আইসিটি আইনে শাস্তি বাড়ছে

সর্বোচ্চ শাস্তির পরিমাণ বাড়িয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2013, 08:21 AM
Updated : 19 August 2013, 09:35 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেন, এ আইনে শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ৭ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

২০০৬ সালের পাস হওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজার বিধান ছিল।

ব্লগার মশিউর রহমান বিপ্লব, সুব্রত অধিকারী শুভ, রাসেল পারভেজ ও আসিফ মহীউদ্দিন; আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে এ আইনের মামলাতেই গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদের মধ্যে প্রথম চারজন বর্তমানে জামিনে আছেন। 

আগের আইনে শাস্তির বিধান অপর্যাপ্ত ও অস্পষ্ট ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ‘অপপ্রয়োগ’ রুখতেই এ অধ্যাদেশ করা হচ্ছে।

“আগের আইনে কিছু অপরাধ নন-কগনিজেবল ছিল। কিন্ত নতুন আইনে এটি হবে কগনিজেবল অর্থাৎ ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।”

এছাড়া নতুন আইনে কিছু অপরাধ জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। আগের আইনে সব অপরাধ জামিন যোগ্য ছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

তিনি বলেন, আগের আইনে মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হতো। কিন্তু নতুন আইনে পুলিশ অপরাধ আমলে নিয়ে মামলা করতে পারবে।

ব্যক্তিগতভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এ আইনে মামলা করা যাবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রচলিত আইনেও মামলা করার বিধান রয়েছে।”

‘খারাপ’ উদ্দেশ্য নিয়ে তথ্য নষ্ট করা, অনুমতি ছাড়া ডেটা হস্তান্তর, হ্যাকিং, ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশের মতো অপরাধ এ আইনের আওতায় পড়বে।

সচিব জানান, এ আইনের  আরো পর্যালোচনা বা সংশোধন প্রয়োজন হলে শিগগিরই তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অধিকারের সেক্রেটারি আদিল গ্রেপ্তারের পর সরকার তাড়াহুড়ো করে এ আইন সংশোধন করছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, “তাড়াহুড়ো করে এ আইন করা হয়নি। আর আইন কোনো ব্যক্তির জন্যও করা হয় না।”