রাত দু'টার সময় গতকালের রয়ে যাওয়া ছোলা মুড়ি খেয়ে পেট ভরে ফেললাম। তাই আম্মুকে সেহরীর জন্য ডাক দিয়ে নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরে যখন আম্মু বললো, রোজার শেষ সেহরীটাও খাবি না? তখন আর না উঠে পারলাম না।
রমজান আশার পর সেহরীর কল্যাণে ভোরের হাওয়া ও চমৎকার দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়। অন্য সময় তো ঘুমিয়ে থাকি। এই ক'টা দিন দেখলাম পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্য্য ফুটে ওঠে প্রতিদিন ভোরে। আশা করছি আগামী দিনগুলোতেও ভোরবেলায় সজাগ থাকতে পারবো।
এই মাত্র দরজা খুলতে গিয়ে মনে পড়লো আগামীকাল এমন সময় থাকবে তুমুল ব্যস্ততা। আমি, আব্বু আর ভাইয়া থাকবো গোসল ও ঈদের জামাতে যাওয়ার ব্যস্ততায়। আর রান্নাঘরে আম্মু থাকবে সেমাই নিয়ে। প্রতি বছর এই একটা দিনই এই চিত্র চোখে পড়ে। যদিও কুরবানীর ঈদেও একই চিত্র দেখা যায়, তবুও কেন যেন রোজার ঈদেই আনন্দ বেশি লাগে।
যাই হোক, এটা বোধহয় সামুতে সাড়ে চার বছর ব্লগিংয়ের ইতিহাসে আমার প্রথম পোস্ট যা ভোরবেলায় প্রকাশিত হলো। এই মুহুর্তের অনুভূতিটা সবার সাথে শেয়ার করার জন্য পোস্টটা করলাম। কারণ, কাল এমন সময় সবার বাসায়ই থাকবে আনন্দ ও উৎসবের আমেজ।
সবাইকে ঈদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক। (পোস্ট শেষ হচ্ছে, ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক "ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে.." আস্তে আস্তে ভলিউম কমে আসছে )
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১১:২৭