somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামুতে আর থাকছিনা। বিদায় সামু, বিদায়।- মামুন বিদ্রোহী

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হ্যা, অবশেষে বহু ভেবে চিন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হইলাম যে আমি আর ব্লগে থাকছিনা। কিছুদিন আগে একটা পোষ্ট নিয়ে আস্তিক-নাস্তিক বিরোধে জড়িয়ে পড়ে অনেকটা বলির পাঠা হতে হলে এই মামুন বিদ্রোহীকে। :( স্পেলবাইন্ডার নামে একজন আমাকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখছে। অনেকে আবার আমার পৈতা/ ঘটি/ কেপি টেস্টের দায়িত্ব নেয়। আর বাদ বাকি ছাগুরাতো আছেই। রীতিমত ফ্লোডিং শুরু করে দিল। মূল পোষ্টে কোন আলোচনায় না এসে কাউন্টার পোষ্টগুলোতে মূল পোষ্টের বিষয়বস্তু অন্যদিকে ঘুরিয়ে আমার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলে। আর দুনিয়ার খোচানি আর উস্কানিমূলক কমেন্ট তো আছেই। হিজবুতি চুতিয়া থেকে এক্কেবারে নাস্তিক। B-) দূরপাল্লার বাসের মত সরাসরি এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। মাঝখানে কোন থামাথামি, নাই কোন যুক্তিতর্ক। একজন হিজবুতি আবার নাস্তিক হয় কেমনে।:) প্রমোশন হইলো নাকি ডিমোশন হইলো বুঝলাম না। তবে মান সম্মান নিয়ে নিজ নাম পরিচয়ে ব্লগিং করা যাবে না, এটা অন্তত শিউর।:|:|:|


যাওয়ার আগে দু-একটা কথা বলে যাই,

আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক নিয়ে লেখার আমার তেমন কোন আগ্রহ নাই। কিন্তু এই প্রসংগটাতে কিছু অতি উৎসাহী লোকের আস্ফালন দেখে আমি উক্ত পোষ্ট লিখতে বাধ্য হই। একজন আস্তিকের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছি এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করি উপরে একজন আছেন। আমার মতে আমাদের ধর্মটা অন্যান্য ধর্মের চাইতে বেশি যুক্তি নির্ভর এবং এটা অনেকক্ষেত্র প্রমাণিত। কিন্তু তবুও কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের শুধু মাত্র বিশ্বাস নির্ভর থাকতে হয়। কারণ আমরা বিশ্বাসী, আমরা আস্তিক। আর এই বিশ্বাস বা সেন্টিমেন্টকে যখন অতি উৎসাহী আস্তিকরা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে যায়, তখনই মূলত দন্দটা সৃষ্টি হয়। কারণ সেই বিশ্বাসের বিপক্ষে কিন্তু শক্ত যুক্তি থাকে। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপাতত বিশ্বাসের জায়গাটাকে যুক্তি থেকে দূরে রাখা উচিত। কারণ দুনিয়াতো এক্ষণি শেষ হয়ে যাচ্ছেনা যে সব কিছু এরই মধ্যে প্রমাণ করে ফেলতে হবে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় যে এই বিশ্বাস বা সেন্টিমেন্টকে আক্রমণ করে নাস্তিকরা বিকৃত আনন্দ খুজে পায়। নাস্তিকদের কাছে তো মানবতাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। একজন মানুষের যুগ যুগ ধরে লালিত বিশ্বাস/ সেন্টিমেন্টে এভাবে আঘাত দিয়ে, সেই বিশ্বাস/ সেন্টিমেন্ট নিয়ে নোংরামী করে এই নাস্তিকরা কেমন মানবাতার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায় আমার মাথায় ধরে না।

তবে হ্যা একটা কথা নির্দিধায় বলতে পারি, এই ব্লগে যতদিন পৈতা/ ঘটি/ কেপি/ ধন টেস্টকারী এবং বাদ বাকি ছাগুরা আস্কিকদের নেতৃত্ব দিবে ততদিন নাস্তিরাই এগিয়ে থাকবে। কারণ এদের কাছে ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করা মানেই মহাঅপরাধ। আপনি তাদের কাছে সুন্দরভাবে ধর্মীয় ব্যপারে জানতে চাইবেন, তারা আগে আপনার ধন টেস্ট করে নিবে। এই টেস্টগুলো দ্বারা তারা বিধর্মী বা ভিন্নধর্মালম্বিদের ইঙ্গিত করে। তার মানে তাদের কাছে বিধর্মীরা অতি ঘৃণ্য প্রাণী। তাই তাদের মতের বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখলেই তাকে বিধর্মী হিসেবে ইঙ্গিত করা হবে। এখন আপনি ধর্মপ্রাণ আস্তিক হউন, আর যাই হউন। ৭১ এ ফাকিস্তানি আর্মীরা যেমন বাঙালীদের ধরে ধরে লুঙ্গি খুলে আগাটা চেক করতো। পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য এরা এখনো ভালোভাবে ধরে রেখেছে।

আপনার অন্তরে হয়তো খোদাভক্তি ঐসব আবালের চাইতে চৌদ্দগুণ বেশি থাকতে পারে। কিন্তু আপনার সেন্টিমেন্টের কোন মূল্য নেই তাদের কাছে। এজন্যই আমি নাস্তিক আর এদের মধ্যে কোন পার্থক্য খুজে পাইনা। নাস্তিকদের মধ্যে তো খোদভীতি, জান্নাত-জাহান্নাম এসবের লোভ/ভয় নেই। কিন্তু যাদের মধ্যে খোদাভীতি ঠাসাঠাসা তারা যখন এসব করে তখন নাস্তিকদের কি দোষ দিব..??

আস্তিক ভাইদের উদ্দেশ্যে বলছি, ( যারা ঐ সকল পোষ্টে যুক্তি তর্কে অংশ নেন) আপনারা এগিয়ে যান। পবিত্র কুরআন শরীফেই সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। মাঝপথে যে সকল কনফিউশন তা একদিন দূর হবেই হবে। বহু কনফিউশন, আলোচনা-সামালোচনার উপযুক্ত জবাব দিয়েই আজ ইসলাম বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছে। কিছু আবালের অবলমীর দায়ভার ইসলাম বা আস্তিকরা বহন করবে না। তেমনি কারো অতীত আকামের দায়ভারও ইসলাম বহন করবে না।
আর এস. এম. রায়হান ভাইদের বলছি, সব কিছুর জবাব মূহুর্তেই দিয়ে দিতে হবে তা কিন্তু না। এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে হাজার প্রশ্ন তৈরি করার কোন মানেই হয় না। যুক্তিতর্কে কিছুটা সময় নিন। ইনশাল্লাহ তালগাছ একদিন আপনার হবেই হবে। :)


যাই হোক, ব্লগে আর থাকছিনা। ঈদ উপলক্ষে কাল বিকেলে বাড়ি রওনা দিচ্ছি। চার-পাঁচদিন হয়তো ব্লগে আসতে পারবো না। তাই সকলকে আগাম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।

( যে সকল ছাগু ভাইয়েরা পোষ্টের শিরোনাম দেখে খুশিতে আত্নহারা হয়ে শেষ মেষ অক্ষম পুরুষের মত ফিরে যাচ্ছেন তাদের জন্য সমবেদনা ;)। মাইনাস বানট মনে হয় নিচে বাম দিকে।:):):))
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৪
৪৮টি মন্তব্য ৪৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×