somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এটি নিরেট একটি প্রেমের চিঠি। তবে এক পাক্ষিক নয়, দ্বিপাক্ষিক.........

২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয়তমা,
উপরের এই শব্দটি একেবারে গণ শব্দ। সবাই ব্যবহার করে। তাই আমি ব্যবহার করতে চাইছি না অনন্ত তোমার নামে বিশেষণ ব্যবহারে। তাই ভাবছি তোমার একটা নাম দেয়া প্রয়োজন। যা শুধু আমিই ডাকবো। আর শুধু শুনবে তুমি.........

অনেকদিন ভেবেছি। আরও ভাববো বলে ভাবছি। কারণ সময় নিয়ে এই কর্মটা করা উচিত বলেই আমি মনে করি। আর এরই মধ্যে তোমার সঙ্গে সম্পর্কটা আরো বেশি গভীর করে নেবো। আমার আশা, তুমিও সাড়া দেবে।

যাই হোক নাম প্রসঙ্গে ফিরে আসি। আমি তোমার নাম একবার ভাবছি সবুজি দিই। আবার মনে হচ্ছে এটা ঠিক মানাচ্ছে না। মানে যায় না তোমার সঙ্গে। একবার ভাবি তোমাকে সরলতা নামে ডাকি। কিন্তু তাও যায় না। তুমি সরল নও। এই বাংলার কেউই সরল নয়। ফলে এটা তোমার কোন দোষ নয়।

প্রসঙ্গত, তোমাকে একটা প্রচলিত কতা শুনায়। কথিত আছে এই ভারতবর্ষের লোকজন এতই জটিল চিন্তা করতো যে দেশে বাগ হয়েছে বক্র রেখায়। যা ইউরোপ বা আমেরিকায় হয়নি। বাদ এসব কথা। প্রেমের চিঠিতে এসব মানায় না।

শোনো, আজ দুপুরে একটা মজার ঘটনা ঘটেছে। আমি মোটর সাইকেল চালিয়ে মিরপুর রোড ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলাম ধানমন্ডির দিকে। ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে এক সার্জন আমাকে দাড়ানোর জন্য বাশিঁ দিলে আমি মোটর সাইকেল থামিয়ে ফেলি। সার্জন ধীর পায়ে এগিয়ে আসলেন। কাছে আসতেই অঅমি তাকে আমার লাইসেন্স বের করে দিলাম। তিনি লাইসেন্স নিয়ে রাস্তার এক পাশে চলে গেলেন। এমন সময় এক ট্রাফিক পুলিশ এসে আমাকে কানে কানে বলল, ‘স্যার কিন্তু কেস কইরা দিলে বোঝবেন ঠেলা। তার আগে কিছু টাকা পয়সা দিয়া দেন আমি স্যারেরে বলে কয়ে আপনার মামলা না খাওয়ানে ব্যবস্থা করতাছি।’

আমি কোন কথা না বলে ১০০ টাকা একটা নোট দিয়ে বললাম, ‘এর বেশি তো আমার কাছে নেই।’ টাকাটা অনেকটা আমিস নিজেই ট্রাফিকের হাতের মুঠোয় দিলাম। সে তড়িৎ সে টাকা নিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলল।

আমি বুঝতে পারছি তুমি এই মুহূর্তে আমার উপর অনেক ক্ষেপে যাচ্ছো। কি করবো বল, নিত্যদিন অনেকাংশ সময়ই থাকতে এই ধরনের সামাজিক ব্যাধির সঙ্গে। আর একটু বলেই এই হল্প ক্ষ্যান্ত দিব। প্লিজ ডোন্ট মাই ডিয়ার।

কিছুক্ষণ পর ট্রাফিক পুলিশ ফিরে এসে আমার হাতে লাইসেন্স দিয়ে বলল, ‘বহুত কষ্ট হইছে।’

আমি আর কথা না বাড়িয়ে আমার একটা বিজনেস কার্ড তাকে দিয়ে বললাম আপনার স্যারকে এই কার্ডটা দিয়েন।

আমি মোটর সাইকেল নিয়ে রাসেল স্কোয়ার থেকে যখন বায়ে মোড় নিয়ে পান্থপথের দিকে যাচ্ছি, এমন সময় আমার পাশে একজন পুলিশ সার্জন্ট মোটর সাইকেল নিয়ে একই গতি এগুচ্ছে। আর আমাকে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি....? আমি হ্যাঁ বলতেই, তিনি বললেন গাড়িটা একটু সাইড করে দাড়াঁন।

আমি খানিকটা অবাক, আবার কি হল? আমি মোটর সাইকেল থামালাম। তিনি ও থামালেন। তার মোটর সাইকেল থেকে নেমে অনেকটা আকস্মিক আমার দু হাত চেপে ধরে বলল, আপনি......আগে বলবেন না। এই ধরেন আপনার টাকা। ট্রাফিক পুলিশ বুঝতে পারেনি। বলেই তিনি পুনরায় মোটর নাইকেল নিয়ে চলে গেলেন।

আর ঘটনার আকস্মিকতায় আমি টাকা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলাম সার্জনের প্রস্থান !!!!!!

আমি জানি তুমি এই পত্র পড়তে পড়তে কান্ত। তাই আজ আর লিখছি না।

২৭ আগষ্ট, রাত ২টা ৫৫।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×