somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহবু১৫৪
জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কোথিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।

এই দায়ভার কাদের ?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গত ১০ / ১৫ বছর আগেও আমাদের দেশ এ মোবাইল একটা অচেনা শব্দ ছিল বলা চলে । মানুষ নাকি আগে ১ লাখ টাকা দিয়েও মোবাইল কিনেছে । এত সহজলভ্য জিনিসও ছিল না এটা । মানুষ নিতান্ত দরকার ছাড়া এই জিনিসটা কিনতো না । কিন্তু এখন হাতে হাতে মোবাইল । মোবাইল এর সহজলভ্যতার ফলে এখন সবার হাতেই আছে তা ।


দেশ এর মানুষ ভাবতে পারে নাই যে আমাদের দেশ এ এমন হয়ে যাবে মোবাইল এর বাজার । এতটা বিশাল এক বাজার হবে এটা কেউ ধারনাও করে নাই । সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে । এবং যাচ্ছে আর ভবিষ্যতেও যাবে ।


গ্রামীন ফোন যখন তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাকেজ djuice নিয়ে বাজারে আসে মুলোত তখন থেকেই বলা যায় মোবাইল এর বিপ্লব ঘটা শুরু হয় । এমন ও দেখা গিয়েছে যাদের সিম আছে ২ / ৩ মত তারাও পর্যন্ত এই সিম কিনেছে । প্রচুর বিক্রি হয়েছে এই সিম । আর এই কারণে গ্রামীন ফোন এর জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে । অথচ অনেকেই হয়ত জানেন না যে djuice আসলে গ্রামীন এর নিজের না । এটা বিদেশি এক কোম্পানি এর সাথে গ্রামীন চুক্তি করে এদেশে নিয়ে আসে নিজের product বলে । X(X((


এটা হয়ত সবাই জানেন যে গ্রামীন ফোন তাদের একমাত্র network এর কারণে এতদুর আসতে পেরেছে । গ্রামীন ফোন যারা ব্যবহার করেন বা আগে করতেন এখন আর করছেন না সবাই জানেন তাদের call rate অনেক বেশি । তারপর ও দেশের বেশির ভাগ মানুষ গ্রামীন এর উপর আস্থা রেখেছে । আর সুযোগ বুঝে আমাদের উপর তারা অতিরিক্ত কল রেট আদায় করেছে বার বার । আমরা তা জেনেও তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছি ।


Djuice যখন আসে তখন থেকেই আসলে অন্য এক যুগ এ আমরা পা রাখা শুরু করি । যার নাম হল djuice generation . রাত বিরাতে কল রেট পুরা ফ্রী করে দেয়ার চল শুরু হয়েছিল সেই সময় থেকেই । আর নানাবিধ সুবিধা ছিল সেই সময়ে । ফ্রী করে দেয়ার ফলে সমানে শুরু হয়েছিল রাত বিরাতে ফোনে কথা বলা । আর সিম এর দাম কম হওয়াতে একেকজন কে দেখেছি ২ / ৩ টা করে কিনতে ।


সেই সময়ে যত ঘটনা আমাদের সমাজে ঘটেছে তা আসলেই কল্পনাতিত । সামাজিক অবক্ষয়ের শুরুটা আমার মনে হয় সেখান থেকে শুরু হয়েছিল । কেন হবে না ?? রাত ১২ টার পর ফ্রী । তখন ইচ্ছা মত মনের খায়েশ পুরণ করে কথা বলা যেত । এমন ও হয়েছে চেনা নাই জানা নাই রং নং এ ফোন করে ঘন্টার পর ঘন্টার কথা বলতো সবাই । ইচ্ছা করেই অপরিচিত নম্বর এ ফোন করে আলাপন শুরু হত । একেকজন ২ / ৩ টা করে সিম এর বদৌলতে অনেকজনের সাথে সম্পর্ক রেখেছে । পরে আবার ধরাও খেয়েছে ।


এভাবে করেই সমাজের ভিত্তিটা নড়ে গিয়েছে । অপরাধ করার প্রবনতা বেড়ে গিয়েছেল । সামাজিক মূল্যবোধ, সম্মান সব কিছুকে জলাজ্ঞলি দিয়েছে মানুষ । এখন যত প্রেম ভালবাসা বা পরকীয়া যাই বলেন না কেন এসব এর বেশির ভাগই শুরু সেই সময় থেকেই । এর ফলে ঘটেছে অনেক সামাজিক অপরাধ যার মধ্যে হয়ত অনেক ঘটনা আমাদের চোখ এর আড়ালে ঘটেছে । মুলত গ্রামীন এর target ছিল কম বয়সি ছেলে / মেয়েরা । গ্রামীন তা ভাল মতই করতে পেরেছে । কিন্তু এই সব কম বয়সি ছেলে / মেয়েদের শিক্ষনীয় কিছু দেয়ার বদলে তারা অশিক্ষনীয় অনেক কিছুই দিয়ে গিয়েছে ।


এমন ও শোনা গিয়েছে বউ বাচ্চা থাকা সত্তেও হাসবেন্ড রাতে সমানে কথা বলত এক জনের সাথে । জিজ্ঞেস করলে বলত অফিস এর কাজ এ কথা বলছে । স্ত্রী বিষয়টা বুঝতে পারে অনেক পরে । কিন্তু ততক্ষনে দেরি হয়ে গিয়েছে । সে জানতে পারে তার হাসবেন্ড পরকীয়া তে আসক্ত । কত শত সংসার এভাবে নষ্ট হয়েছে তার হিসাব গ্রামীন ফোন রাখে নাই । আবার কত শত সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে তার হিসাব কেউ দিতে পারবে না ।


গ্রামীন ফোন আমাদের যতটা না দিয়েছে তার থেকে অনেক ক্ষতি করে দিয়ে গিয়েছে । এর থেকে লাভবান আসলে কে হয়েছে ? X((
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×