যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া চারটি রায় নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ স্টিফেন জে র্যাপ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।
Published : 15 May 2013, 09:13 AM
বুধবার সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই দূতের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “প্রতিটি রায়ই তারা দেখেছেন। কোনো রায় সম্পর্কে তাদের কোনো ধরনের আপত্তি বা কমেন্ট নেই।”
শফিক আহমেদ বলেন, বিভিন্ন আদালতের এ ধরনের রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা রায় দিয়েছেন।
বিচার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার জন্য আইন পরিবর্তন করা হয়েছে বলে র্যাপকে জানান আইনমন্ত্রী। বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক যুক্তরাষ্ট্রের এই দূতের কাছে তুলে ধরেন তিনি।
“এগুলো দেখে র্যাপ বলেছেন, এই বিচারে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই।”
আইনমন্ত্রীর সঙ্গে র্যাপের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাও উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের দূত যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে কোনো আপত্তি জানাননি। আমাদের অবস্থান জানতে চেয়েছেন। আমি তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছি।”
যুক্তরাষ্ট্রেও সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্টান্ড রাসেলও এ ধরনের অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার কথা বলেছেন।
“১৯৭১ সালে আমাদের দেশে যারা গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, নিরীহ মানুষকে হত্যা করে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নিরীহ মানুষকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছিল তাদের অপরাধ বার্টান্ড রাসেলের মত অনুযায়ী সিরিয়াস ক্রাইম। সেসব অপরাধের জন্য বার্টান্ড রাসেল ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের কথা বলেছেন। আমি সেসব বিষয়ে র্যাপের সঙ্গে আলোচনা করেছি।”
একাত্তরের এই সব অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
“উনারা শুনেছেন। উনারা বলেছেন, আমাদের দেশেও সন্ত্রাসী কাজের জন্য ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দিয়ে থাকি,” বলেন শফিক আহমেদ।
ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের এক হাজার সাক্ষীর নাম দেয়ার কথা শুনে র্যাপ বিস্ময় প্রকাশ করেন বলেও জানান তিনি।