ঘোলাটে স্রোতের ক্ষীণ রশ্মিতে কোন প্রাণ নেই
যেনো বয়সের ভারে নুয়ে পড়া পুঁই-ডাটা।
একদা এখানে যৌবনের বাহারী ফুলের মেলা ছিল
আঙুলের ইশারায় ফোটে উঠত স্ব-বেগে
শহরের নাগরিক কোলাহল আর যান্ত্রিক যন্ত্রণা ভুলতে
শান্তিকামী শহরবাসীরা ভীড় জমাতো সুরমা-পাড়ে
আজ তারা ফিরে না নাকো আর সেই সুরমা-তীরে।
অতিথি সেজে মাঝে মাঝে সুরমার জলে
সাঁতার দিয়ে তৃষ্ণা মিঠাই। তৃষ্ণা কি আর মিটে?
সভ্যতার ধারা মিশে আছে সুরমার জলে
(শাহ্ জালাল, শাহ্ পরাণ আর তিনশত ষাট আউলিয়ার)
বৈরী স্রোত-সকল সিলেটের বড় বেশী আপনার ছিলো
নগরায়ণের লাগামহীন কবলে পড়ে
সুরমা হারাচ্ছে তার সভ্যতার সবটুকুন
যেনো নদী নয়, মানব জন্মেরই পতন।
একদা পূর্বপুরুষের হাত ধরে
সুরমার স্রোতে মিশে আছি প্রাণপাখি সঁপে দিয়ে।