somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পানি না পাওয়ার ক্ষোভে বড় পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও !!!!!!!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দিনাজপুর, সেপ্টেম্বর ১৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভূগর্ভস্থ পানি না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে এর জন্য বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে দায়ী করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মঙ্গলবার দুই ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখে সহস্রাধিক গ্রামবাসী।
বেলা ১১টা থেকে শুরু করে দুপুর ১টায় কর্মসূচি পালন করে তারা। এরপর এক সমাবেশে তারা হুমকি দেয়, সমস্যার সুরাহা না হলে আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৪টি পানির পাম্পের লাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন ১৪টি গভীর নলকূপের কারণে দুধিপুর, তেলি পাড়া, ইছবপুরসহ আশপাশের গ্রামে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। অগভীর নলকূপ থেকে পানি উঠছে না।
সেইসঙ্গে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আশপাশের গ্রামগুলো কোনো ধরনের বিদ্যুৎ সুবিধাও পাচ্ছে না বলে ক্ষোভ জানায় গ্রামবাসী।
দুধিপুর পানি-বিদ্যুৎ সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের পাম্পগুলোর কারণে গ্রামগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। খাবার পানির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে।"
কমিটির সদস্য সচিব আনোয়ারুল হক বলেন, "এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই। এ কারণে পানি ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে গ্রামবাসী।"
তিনি জানান, তাপ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যার সুরাহা করতে স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে আবেদন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
গ্রামবাসী লাঠি মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করে।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ হালদার সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে বসেন।
তিনি বৈঠকে জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবকে গ্রামবাসীর দাবির কথা লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এছাড়া পল্ল�ী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মাধ্যমে দুধিপুর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া ও পল্ল�ী উন্নয়ন একাডেমি ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে পানি সঙ্কট সমাধানেরও সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে বৈঠকের পরও গ্রামবাসী ২৬ অক্টোবরের কর্মসূচির সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থানের কথা জানায়।
বিশ্বনাথ হালদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এজন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে।"
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী খবিরউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "প্রায় এক বছর আগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পাম্প বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় পাম্প স্থাপন করা সম্ভব হয় নি।"
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দু'টি ইউনিট বন্ধ
এদিকে যান্ত্রিক ত্র"টির কারণে ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন্ কয়লাভিত্তিক এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে।
গত সোমবার ভোর ৬টার দিকে ১ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় দেড়ঘণ্টা পর ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী বশ্বনাথ হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "যান্ত্রিক ত্র"টির কারণে ইউনিট দু'টি বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ইউনিট দু'টি চালুর করার জন্য কাজ করছেন।"
যান্ত্রিক ক্রুটিটি 'জটিল' জানালেও কী ধরনের ক্রুটি এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। বর্তমানে ভালভ পরিবর্তনের কাজ চলছে বলে জানান বিশ্বনাথ।
তবে কবে নাগাদ ইউনিট দু'টি চালু করা যাবে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
Click This Link
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×