somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বোকা মেয়ে ( হালকা ১৮+)

৩০ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রুপালী মেয়েটি আমাদের রান্না করে খাওয়ায়, শরীর স্বাস্হ্যে এক গোট্টা হলে ও এই মেয়েটি বাসা বাড়িতে কাজ করে তা তার র্ফসা শরীর দেখে কেউ বলতে পারবে না।
আমি তখন আজিম পুরের নিউ পল্টনে থাকি, মেসের বধ্য পরিবেশ ভাল লাগেনা বলে তিন তলায় একটি ফ্যামেলি ফ্ল্যাটে সাবলেট হিসাবে থাকি, ব্যচলারদের খাওয়া কি যে কষ্ট তা একমাত্র ব্যচলারাই বলতে পারে, নীলক্ষেতের হোটেল গুলি ছিল নিত্য সঙ্গি, কিন্তু নীলক্ষেতের সস্তা খাবার খেয়ে গ্যাসষ্টিক, ডায়রিয়া হয়নি এমন লোক হারিকেন দিয়া ও খুজে পাওয়া যাবে না। এমন মহা বিপদ থেকে উদ্ধার করে সবার খালা হিসাবে নিউ পল্টনে এক মহিলা, সে মাসিক ২৫০০ টাকা বিনিময়ে তিন
বেলা খাদ্য যোগান দিবে, আমার মত একজন বউহীন ব্যচলরের জন্য তো মহা সুসংবাদ, পর দিনই জয়েন্ট করলাম খালার আবাসিক রেষ্টুরেন্ট এ, খাবারের মান যাই হোক তবুও নীলক্ষেতের বিষাক্ত খাদ্য গ্রহন করতে হবে না এটাই ছিল মহা শান্তনা।
তো যাই হোক খালার সহকারী ছিল রুপালী, খালার গ্রামের গরীব ঘরের মেয়ে, তিন বেলা খাবারের বিনিময়ে সারাদিন রান্না বান্না করে, সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। থালা বাসন কাপড় কাচা থেকে শুরু করে খালার সব কাজের ব্যবস্থাপক ছিল রুপালী।
এতো খাটাখাটনির পরও মেয়েটির মুখে সব সময় হাসি লেগেই থাকতো।
রুপালী বোবা, এ কথা জানতে পারি আরো তিন চার দিন পর, টাইপেড জ্বরে রুপালী বাকশক্তি হীন হলেও সবার কথা বুঝতে তার কোন সমস্যা ছিল না,
রুপালি একজন যৌবন পাপ্ত মেয়ে এর চাইতে সে একজন দুঃখি মেয়ে এটা ছিল রুপালীর আমার মনের স্থান।
কিন্তু আমার সাথে যারা খেত তাদের বেশী ভাগই রুপালীর যৌবনরে স্বাদ আচ্ছদনের চেষ্টায় আচ্ছিত ছিল। যদিও রুপালীর কোন ভাব প্রকাশ হত না।
একদিন শুনি রুপালী বিছানায় শুয়ে আছে, তার কারন কি জিঙ্ঘাসা করতেই খালা যা বলল , তার সারর্মম হল এই, রুপালী প্রায় সময় চুরি করে খালার নাতনীয় প্রসাধনী ব্যবহার করে, যা খালার নাতনী রুপালী কে অনেক আগের ১৪৪দারা জারি করেছে, বার বার সতর্ক করার পরও রুপালী সেই ১৪৪ দারা ভঙ্গ করে নিজের রুপসাধনা করে।
গত রাতে হাতে নাতে ধরাপড়ার ফল সরুপ, অতি উত্তম মাধ্যমের ফলে রুপালীর আজ এই অবস্থা।
মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছিল, অসহায় একটি মেয়ে সখ আছে কিন্তু সাধ্য নাই,
অফিস থেকে আসার পথে সস্তায় কিছু মেয়েদের সাজবার প্রসাধনি কিনে খালার হাতে দিলাম, রুপালী কে দেওয়ার জন্য।
খালা এসব দেখে বলল, আর বল না বাবা, তুমি ভদ্র ছেলে তাই আমার হাতে দিয়েছো, অন্য ছেলে গুলি তো বড্ড খারাপ, মেয়েটির মন পটাবার জন্য নানা কিছু কিনে নিয়ে আসে, মেয়েটিও বড্ড বোকা, যা পায় সব কিছু লুফে নেয়, আর রাতের বেলা এসে মেয়েটির সাথে নান অপকর্ম করা চেষ্টা করে, আমি আবার খুব সাবধানে থাকি, যে যাই কিছু দেকনা কেন, সব গুলি ফিরিয়ে দেই, কেউ কেউ এখন রুপালীর ধারে ভিড়বার জন্য আমার নাতনীর কাছে নানান কিছু রেখে যায়। যা রুপালী আমার নাতনীর সাজগোজের জিনিস গুলি নিজের মনে করে ব্যবহার করে, আর আমার নাতনী তা সহ্য করতে পারে না।
মেয়েটি এত বোকা যে , এর আগেও কয়েকবার ছেলেদের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল, লোভী ছেলে গুলি কয়েক দিন পর রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়, তার পর আবার আমার এখানে, একবার তো পেটে বাচ্চা হয়ে গিয়ে ছিল, অনেক টাকা খরচ করে পেট খালাস করে ছিলাম,
গত চার মাস আগে একবার চলে গিয়ে ছিল, একটি ছেলে দুই সাপ্তাহ রাখার পর সদস ঘাটে ফেলে চলে যায়, মেয়েটি লজ্জায় আমার কাছে না এসে খারাপ জায়গায় গিয়ে উঠে, আমার এখানে ভাত খায় এমন একটি ছেলে ওর খোজ দিলে, ওকে খারাপ জায়গা থেকে ধরে নিয়ে আসি, কয়েকদিন পর দেখি ওর সিফিলিস হয়েছে, নিজের ঘাটের টাকা খরচ করে ডাক্তার দেখিয়ে, ভাল করে আমার কাছে রাখছি, এখন ওকে আমি দোকানে পর্যন্ত পাঠাই না, এই ভয়ে যে আবার কোন ছেলের পাল্লায় পড়ে অঘটন ঘটায়।
দুদিন পর দেখি রুপালী সেজেগুজে আমার সামনে হাজির, নানা অঙ্গভঙ্গি করে আমাকে আকৃষ্ট করা চেষ্টা করছে। মনে করলাম ওকে আমি কিছু কিনে দেওয়ার কৃতজ্ঞা সরুপ খুশি হয়ে এমন করছে।
কিন্তু কয়েকদিন আমাকে আকার ইঙ্গিত করে অনেক কথা বলল আমার বুকে ইশার বুঝালা সে আমার বুকে ঘুমাতে চায়,
হায়রে বোকা মেয়ে সারা জীবন তো ঠকলি, এভাবে কাউকে না কাউকে আপন করে নিতে গিয়ে। এই উচু নিচু সমাজ ব্যবস্থায় তা কি কোন ভাবে সম্ভব??
১৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×