জুড়িয়ে গেলো চোখ আমার—পুড়িয়ে গেলো চোখ
ডা.সুরাইয়া হেলেন
কবি,আজ হঠাৎ করে তোমার বিয়ের ছবিটা
আমার হাতে এসে পড়লো...চেয়ে রইলাম,
”জুড়িয়ে গেলো চোখ আমার
পুড়িয়ে গেলো চোখ……..”
কল্পনায় ভেসে উঠলো,তোমার বউয়ের
জায়গায় আরেকটা ছবি !
লাল টকটকে বেনারসী শাড়ি,
সোনার সীতাহার,নেকলেস,
মাথায় টিকলি-টায়রা ঝাপটা তাজ,
নাকে নথ,হাতে বালা-চূড়,
চন্দন নয়,আধুনিক পার্লারে সজ্জিত
মুখ-চোখ,মেহেদী রাঙানো অঞ্জলি,
সব তো ঠিকই আছে,শুধু চেহারাটা
অতি চেনা,সেই উনিশের আমি !
চমকে গেলাম,থমকে গেলাম,
ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম,
কেউ নেই,না আমি,না তোমার বউ !
ঝাপসা,অস্পষ্ট এক ফটোগ্রাফ !
আসলে চোখ ভরে গেছিলো জলে !
পাশ থেকে মিতু বললো,”কাঁদছো কেন
খালামনি,কী হয়েছে তোমার ?”
বললাম,”কই,কাঁদবো কেন ?
কিছু তো হয়নি,কী আবার হবে?
কিছুদিন ধরে এমনি এমনি চোখ
দিয়ে পানি পড়ে,চোখের প্রবলেম !”
“ডা. দেখাচ্ছো না কেন ?”
ভাঙা কণ্ঠে বলি,“দেখাবো তো ।”
মনে মনে বলি,“ডা.কী করবে?
চোখের সাথে সাথে হৃদয়ও যে
পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে !”
এমন কেন হয়,বলতে পারো কবি?