জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় সাইকেলে চলাচল উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
সারা বিশ্বে সাইকেল দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বাহন এবং দূষণ ও জ্বালানীমুক্ত বাহন হিসাবে যাতায়াত ব্যবস্থায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। নিয়মিত সাইকেলে চলাচলের মাধ্যমে মুটিয়ে যাওয়া, ব−াড প্রেসার, স্ট্রোক, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো জটিল অসংক্রামক রোগসমূহ প্রতিরোধ করা যায়। রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রেও সাইকেল খুব কম জায়গা দখল করে। যা যানজট নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নানামূখী সুবিধা অর্জনে সহায়ক।
প্রতিদিন ৩০ মিনিট অথবা বছরে ২১০০কিমি সাইক্লিং করলে ৫০ভাগ মুটিয়ে যাওয়া, ৩০ভাগ ব্ল¬াড প্রেসার, ৫০ভাগ হৃদরোগ, ৫০ভাগ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়। প্রাইভেট কার যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এছাড়া যান্ত্রিক যানবাহনের আধিক্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে বায়ূ ও শব্দদূষণ এবং সড়ক দূর্ঘটনা বিশ্বে পরিবহণ খাতে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহারজনিত কারণে ২৫শতাংশ কার্বন নির্গমণ হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। ঢাকায় ৭৬ ভাগ যাতায়াত হয় ৫ কি.মি. এর মধ্যে, যার অর্ধেক আবার ২ কি.মি. এর কম। উপযুক্ত পরিবেশ সৃস্টি করা গেলে এই দূরত্বে হেঁটে এবং সাইকেলে করেই যাতায়াত করা সম্ভব।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে নগরকেন্দ্রিক যাতায়াত ব্যবস্থায় হাঁটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এরপরই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে সাইকেলে চলাচলকারীদের। সাইকেল ব্যবহারের একটি উত্তম উদাহরণ হচ্ছে ডেনমার্ক। ২০০৭ সালের হিসাবমতে, ডেনমার্কে সাইকেলে ৩৬ ভাগ যাতায়াত হয়েছে এবং তারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ২০১৫ সাল নাগাদ সাইকেলে ৫০ ভাগ যাতায়াত করবে। সেখানে তুষারপাতের মধ্যেও সাইকেল ব্যবহারকারীদের ৭০ ভাগ মানুষ সাইকেলে করেই যাতায়াত করেন।
ঢাকায় সাইকেলে চলাচলের ক্ষেত্রেও নানাধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যান্ত্রিক যানবাহনের সঙ্গে একই লেনে সাইকেলে চলতে অনেকেই নিরাপত্তা বোধ করেন না। সাইকেল নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর পর রাখার মতো নিরাপদ ব্যবস্থা নেই। পৃথক লেন, পথ ও স্ট্যান্ড তৈরি করা হলে সাইকেলে চলাচল উৎসাহিত হবে। সাইকেলের উপর কর কমানো, কারখানার প্রসারে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ঢাকা শহর তথা সারা বাংলাদেশে যাতায়াত ব্যবস্থায় সাইকেলকে প্রাধান্য দিয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। সঠিক পরিকল্পনা ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন সাইকেলে চলাচলে উৎসাহিত করবে। যা পরিবেশ, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন এবং জ্বালানী নির্ভরতা হ্রাসে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি শহরকে আন্তরিক ও বসবাসযোগ্য করতে সাহায্য করবে। সাইকেলকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে বিশ্বের অনেক দেশেই নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আসুন, নিজেদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সাইকেলে চলাচল উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সকলে একযোগে কাজ করি।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)
একদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।
একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?
ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন
সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প
বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাড়ির কাছে আরশিনগর
বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।
কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি ভালো আছি
প্রিয় ব্লগার,
আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন