somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রশাসন কাঁদছে, ঘোষণা দিয়ে দলীয় লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, এটাই বর্তমান সুশাসনের নমুনা। মুখরোচক কথা নয় ব্যাবস্থা নিন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রশাসন কাঁদছে, ঘোষণা দিয়ে দলীয় লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, এটাই বর্তমান সুশাসনের নমুনা। না কথাটা আমি বলেনি। কথাটি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, সুজনের আলোচনায়। আসলেই তাই কি হচ্ছে এসব
চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে দলীয় প্রার্থীদের নাম না থাকায় তাঁরা প্রাণ গোপালের ওপর চড়াও হয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও ছাত্রলীগের সদস্যরা।

সারা দেশে এক অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে নিয়োগ নিয়ে। সর্বত্র আলোচনা এখন নিয়োগ গুলো। তার মাঝে আবার জেলার প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরেও হামলা এ সকল নিয়োগ নিয়ে।

পাবনা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ গত শুক্রবার পাবনায় জেলা প্রশাসনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটতরাজ, মারধর এবং প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পুড়িয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ম্যাজিস্ট্রেট, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মনির হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা সহ আহত করেন ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।

সুশাসন এবং গণতন্ত্রের জন্য এটা চরম লজ্জা, জগন্য খারাপ একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেখানে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা সহ সার্বিক দেখবে সেখানে প্রশাসনের হর্তা-কর্তারা যখন শাসক দলের চাপে পাবনা ছাড়তে চান বিসিএস ক্যাডারের ২৬ জন কর্মকর্তা তখন বুঝা যায় কি অরাজাকতা চলছে?

আবার ঐ দিনের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এক বৈঠকে পুলিশ সুপার বলেন, ‘অবৈধ তদবির শুনিনি বলে আমাকে গালাগাল শুনতে হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না।’

সিভিল সার্জন বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের একটি নিয়োগ পরীক্ষায় সরকারি দলের একজন আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, তাঁর প্রার্থী এখনো আসেননি। কাজেই পরীক্ষা শুরু করা যাবে না।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইকরামুল হক বলেন, ‘অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও পদায়নের জন্য আমার কাছে চাপ আসছে। না শুনলেই গালাগাল শুনতে হয়।’

আবার এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এ জেলার আওয়ামীলীগ নেতারা এ ঘটনায় অভিযোগকারীদের পক্ষ নেওয়ায় আরো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে সবকিছু। তারা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অন্য দলের লোক বলে চিন্হিত করেন। কিন্তু প্রশ্ন জাগে একটি জেলার সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তায় কি অন্য দলের? আসলে শাসক দলের সুবিধাবাধী, চরম লোভী কিছু নেতা-কর্মীরায় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যাস্থ। অন্যদিকে গত কিছুদিনের ঘটনার পর আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যও বেশ বাহবা দেওয়ার মতো। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন - পাবনায় যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এ ধরনের আচরণে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে না।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেন, মোদাচ্ছেরের বক্তব্যের দায় নেবে না আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা মোদাচ্ছের আলীর বক্তব্যের দায়ভার কেনো নিবেনা আওয়ামীলীগ? আমাদের স্পষ্ট মনে আছে সরকারের শুরুতে ছাত্রলীগ যখন সারাদেশে ব্যাপকভাবে তান্ডব শুরু করেছিলো তখন কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের অভিভাবক পদ থেকে অব্যাহতি নেন। কিছু দিন পর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগের কেউ নেই। হ্যাঁ কাগজে-কলমে হয়তো কেউ না কিন্তু আমরা-আপনেরা সবাই জানে যে ছাত্রলীগ কাদের সংগঠন।

তাই যদি এসবের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে পুরো পুরা ব্যবস্থাটি ‘রাজনৈতিক অ্যানথ্রাক্সে’ আক্রান্ত হয়ে অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।

সূত্রঃ প্রথম আলো, বিডি নিউজ২৪, আমাদের সময়, মানব জমিন।
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×