somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাঙামাটির টেগামুখ বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় সীমান্তবর্তী টেগামুখ এলাকা পরিদর্শনে গেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকালে বিডিআরের পক্ষ থেকে জওয়ান কর্মকর্তা ও সীমান্ত চৌকি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।প্রথম আলোর অন লাইন খবরে প্রকাশ, বিডিআরের রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল বশিরুল হক মানচিত্রসহ সীমান্ত এলাকার অবস্থা বর্ণনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত এলাকায় অস্ত্রধারীদের আনাগোনা বেড়েছে। এটা রোধ করতে হলে সীমান্ত চৌকির সংখ্যা বাড়াতে হবে বলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। বিডিআরের সেক্টর ও ব্যাটেলিয়ন বাড়ানো নিয়ে কোন মন্তব্যের প্রয়োজন নেই।যেখানে যা প্রয়োজন তা করা উচিত, কিন্তু তথ্য বিকৃতি নিয়ে কিছু বলা প্রয়োজন বৈকি।

বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত এলাকায় অস্ত্রধারীদের আনাগোনা বেড়েছে কি না জানি না।যদি বেড়ে থাকে সেটা প্রতিরোধ করা সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বিডিআরের প্রথম দায়িত্ব। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরের উদ্দেশ্য তা দেখা নয়।সীমান্ত এলাকায় অস্ত্রধারীদের আনাগোনা বেড়েছে - এ কথা বলে একটা উপলক্ষ খুঁজে বের করা মাত্র।মূল উদ্দেশ্য হলো, টেগামুখ দিয়ে ভারতে মিজোরামের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যায় কি না সেই বিষয়ে একটু খোঁজ খবর নেওয়া।এই উদ্যোগ বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারও নিতে চেয়েছিল।মনে হচ্ছে, বর্তমান আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারও সেই সম্ভাবনা যাচাই করতে চাচ্ছে। মিজোরামের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাক, সেটা সবাই কামনা করে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, বাণিজ্যের কথা না বলে সীমান্ত রক্ষার দোহাই মিথ্যা কথা বলা কেন? বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সোজা কথা না বলে মিথ্যা বলার অভ্যাসটা গেল না কেন? ব্যবসা-বাণিজ্য নির্বিঘ্ন করার প্রয়োজনে যদি সৈন্য ও সীমান্ত চৌকি বাড়ানোর প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা সরাসরি বলা হয় না কেন? সীমান্তে অস্ত্রধারীদের আনাগোনা বেড়েছে এমন কথা বলে কেন ধুম্রজাল সৃষ্টি করা এবং কার স্বার্থে তা করা?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো চামচামি করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যে সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে ধন্যবাদ জানালেন।দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা কেবল কী সেনাবাহিনী ও বিডিআরের একচেটিয়া অধিকার? সার্বভৌমত্ব কাকে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন কী? জনগণকে বাদ দিয়ে কী সার্বভৌমত্ব রক্ষা হয়? ঐ এলাকার জনগণ যদি সেনাবাহিনী ও বিডিআর’কে সহযোগিতা না করতো, জনগণ যদি বিনা পয়সায় সেনাবাহিনী ও বিডিআরের রশদ বহন না করতো সেনাবাহিনী ও বিডিআর কী ঘাস খেয়ে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতো? সেনাবাহিনী ও বিডিআর ধন্যবাদ পায়, আর এলাকার জনগণ হয়ত তিরস্কার পুরস্কার পাবে। সৈন্য ও চৌকি যখন বাড়ানো হবে, ঐ এলাকার জনগণকে একদিকে সেনাবাহিনী ও বিডিআরের জগদ্দল পাথর বইতে হবে, অন্যদিকে অনেককে অস্ত্রধারী সন্দেহে উত্তম-মধ্যম ও ডালের ঝোলও খেতে হতে পারে।

সবশেষে আমার সহজ কথা হলো, সরকার যদি ভারতের মিজোরামের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চায় তা করুক। “স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সীমান্তরক্ষা” এসব অস্পষ্ট কথা বলে মিথ্যা বলা উচিত নয়, জনগণকে বিভ্রান্ত করা উচিত নয়। বাণিজ্য করতে হলে বাণিজ্যিক ভাষায় কথা বলা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×