(- ছেলে =মেয়ে)
= আচ্ছা এবার ঈদে তুমি আমাকে কী দিচ্ছ?
- আশ্চর্য! তুমি কী এতিম হয়ে গেছ?
= বাঃরে! বিয়ের পর তুমি কী আমাকে কিছু দিবে না?
- সেটা বিয়ের পরের ব্যাপার...
= অভ্যাস করে রাখলে ভাল হত না?
- এই অভ্যাসটা করা লাগেনা! বিয়ের পর এম্নিই গড়িয়া ওঠে!
= আচ্ছা কিছু না দাও সালামী তো অন্তত দিবে?
- সালামী পেতে হলে যে সালাম করতে হবে!
= আচ্ছা কত টাকা দিবে বল... তারপর বিবেচনা করব সালাম করলে পোষাবে কী না!
- সালাম যদি সত্যিই কর তবে তোমাকে আমি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা দিতে পারি!
= মাত্র! বয়েই গেছে আমার সালাম করতে। আমার কাজিন ‘মুন্নাভাই’ কে সালামও করা লাগে না শুধু মুখে ‘স্লাামালিকুম’ বললেই ১০০০ টাকা ধরিয়ে দেবে!
- মুন্নাভাই এমবিবিএস কী যেন একটা চাকরি করে না?
= উনি এমবিবিএস না... উনি ব্যাংকে চাকরি করে।
- বেতন পায় কতো?
= ৪০০০০ টাকা...
- তাহলে তুমিই হিসাব কর উনি তোমাকে কতো পার্সেন্ট সালামী দিলেন!
= মানে?
- ৪০০০০ টাকা বেতন পেয়ে যদি ১০০০ টাকা সালামী দেয় তাহলে সেটা হয় মাত্র ২.৫% আর আমি ১ টাকাও কামাই করি না আমি তোমাকে দিচ্ছি ১০০ টাকা যেটা আমার ১০০% ... এবার তুমিই বল কে বেশি দিল!
= তুমি বহুত চিজ আছ...
- চীজের কী হল! তুমি অংক করে দেখ!
= সবকিছু অংকে হয় না।
- ইয়েস! এই কথাটাই এতদিন ধরে বলতে চাচ্ছিলাম! সবকিছু অংকে হয় না... সাহিত্যও লাগে!
= আচ্ছা বাদ দেন ১০০% দানবীর হাজী মহসিন! এবার বলেন ঈদে কী কিনবেন? এক পাঞ্জাবীতে তো ৯ ঈদ পার করে দিলেন! কিপটা যে কাকে বলে!
- খোটা দিচ্ছ? দাও... কপালে খোটা থাকলে কেউ ঠেকাতে পারে না! তুমি শুনলে খুশিই হবে অথবা খোটাও দিবে... এবারের ঈদেও আমি কিছু কিনব না!
= আমিও অবশ্য এই ঈদে কিছু কিনব না। তবে একটা কথা কী জান তুমি যে নতুন জামাকাপড় বেশি কেন না এতে আমার ভালই লাগে! কারণ নতুন পোশাকে তোমাকে কেমন জানি অচেনা অচেনা লাগে!
- কী কোন এক অচেনা স্বপ্নের রাজপুত্তুর এর মতো?
= হতে পারে!
- তুমিও যে এই ঈদে নতুন কিছু কিনবে না এজন্য আমারও ভালই লাগছে। কারণ নতুন পোশাকে তোমাকে এত বেশি সুন্দর লাগে যে আমি তোমাকে চিনতেই পারি না!
= সর্বনাশ! আমাদের তো তাহলে পুরানো পোশাক-আশাক পরে বিয়ে করতে হবে! নতুন পোশাকে একে অপরকে যদি চিনতেই না পারি!
- বুদ্ধিটা খারাপ না! পুরানো পোশাকে বিয়ে করতে আমার আপত্তি নেই... পোশাক-আশাকের যা দাম!
..............................................................