জ্যামাইকার গতিদানব উসাইন বোল্টকে সর্বকালের সেরা অ্যাথলেট মানছেন আট বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মাইকেল জনসন।
Published : 20 Aug 2013, 12:41 PM
বিবিসি স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সাবেক মার্কিন দৌড়বিদ জানান, বোল্টের মতো এভাবে একের পর এক প্রতিযোগিতায় অনায়াসেই সবার উপর ছড়ি ঘোরাতে আর কাউকে দেখেননি তিনি।
মস্কোতে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যম্পিয়নশিপে তিনটি সোনা জিতে বোল্ট স্পর্শ করেছেন মাইকেল জনসন, কার্ল লুইস ও অ্যালিসন ফেলিক্সের আটটি সোনা জয়ের অনন্য রেকর্ড।
তবে বিশ্বসেরা হয়ে ওঠার আগে বিশ্ব চ্যম্পিয়নশিপে দুটি রৌপ্যপদকও জিতেছিলেন বোল্ট। সে হিসেবে তার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ১০টি পদক পাওয়া অ্যাথলেট আছেন দুজন, কার্ল লুইস ও অ্যালিসন ফেলিক্স। কিন্তু পদকের হিসেবে ২৬ বছর বয়সী বোল্ট দুই মার্কিনির উপরেই থাকবেন; কারণ তাদের পদকের তালিকায় আছে একটি করে ব্রোঞ্জ।
জনসন মনে করেন, বোল্ট যে সর্বকালের সেরা তা পদকের হিসেব না করেই বলা যায়। বেশি পরিশ্রম না করেই কেবল ফিটনেসটা ধরে রেখে বোল্ট যে কাউকে হারাতে পারবেন আরো কয়েকটা বছর।
"বোল্ট অসাধারণ। আপনি তার সঙ্গে কোনো সময়ের কোনো অ্যাথলেটেরই তুলনা করতে পারবেন না।"
জনসন মনে করেন, বোল্টের মতো এভাবে অ্যাথলেটিক্সে আধিপত্য বিস্তার করে রাখতে পারবে না কেউই। বরং ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফর্মের তুঙ্গে থাকা বোল্ট যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়ে আরো জোরে দৌড়ানোর চেষ্টা করেননি।
২০০৯ সালে বার্লিন চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার ২০০ মিটার ও ৪*১০০ মিটার দৌড়ে সোনা জেতা বোল্ট ২০১১ সালের দেগু আসরে কেবল ১০০ মিটারের শিরোপা হারিয়েছিলেন ফলস স্টার্টের জন্য। মস্কোতে আবার পেলেন তিনটি ইভেন্টে সোনা।
২০০৮ ও ২০১২ সালের অলিম্পিকেও ১০০ মিটার ২০০ মিটার ও ৪*১০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই গতিদানব।
জনসন মনে করেন, অলিম্পিক ও বিশ্ব চ্যম্পিয়নশিপে সাফল্য পেতে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশ নেয়া কমিয়ে দিতে পারেন বোল্ট। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ফিট থাকাটাও কষ্ট হবে।