বক্তব্যের বিষয়ভিত্তিক সংকলন): আমির হোসাইন বাঙ্কি পুরফার্দ্‌,তেহরান,নারী গবেষণা কেন্দ্র,ফার্সি ১৩৮১
• ইমাম খোমেনী (রহ) এর বিবেচনায় নারী অধিকার,তিবীয়ন অষ্টম খণ্ড, সপ্তম সংস্করণ, শরৎ-ফার্সি ১৩৭৮
• নারী মর্যাদায় রম্য এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ বিষয়ক দশটি প্রবন্ধ : মুহাম্মাদ আলি আখগারি,সিম্বলে প্রকাশ


(২১) আল্লাহর নবী (স.) বলেছেন : লজ্জা দুই প্রকারের, বুদ্ধিবৃত্তি ভিত্তিক লজ্জা এবং বোকামীপূর্ণ লজ্জা। বুদ্ধিবৃত্তি ভিত্তিক লজ্জা জ্ঞান হতে উত্সারিত এবং বোকামীপূর্ণ লজ্জা অজ্ঞতা ও মূর্খতা হতে উত্সারিত হয়। (উসুলে কাফী, খণ্ড ২, পৃ. ১০৪)

(২২) মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : ‘যখন তোমার লজ্জা শেষ হয়ে যায় তখন তুমি সব কিছু করতে পারো’ [লজ্জাহীন ব্যক্তিরাই বিভিন্ন গুনাহ সম্পাদন ও আইন লঙ্ঘনে কোন ভয় পায় না]। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৬৮, পৃ. ৩৩৬)

(২৩) নবী করিম (স.) বলেছেন : ‘তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী ব্যক্তি হচ্ছে সে, যে নিজের নাফসের চাহিদার উপর বিজয়ী হয়’। (মান লা ইয়াহযারহুল ফাকীহ, খণ্ড ৪, পৃ. ৩৯৫)

(২৪) আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন : ‘লোকদের উপর কর্তৃত্ব অর্জন ও বিজয়ী হওয়া সাহসীকতা ও বীরত্ব নয়, বরং নিজের লাগামহীন নাফসের উপর কর্তৃত্ব লাভ করাই হচ্ছে প্রকৃত সাহসীকতা ও বিজয়’। (মাজমুয়াতু ওয়ারাম, খণ্ড ২, পৃ. ১১)

(২৫) হযরত মুস্তাফা (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে ক্ষণিকের জন্য হেয় ও প্রতিপন্ন হতে প্রস্তুত হয় না, সে সারা জীবন অজ্ঞতার কারণে হেয় ও প্রতিপন্ন হয়’। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ১, পৃ. ১৭৭)

(২৬) নবি করিম (স.) বলেছেন : যে মু’মিন মানুষের সাথে মেশে এবং তাদের ঝামেলা সহ্য করে, মহান আল্লাহর দরবারের তাদের পুরস্কার ঐ মু’মিন অপেক্ষা বৃহৎ যে মানুষের সাথে মেশে না এবং তাদের ঝামেলাও সহ্য করে না’। (মেশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, পৃ. ১৯৩)

(২৭) হযরত মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ (স.) বলেছেন : ‘মুনাফিকের তিনটি চিহ্ন : ১-যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ২-যখন প্রতিশ্রুতি দেয় তা ভঙ্গ করে, ৩-আমানতের খেয়ানত করে’। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, পৃ. ৮৯)

(২৮) রাসূলে আকরাম (স.) বলেছেন : ‘হে আলী! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ সমাধানের উদ্দেশ্যে বলা মিথ্যাকে পছন্দ করেন এবং ফাসাদ সৃষ্টির কারণ হয় এমন সত্য বলাকে অপছন্দ করেন’। (মাকারেমুল আখলাক, পৃ. ৪৩৩)

(২৯) আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন : ‘যে নিজের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় সে ব্যক্তি অভিশপ্ত’।

(৩০) হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি একটি গুনাহ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার জন্য মহান আল্লাহর নিকটে ৭০টি কবুল হওয়া হজ্বের সওয়াব রয়েছে’। (মেশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, পৃ. ৩১৬)

(৩১) নবী করিম (স.) বলেছেন : মিথ্যা হতে দূরে থাকো, কেননা মিথ্যা চেহারাকে কালো করে দেয়’। (মুস্তাদরাক, খণ্ড ২, পৃ. ১০০)

(৩২) মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : ‘আল্লাহর নিকট বিবাহের মত প্রিয় কোন বন্ধন ইসলাম ধর্মে নেই’। (মুস্তাদরাক, খণ্ড ২, পৃ. ৫৩১)

(৩৩) হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা (স.) বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি আমার স্বত্তাকে ভালবাসে, তার উচিত আমার সুন্নতের অনুসরণ করা, আমার পথে পথচলা। আর আমার সুন্নতের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিবাহ করা’। (মাকারেমুল আখলাক, পৃ. ১৯৬)

(৩৪) আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন : কোন নারীকে তার সৌন্দর্য্যের কারণে বিবাহ করো না, কেননা তার সৌন্দর্য তার নৈতিক অবনতির কারণ হতে পারে। একইভাবে তার সম্পদের দিকে দৃষ্টি রেখে তাকে বিবাহ করো না, কেননা তার সম্পদ তার ঔদ্ধ্যত্য ও অবাধ্যতার কারণ হতে পারে। বরং কোন নারীকে তার ঈমানের কারণে বিবাহ করো’। (মাহাজ্জাতুল বাইদ্বা, খণ্ড ৩, পৃ. ৮৩)

(৩৫) রাসুলে আকরাম (স.) বলেছেন : ‘গুনাহ হতে তওবা করা সর্বদা পছন্দনীয় কাজ, কিন্তু যুবক বয়সে এ কাজটি অধিক পছন্দনীয়’। (মাজমুয়াতুল ওয়ারাম, খণ্ড ২, পৃ. ১১৮)

(৩৬) নবী করিম (স.) বলেছেন : ‘জ্ঞানী ব্যক্তিরা দুই প্রকারের : যে আলেম নিজের জ্ঞানের উপর আমল করে তার জ্ঞান তার জন্য পরিত্রাণদাতা হয়। আর যে আলেম নিজের জ্ঞানকে ত্যাগ করে সে ধ্বংস হয়ে যায়’। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২, পৃ. ৩৬)

(৩৭) মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) বলেছেন : হে আবুযার! ঐ ব্যক্তি কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যে নিজের জ্ঞান হতে উপকৃত হয়না’। (লি-আলিল আখবার, পৃ. ১৬১)

(৩৮) হযরত রাসুল (স.) দেখলেন মসজিদে দু’টি দল বসে আছে; একট দল ইসলামি জ্ঞানচর্চায় ব্যস্ত এবং অপরটি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা ও মুনাজাতে ব্যস্ত। আল্লাহর নবী (স.) বললেন : উভয় দলই আমার পছন্দের, কিন্তু জ্ঞানচর্চাকারী দলটি প্রার্থনায়রত দলটি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আর আমি মহান আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষকে শিক্ষা দানের লক্ষ্যে প্রেরিত হয়েছি। অতঃপর মহানবী (স.) জ্ঞানচর্চাকারী দলটিতে যেয়ে বসলেন। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ১, পৃ. ২০৬)

(৩৯) মহানবী (স.) বলেছেন : যে ব্যক্তি নামাযকে বিলম্বে পড়ে, (কেয়ামতের দিন) আমার শাফায়াত তার পর্যন্ত পৌঁছাবে না’। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৮৩, পৃ. ২০)

(৪০) আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন : ‘মহান আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত হালাল হচ্ছে তালাক’। (সুনানে আবি দাউদ, কিতাবুত তালাক, পৃ. ১৮৬৩)#
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×