somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছারপোকা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সোহানের মনটা আজকে বেশ ভাল। রুমমেট আজকে বাসায় থাকবে। ওর ফ্যানটা ইউজ করতে পারবে আজ।কদিন ধরে ভীষণ গরম পড়েছে।কুইচ্চা মুরগীর মত ঝিমানো প্লাস্টিকের পাখাওয়ালা ফ্যানটা যেটা বাবা কিনে দিয়েছিল ৮০০ টাকা দিয়ে ওটা কেমন নুয়ে পড়েছে আজকাল। কলম দিয়ে গুতিয়ে গুতিয়ে চালু করতে হয়। একটু যদি ঘাড় ঘুরিয়েছ তো থামিয়ে দেবে টিমটিমে বাতাস। আচ্ছা বাতাস কি টিমটিমে হয়??
ফেসবুকে হাল্কা খাজুরে আলাপ করে রাত দুটোর দিকে শুয়ে পড়লো। তন্দ্রাভাব গ্রাস করতে শুরু করেছে এমন সময় মধুর অনুভুতিময় কামড়। পাত্তা দিলোনা। একটু পর আবার। তারপর আবারো। ধড়মড় করে উঠে পড়লো। ছারপোকা! কি সর্বনাশের কথা! এদ্দিন হলে ছিল কোন অসুবিধা হয়নি তাহলে আজকে হঠাত!!! হ্যাচকা টানে মশারীটা খুলে ফেলে দিল। সব ছারপোকা মশারীর কোনায় ছিলো লুকিয়ে, কিছু ঠাসঠুস করে মারল। রাতটা কোন রকম পার হয়ে যায়।

টিউশনি থেকে ফেরার পথে একদিন বাদে একদিন কার্জন হল এলাকা পার হতে হয় সোহানের। চশমার ভেতর থেকে দেখে সে কি দারুণ উপহাস সমাজের! একপাশে দেখা যায় কি সুন্দর সব তৈজস্পাতি, নার্সারী! গাড়ি থামিয়ে বড়লোকের বউরা কেনাকাটা করে। লাল টুকটুকে ড্রেস পরে শিশুরা ছবি আকা, গান-আবৃত্তি শিখতে যায়। কি চমৎকার দৃশ্য! আচ্ছা একই সাথে রাস্তার অন্যপাশটাতে কেউ কি ভুলেও তাকায়? মানে কার্জন হল ছাড়া অন্য কিছু কি চোখে পড়ে? ঐ যে একটা ছোট্ট ঠেলাগাড়িতে বসে একটা প্রতিবন্ধী মেয়ে সারাক্ষণ মাথা নাড়ে এদিক অদিক! কেউ দেখেছে? তারপর সবসময় কোলে ঝুলে থাকা বাচ্চাগুলো! তা দেখবে কেন? অসুন্দর কি কেউ দেখে? দেখেনা।তৈজস্পাতি কিনলে নিজের বাড়িঘর সাজানো হবে… ওদের দিকে তাকানোর সময় কার??!! বুকে হাত রেখে বলতে পারে সোহান, এত বৈষম্য পৃথিবীর আর কোথাও নেই।হঠাত একদিন পুলিশ এসে উচ্ছেদ করে সব তৈজস্পাতিওয়ালাদের, আবাসিক-ঠেলাওয়ালাদের। কোন পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই। এখন তৈজস্পাতিওয়ালারা ছড়িয়ে গেছে। আর ভাসমান মানুষগুলো? ওরা আবার আসে রাত গভীর হলে, পুলিশ দেখলে পালায়, বা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে। সোহানের এদের দিকে তাকিয়ে হঠাত ছারপোকাদের কথা মনে পড়ে যায়…
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জেন্ডার ও সেক্স

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

প্রথমে দুইটা সত্যি ঘটনা শেয়ার করি।

২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে জেলা পর্যায়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মৌখিক পরীক্ষার ঘটনা। দুজন নারী প্রার্থী। দুজনই দেশের নামকরা পাবলিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামীলীগে শুধুমাত্র একটি পদ আছে, উহা সভাপতি পদ!

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৪ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১


বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড়, পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দলটির প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। মানুষ এই দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছে। ৭০ এর নির্বাচনে এই দলটিকে নিরঙ্কুশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমপি আনারের মৃত্যু এবং মানুষের উষ্মা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২৯


সম্প্রতি ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর আনোয়ারুল আজীম আনার নামে একজন বাংলাদেশি এমপি নিখোঁজ এবং পরবর্তীতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহের হাড়-মাংস আলাদা করে হাপিত্যেশ করে দেওয়া হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

দোয়া ও ক্রিকেট

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৪


দোয়া যদি আমরাই করি
তোমরা তাইলে করবা কি?
বোর্ডের চেয়ারম্যান, নির্বাচকের
দুইপায়েতে মাখাও ঘি।

খেলা হচ্ছে খেলার জায়গা
দোয়ায় যদি হইত কাম।
সৌদিআরব সব খেলাতে
জিতে দেখাইত তাদের নাম।

শাহাবুদ্দিন শুভ ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বকুল ফুল

লিখেছেন নীল মনি, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৪

বকুল ফুলের মিষ্টি গন্ধে ভরে থাকে আমার এই ঘর। আমি মাটির ঘরে থাকি। এই ঘরের পেছন দিকটায় মা'য়ের হাতে লাগানো বকুল ফুলের গাছ৷ কী অদ্ভুত স্নিগ্ধতা এই ফুলকে ঘিরে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×