somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেই কারনে আওয়ামিলীগ নাস্তিকদের প্রিয় দল আর যেই কারনে আওয়ামিলীগ ভন্ডামী করে।(ক্যাচাল পোস্ট নয়)

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা!
শুভ সকাল। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজকে আমি কিছু বক্তব্য লিখবো যা সম্পুর্ন নিজের মতামত। তবে আমার লিখা বিতর্কিত হতে পারে। ব্লগ একটি উম্মুক্ত আলোচনার ক্ষেত্র তাই আমার ব্যাক্তিগত মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

ভাই সকল আপনারা সবাই জানেন যে আওয়ামিলীগ ধর্ম নিরপেক্ষ দল, তার মানে সেকুলারিস্ট। সেকুলারিস্ট মানে হলো তারা “কোনো ধর্মেরই না” মানে “রিলিজিওন নিউট্রাল “ । কিন্তু এই কথাটা আওয়ামি ভন্ড গুলা মানতে চায় না। তাদের কথা হইলো তারা তারা ধার্মিক কিন্তু সেকুলারিস্ট মানে অন্যরা যার যার ধর্মকে মেনে চলতে পারবে। (মানে দাড়ালো ধর্মের ঘোমটার ভিতরে সেকুলারিজম)

এই ধার্মিক ভন্ডগুলা কি জানে সঠিক ইসলাম কি? নবীজী (সঃ) মদিনা সনদে যার যার ধর্মকে পালন করার অনুমতি দিয়েছিলেন। মদিনায় অনেক ইহুদি ছিলো তারা তাদের ধর্ম পালন করার অনুমতি পেয়েছিলো। সঠিক ইসলামি রাস্ট্র ব্যাবস্থায় প্রতিটা বিধর্মী তার নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন আর আইন মেনে চলতে পারে। প্রয়োজনে ইসলামী রাস্ট্র ভিন্ন ধর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করতেও পিছপা হয় না। প্রাচিন কালে জিজিয়ার বিনিময়ে মুসলমান সৈন্য বাহিনী কাফির দের নিরাপত্তাদিত। আজকে আউয়ামী অপশক্তি আমাদের সেকুলারিজম শিখাইতে আসছে।

যাই হোক বাকশালী সেকুলারিস্ট যেই কারনে নাস্তিকদের প্রিয় দল তার ব্যাখ্যায় আসছি। আওয়ামিলীগ নিজেকে সংখ্যা লঘুদের রক্ষাকর্তা মনে করে। মানে উনারা সংখ্যালঘুদের স্বার্থ উদ্ধারে সক্ষম। যেহেতু উনারা কোনো ধর্মেরই না সেই কারনে উনারা সংখ্যা লঘুদের আশস্ত করতে চায়, যেহেতু আমরা নিউট্রাল মানে ধর্মের উপরে বিশ্বাসী নই তাই আমাদের ভোট দিয়ে তোমরা নিরাপদ থাকো। কিন্তু ভন্ড আওয়ামিলীগ আরো চালাক আছে ” তাই খেলা এখানেই শেষ নয়।“ শতকরা ৮৫% মুসলমান ধার্মিক মানুষের দেশে নিরপেক্ষতা ধোপে টিকবে না, তাই তারা নতুন থিওরী চালু করেছে – “সেকুলারিজম মানে ধর্ম নিরপেক্ষতা নয়, বরং যার যার ধর্ম পালন করার অধিকার” হাসতে হাসতে পেটের পেশী ব্যাথা হইয়া যায়।
যাই হোক কিছু উদাহরন দেইঃ এই ভন্ড আওয়ামীলীগ এখনো সংসদ থেকে বিস্মিল্লাহহি রাহমানির রাহিম শব্দটি উঠিয়ে দিতে পারেনি (পাব্লকের মাইরের ডরে)।সংসদ অধিবেশন শুরু হয় কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে, আবার নামাজের জন্যেও বিরতি আছে। কিন্তু উনারা সংসদে “ওম শ্রী কৃষ্ণ” বা “জেসাস দ্যা গড” বা ”ভগবান বুদ্ধ” শব্দ এ্যাড করে নাই কেন? যারা সংখ্যালঘু ব্লগার দের কাছে আমার প্রশ্ন।

শেখ হাসিনা হজ্বে যায় কেন? তার অনুসারীরা হজ্বে যায় কেন? যদি তারা নিরপেক্ষতা পালন করতে চান তাদের উচিত মন্দির, গীর্জা আর প্যাগোডাতেও যাওয়া উচিত তাই না? যেহেতু তারা সেকুলারিস্ট তার মানে তারা সকল ধর্মের প্রতি সমান ব্যাবহার করবে না হলে কোনো ধর্মই পালন করবে না। এটাই হওয়া স্বাভাবিক।

মনে আছে আব্দুল জলিলের কথা? ফতোয়া বাজদের সাথে কে চুক্তি করেছিলো? কাওমী মাদ্রাসার হুজুরদের কে রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়ে ফতোয়া বাস্তবায়ন আর কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো? এই ভন্ড আওয়ামিলীগ। মিডিয়ার তোপের সামনে পড়ে গিয়ে আবশেষে দায় ভার এই আব্দুল জলিলের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়। দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আব্দুল জলীলের সাধ্য নাই কাওমী মাদ্রাসার আলেমদের সাথে চুক্তি করার এই সাধারন সম্পাদকের।

আপনি কি জানেন এই সব ভন্ডামীর কারন কি?? কারন খুবই সহজ আওয়ামিলীগ গাছের টাও খাইবো আবার তলেরটাও কুড়াইবো। মানে বিরোধী দল যাতে কোনো ভাবেই ক্ষমতায় যেতে না পারে। একটু খোলাসা করে বলি- ৮৫% ধার্মিক মুসলমানদের দেশে সেকুলারিজম টিকবে না। তাই তারা ধর্মনিয়ে ভন্ডামি করে। সংসদে কোরান পাঠ, নামাজ পড়া, বিসমিল্লাহ কে রেখে দেয়া, হাসিনা আপার হজ্ব যাত্রা, মাথায় স্কার্ফ লাগানো, আওয়ামি ওলামালীগ গঠন সবই ভন্ডামি, নিজের পিঠ বাচানোর জন্য।
এর পরে আসি সেকুলারিজমের কারন- এই দেশে সংখ্যালঘুদের বিরাট সংখ্যাক ভোট আছে যেহেতু বি এন পি আর জামাত ঘোষনা দিয়েই তারা ইসলামিক দল, তাই আওয়ামিলীগ বেশী সুযোগ পেয়ে গেছে। ওরা প্রচার করতে পেরেছে আমরা নিরপেক্ষদল, আমরাই পারি সংখ্যালঘুদের স্বার্থ উদ্ধার করতে। হিন্দু-খৃস্টান-বৌদ্ধরা আমাদের ভোট দাও। আর এই প্রোপাগান্ডার জন্যই আওয়ামিলীগ সংখ্যা লঘুভোটের দিকে সব রাজনৈতিক দলের থেকে এগিয়ে।

এবার আসুন নাস্তিকেরা কেন আওয়ামিলীগ পছন্দ করে- বেশির ভাগ নাস্তিকেরাই হিন্দু, আর সেই সকল নাস্তিকের পিতামাতারা আগে থেকেই আউয়ামিলীগ সাপোর্ট করে থাকে। তারাও আওয়ামিলীগ সাপোর্ট করে। আর একটা জিনিস খেয়াল করলেই বুঝবেন নাস্তিক্য বাদ মানেই ইসলাম বিদ্বেষ। উনারা হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ, খৃস্টান ধর্ম নিয়ে কিছু বলে না। শুধুই ইসলাম নিয়ে তাদের যতো মাথা ব্যাথা। আর যেহেতু বি এন পি-জামাত ইসলামিক দল তার মানে ওদের গদামের উপরে রাখতে হবে। আর ওদের গদাম দিতে হলে ওদের সমকক্ষ-বিপরীত দল আওয়ামিলীগ কে সাপোর্ট করতে হবে। আরো কিছু জিনিস খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন এই সকল নাস্তিক ইসলামি উৎসব পালনের চাইতে হিন্দু উৎসব পালনে আগ্রহ বেশী। ইসলামিক সংস্কৃতির চাইতে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি বেশি প্রিয়। যেমন এই সকল নাস্তিক দের, মুসলমানদের শবেবরাত ভালো লাগে না, কিন্তু হিন্দুদের দেওয়ালী খুবই প্রিয়। মুসলমানদের ঈদ ভালো লাগে না কিন্তু হিন্দু দের অস্টমী-দশমী ভালো লাগে। মুসলিমদের কোরবানীর ঈদ ভালো লাগে না কিন্তু পহেলা বৈশাখ ভালো লাগে। ভাইজান না বলে দাদা বলবে। ভাবী-আপা না বলে বৌদি-দিদি মনি বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
মেয়ে দের আপাদমস্তক ঢাকা শরীর ভালো লাগে না, কিন্তু নাভি-ফর্সা পেট দেখা যায়, টাইট উচা ব্রেস্ট বুঝা যায়, ফুলা-ফালা নিতম্ব বুঝা যায় সেই সকল পোষাকে মেয়েদের দেখতে বেশী পছন্দ করে।
বি এন পি-জামাত সরকার ক্ষমতায় থাকলে উনাদের স্বার্থ হসিল হবে না। উনাদের মনের গভীরের আশা পুরনে বাধা ইসলামিক সরকার। তাই তারা ভন্ড আওয়ামিলীগকে সাপোর্ট করে। আউয়ামিলীগ সেই সুযোগ গুলোই নিচ্ছে। টিভি আর মিডিয়ার বেশীর ভাগ নাট্য ব্যাক্তিত্ব নাস্তিকতার সাথে জড়িত, আর জড়িত অশ্লীল যৌনাচারের সাথে। আর সেকুলারিজমে সবই জায়েজ। কয়েকটি নাস্তিক আর নাট্য ব্যাক্তিত্বঃ কবির চৌধুরী, নির্মলেন্দুগুন, কবি শামসুর রাহমান, হুমায়ুন আজাদ, সঞ্জীব চৌধুরী, হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল।

প্রিয় ব্লগার ভাইয়েরা আমার লিখা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই সব কথা লিখে শেষ করতে পারলাম না। পরে সময় করে নিয়ে আবার পোস্ট দিবো। আপনাদের সু-চিন্তিত মতামত আশা করছি।

২২টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×