somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রথম আলো আমাদের বাপ-মা, আর আমরা কুত্তার বাচ্চা

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে প্রথম আলো নিয়ে ভালোমন্দের লেখার অদ্ভূত স্রোত। আর ভাল্লাগে না। ওদের ব্যাপারে বলার দিন শেষ, শোনার দিনও শেষ। দয়া কইরা ওরা আমগোরে দেশে থাকতে দিতাছে, এইটাই বেশি। তারপরও অনেকে চালাইয়া যাইতাছেন, থামতে বলুম না, চালান। চালাইতে থাকেন, সাথে আমার কথাগুলাও মনে রাইখেন, শোনেন, আপনেরেই কইতাছি, শুনতে থাকেন ...!
না ভাই, পারবেন না। এতো সহজ না। প্রথম আলোর চেয়ে শয়তান অনেক বেশি খারাপ, কিন্তু আমরা মানবজাতি কি শয়তানের কোন সুরাহা করতে পেরেছি? পারি নাই, কেন পারি নাই, জানি না।
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাপ্তাহিক ২০০০, আনন্দধারা, এবিসি রেডিও, পিৎজা হাট, কেএফসি, পেপসি, ফিলিপস, প্রথমা, সিম্ফনি মোবাইল সেট এবং লেয়্স চিপস-এর মালিক/ডিলার ওরা- ওদের সাথে পারবেন না, পারেননি আমাদের পূর্বপুরুষরা কেউ।
জ্বীন-পরী আইসা ওদের পণ্য কেনে না। আপনারা কিনেন, আপনার পরিবার কেনে, আপনার আত্মীয়স্বজন কেনে, এলাকাবাসী কেনে। প্রথম আলোরে তো আপনারাই প্রথম আলো বানাইছেন। প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ইচ্ছামতো বলেন, আবার পলায়া পলায়া প্রথম আলোই পড়েন। ভাব নিতে ডেইলি স্টার কিন্না বাসে চড়েন। আনন্দধারায় স্টারগো লগে ফোনে কথা কওয়ার লাইগা আপনাদের আত্মীয়স্বজন গ্রামেত্তে কেমনে মুখরাইয়া থাকে, খবর লিসেন? প্রেমিকারে লিয়া যান কেএফসি, বউরে লিয়া যান পিৎজা হাট- কী, মিথ্যা কইছি, বুকে হাত দিয়া কন! কসম খাইয়া কন! আর এখনকার বাচ্চারা কি লেয়স ছাড়া কিছু বুঝে? পেপসি-ফিলিপসের কথা বাদই দিলাম, কারণ এই দুইটা দিয়া পর্যাপ্ত ট্যাকা কামানো হইয়া গেছে। মনে মনে তো চিন্তা কইরা রাখছেন, হাতে ট্যাকা আইলেই সিম্ফনির একটা সেট কিন্না ফালাইবেন ... দুই হাতে ওগোরে ট্যাকা বিলাইবেন, আর ব্লগে বইয়া আজাইরা প্যাচাল পারবেন, মিয়া!
শুধু এই একটা হিশাবই করেন- ওদের ফান ম্যাগাজিন আলপিন ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করলো। ধর্ম-কর্ম করনেওয়ালারা ওদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলো, বাচ্চু মিয়া (সম্পাদক মতিউর রহমান) টুপি পরে খতীব সাহেবের কাছে ক্ষমা চাইলেন, ঘটনা এখানেই থেমে গেলো।
এখন উপরোক্ত ঘটনার রেজাল্ট খেয়াল করেছেন? করেননি, অযথাই শেখ মুজিবের মতো চিল্লাচিল্লি করেন।
রেজাল্ট হচ্ছে ...

১। খতীব সাহেব ঘটনার পর পরই মারা গেছেন।
২। আলপিন ছিলো ২ রঙা, রসআলো ৪ রঙা
৩। আলপিন ছিলো অল্পকয়েক পৃষ্ঠা, আর রসআলো বালিশের মতো মোটা।
৪। মতি আগে শুধু সম্পাদক ছিলেন, এখন প্রকাশকও।
... আরও অনেক ব্যাপার আছে, সমঝদার হইয়া থাকলে বুইঝা নেন। শেষে একটি কথাই বলবো, বাদ দেন ভাই, বাদ দেন, ওদের সাথে পারবেন না। কারণ- প্রথম আলো ওয়ালারা হচ্ছে আমাদের বাপ-মা, আর আমরা হলাম কুত্তার বাচ্চা ... কুকুর হইতে সাবধান!

পুনশ্চ : প্রথম আলোর আলপিনে যে কার্টুন-কাহিনীটি ছাপা হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার কারণে এ নিয়ে দেশব্যাপী অনেক কিছু হয়েছে। ব্লগাররা সবাই জানেন আশা করি, এর আগেও একই বিষয়বস্তু নিয়ে একটি কৌতুক ছাপা হয়েছিলো ইসলামী ছাত্রশিবিরের পত্রিকা কিশোর কণ্ঠের নভেম্বর ১৯৯৮ সংখ্যার ৮৭ নম্বর পৃষ্ঠায় হাসির বাকসো বিভাগে। কেউ যাচাই করতে চাইলে উপরোক্ত তারিখের সংখ্যাটি কিশোরকণ্ঠ অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। পুরনো কাহিনী যদিও, তারপরও জানাচ্ছি, কৌতুকটি পাঠিয়েছিলেন ফেনীর আমিরাবাদ এমএসইসসি মাদ্রাসার ছাত্র মুহাম্মদ মাসুদ। ওই সময় কিশোর কণ্ঠের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন শিবির নেতা মতিউর রহমান আকন্দ, সম্পাদক ছিলেন এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন সিরাজুল ইসলাম শাহীন। কৌতুকটির সফটকপি উল্লেখ করছি-

শিক্ষক ছাত্রকে বলল,
শিক্ষক: কালু তোর পিতার নাম কি?
ছাত্র: সাদেক।
শিক্ষক: এই বেয়াদব তোকে না কতবার বলছি যে কোন নামের পূর্বে মোহাম্মদ বলতে হয়।
(কিছুদিন পর)
শিক্ষক: কালু আজ তোর মা কি পাক করছে?
ছাত্র: স্যার, মুহাম্মদ কদু।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৫৩
১৩টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×