সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুর্কি শহর রেইহানলিতে দুটি গাড়ি বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। শনিবার ওই দুটি বোমা হামলায় ৫০ জন নিহত হয়। সোমবার ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘অপরাধীদের সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানায়।
Published : 14 May 2013, 07:58 AM
বিবৃতিতে বলা হয়, “যে কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অপরাধমূলক এবং অগ্রহণযোগ্য, হামলাকারীদের উদ্দেশ্য এক্ষেত্রে বিবেচ্য নয়, যেখানে, যখনই এবং যারাই এটি করে থাকুক না কেন।”
এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে তুর্কি কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার জন্য বিশ্বের সব রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
তবে নিরাপত্তা পরিষদ এ হামলার জন্য কোনো পক্ষকে সরাসরি দায়ী করেনি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নয়জন তুর্কি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে হামলার সন্দেভাজন মূল পরিকল্পনাকারীও আছে।
নেটো সদস্যদেশ তুরস্ক বলেছে, এ হামলায় সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত বলে তারা সন্দেহ করছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের শক্তিশালী সমর্থক তুরস্ক। দেশটি প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদেরও সমালোচক। সিরিয়ার ৪০ হাজার শরণার্থী তুরস্কে আশ্রয় নিয়ে আছে।
তবে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিরিয়া।
জনাকির্ণ বাজার এলাকায় সংঘটিত এ বোমা হামলায় ব্যাপক প্রাণহাণী ও ক্ষয়ক্ষতির মুখে তুরস্কে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরো বৃদ্ধি পায়।
এ অবস্থায় নুতন কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে উত্তেজনা হ্রাস করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গত দুই বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ৮২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে ও ১২ হাজার ৫শ’ মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’।
এ ছাড়া ১৪ লাখ শরণার্থী প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।