মানব জীবনের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বালিশ একটি অতি প্রয়োজনীয় অথচ স্বল্প আলোচিত উপাদান, যা সাধারণত ঘুমানোর সময় মাথায় সাপোর্ট দিতে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য অলঙ্করণময় বালিশ কমফোর্ট বা সাপোর্টের জন্য নয়, ঘরের ভেতরের শোভা বাড়ানোই এটার উদ্দেশ্য। কিন্তু স্বস্তিদায়ক ঘুম পেতে হলে যে বালিশ চাই।
ধারণা করা হয়, সভ্যতার ঊষালগ্নেই বালিশের প্রয়োজনীয়তা মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছিল। প্রাচীন বালিশ সাধারণত খড় বা পাথর দিয়ে তৈরি হতো। এটা অস্বস্তিকর হলেও মানুষ দীর্ঘকাল তা-ই ব্যবহার করেছে। বর্তমানে খড় বা পাথরের বালিশ আর নেই। তুলার তৈরি বালিশের প্রাধান্য এখন বেশি। অবশ্য আর্থিক সঙ্গতিপন্নরা পাখির গরম পালক বা রোম দিয়ে তৈরি বালিশ ব্যবহার করেন। কৃত্রিম আশের তৈরি বালিশের প্রচলনও বেড়ে গেছে।
বালিশ ধোয়া যায় না। কিন্তু বালিশের কভার ধোয়া যায়। তবে শুধু কভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে বালিশকে নিরাপদ বা স্বাস্থ্যসম্মত রাখা যায় না। গবেষকরা বলেন, বালিশের দুটি সাধারণ সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, বালিশে প্রচুর ধূলিকণা জমে। দ্বিতীয়ত, বালিশে বাস করে কোটি কোটি অণুজীব। তাই প্রতি দুই বছর পরপর বালিশ পাল্টে ফেলা উচিত। বিশেষত যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের বেশি পুরনো বালিশ ব্যবহার ঠিক নয়।
এক সময় বালিশ শুধু ধনীরাই ব্যবহার করতেন। প্রাচীন মিসরের একাধিক সমাধিতেও বালিশ পাওয়া গেছে। তবে এসব বালিশ পাথরের তৈরি।
চীনাদের অদ্ভুত বিশ্বাস ছিল এ রকম : নরম বালিশ দেহের জীবনীশক্তি কেড়ে নেয়। আর এ বিশ্বাস থেকে তারা প্রাচীনকালে কাঠ, চামড়া, ধাতু ও সিরামিক দিয়ে বালিশ বানাতো। কিছু বালিশের ভেতর তারা ভেষজ লতাপাতাও রেখে দিতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, এসব ভেষজ উপাদান নানা রোগ থেকে তাদের মুক্তি দেবে, সাদা চুল কালো বানাবে, পড়ে যাওয়া দাঁত গজাবে, এমনকি মধুর স্বপ্ন দেখতেও সহায়তা দেবে। আর জার্মানরা এক সময় বালিশ মাথার নিচে নয়, পায়ের নিচে ব্যবহার করতো। তাদের যুক্তি ছিল, সারাদিন পা সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করে।
ইতিহাসে রয়েছে, প্রাচীনকালে যখন পশ্চিমি বিশ্বের কোনো বিবাহিত ব্যক্তি কাজ উপলক্ষে বাইরে যেতেন, তখন তার স্ত্রী তাকে বাঁশের তৈরি একটি কোল বালিশ সরবরাহ করতেন, যাতে ওই ব্যক্তি রাতের বেলা একাকিত্ব অনুভব না করে। এ কারণে ইংরেজিতে কোল বালিশের একটি সমার্থক শব্দ হচ্ছে ব্যাম্বু ওয়াইফ।
তবে সারা দিনের কান্তি ছেড়ে ফেলতে আমরা যে বালিশে মাথা রেখে ঘুমের জগতে ঠাই নেই, সে বালিশটি কি পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত? বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মোটেও নয়। তাদের দাবি, বালিশ হচ্ছে হাজার কোটি অণুজীবের একটি ক্ষুদে চিড়িয়াখানা। এখানে এমন কিছু ফাংগাল স্পোর বা ছত্রাকের বীজগুটি রয়েছে যা শুধু রোগই নয়, মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ তথ্য দিয়েছেন।
তারা প্রমাণ পেয়েছেন বালিশের প্রতি গ্রামে কিলবিল করছে লাখো ছত্রাক। প্রতিটি বালিশে তারা ১০ লাখেরও বেশি ছত্রাক শনাক্ত করেছেন।
জাপান সম্প্রতি 'গার্ল ফ্রেন্ড ল্যাপ' নামে এক হট বালিশ বাজারে ছেড়েছে। ব্লগের ছবিটি দেখুন।
আলোচিত ব্লগ
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন