somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দু'টো সিনেমা নিয়ে স্মৃতি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকে হয়তো ক্যাপশন পড়ে হাসছেন, অনেকে বিরক্তও হতে পারেন – রোজার দিনে সিনেমা নিয়ে লেখালেখি! এই মেয়ের কি মাথা নষ্ট? তারপরও লিখছি কারণ দু’টো সিনেমার কথা মাথায় ঘুরছে। আপনাদের অনেকেই হয়তো সিনেমা দু’টি দেখেছেন। এই সিনেমার সাথে দু’টি স্মৃতি জড়িত।

আমির খান এবং জুহি চাওলা অভিনীত কায়ামাত সে কায়ামাতাক প্রথম দেখা কোন হিন্দি সিনেমা। যার কারণে কখনই এই সিনেমার কথা ভোলা হয়নি। বলতে অপেক্ষা রাখেনা যে মুগ্ধ হয়েছিলাম। ১৯৮৮ সালে যখন কায়ামাত সে কায়ামাতাক মুক্তি পায় তখন কতজন ভেবেছিল যে আমির খান একসময় একজন বড় তারকা হবেন। এখনও এই সিনেমার গানগুলো দেখলে ইউটিউবে ভাবি, কি সুন্দর কথা আর গান! এরপর কত হিন্দি সিনেমা দেখেছি যার বেশিরভাগেরই চিত্রনাট্য অথবা পাত্র-পাত্রী কারা ছিলেন মনে করতে পারি না।

আর কেয়ামত থেকে কেয়ামত হলে গিয়ে দেখা প্রথম বাংলা সিনেমা। যারা হলে তেমন একটা যেতেন না তারাও সেই সময় এই ছবিটি দেখতে হলমুখী হয়েছিলেন। সালমান শাহ্ আর মৌসুমী বাংলা সিনেমার অনেক পুরনো প্রথা ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। এরপর আর কোন মেইনস্ট্রিমের বাংলা ছবি হলে গিয়ে দেখা হয়নি। কেয়ামত থেকে কেয়ামত দেখতে হয়তোবা আব্বু নিয়ে যেতেন না কিন্তু আনন্দ ফিল্মস থেকে তাকে চারটি টিকেট দিয়ে যাওয়ায় আ্মাদের সুযোগ হয়েছিল ছবিটি দেখবার। বেশ কয়েক বছর পর দিপু নাম্বার টু দেখেছিলাম হলে গিয়ে। সেই সময় সমবয়সী অনেক ছেলেমেয়েই দেখেছিল হলে গিয়ে দিপু নাম্বার টু। গল্পটি আগে থেকে পড়া ছিল দেখে আগ্রহটাও অনেক বেশি ছিল। আম্মু আমাকে, ভাইকে, এক খালাতো বোন আর আমাদের বাসায় কাজ করতো একটি মেয়ে তাকে সহ গিয়েছিল ছবিটি দেখতে। মনে আছে আব্বু অফিসের পিয়নকে দিয়ে টিকেট পাঠিয়ে দিয়েছিল সকাল বেলায়। আচ্ছা যা বলছিলাম, কেয়ামত থেকে কেয়ামত রিমেক হলেও স্বীকার করতে হবে সোহানুর রহমান সোহান খুব ভাল কাজ করেছিলেন সেই সময়। ১৯৯১ সালে মধ্যবিত্তদের টেনে এনেছিলেন হলে।

অনেক কারণেই তাই সিনেমা দু’টি এখনও মনে গেঁথে আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৩
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×