somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Foundation Series: আইজাক আসিমভের এক অনন্য সৃষ্টি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আইজাক আসিমভের নাম মোটামুটি সবারই জানার কথা। তাকে বলা হয় Grandmaster of Science Fiction। তাঁর জন্ম ১৯২০ সালে রাশিয়ায়। তিন বছর বয়সে পিতামাতার সাথে তিনি আমেরিকায় চলে আসেন। আট বছর বয়সে সে দেশের নাগরিকত্ব পান।
১৯৬৯ সালে সায়েন্স ফিকশন লেখক হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু। পাঠক ও সমালোমচক- সবার মতে তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি হল Foundation Series। Foundation এর প্রথম বইগুলো অ্যাস্টাউন্ডিং পত্রিকার মে ও জুন, ১৯৪২ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে জেনেম প্রেস আসিমভের Foundation এর বইগুলো তিন খণ্ডে প্রকাশ করেঃ



1. Foundation (1951)
2. Foundation and Empire (1952)
3. Second Foundation (1953)

এই তিনটি বইকে বলা হয় Foundation Triology। ১৯৬৬ সালে ক্লীভল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড সায়েন্স ফিকশন কনভেনশনের সদস্যরা আসিমভের এই তিনটি বইকে Best All Time Series হিসেবে নির্বাচিত করে এবং হুগো অ্যাওয়ার্ড এর জন্য মনোনয়ন দেয়। Foundation Triology শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটা পেয়ে যায়।
অপরদিকে ভক্ত প্রকাশকেরা তাঁকে এ সিরিজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। অবশেষে দীর্ঘ ৩২ পর তিনি আবার Foundation Series লেখা শুরু করেন। এ সিরিজের পরবর্তী বইগুলো হলঃ

4. Foundation's Edge (1981)
5. Foundation and Earth (1986)
6. Prelude to Foundation (1988)
7. Forward the Foundation (1993)

এই সাতটি বই নিয়েই আসিমভের Foundation Series গঠিত। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো এই সিরিজের আরো কিছু বই লিখে যেতেন।
প্রকৃতপক্ষে আইজাক আসিমভের এই অনবদ্য সিরিজ সমগ্র সায়েন্স ফিকশন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন গ্যালাকটিক বিশ্বের যেখানে মানুষের আধিপত্য সমগ্র গ্যালাক্সি জুড়ে। তাই বইগুলো পড়ার সময় আসিমভের সাথে পাঠকও ঘুরে বেড়ায় সেই সুবিশাল সাম্রাজ্যে।

১৯৯২ সালের এপ্রিল মাসে এই অসামান্য লেখক ৭২ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×