একটা ছিল ছোট্ট পরী । সে সারা দিন আপন মনে খেলা করতো ! কত শত গান গাইতো । নাচতো আপন মনে ! ফুলের বাগানে ঘুরে বেড়াতো !
প্রতিদিন বিকেল বেলা সেই ছোট্ট পরী তার বাবা-মার হাত ধরে ঘুরে বেড়াতো ! বাবা আর মা কে সে অনেক ভালবাসতো !
রাতে বাবাকে ছাড়া ঘুমাতোই না !
পরীর বাবা প্রতিদিন পরীকে গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতো !
একদিন পরীর বাবা পরীকে ছেড়ে অনেক দুরে চলে গেল ! পরী অনেক কাঁদলো ! কিন্তু পরীর বাবা আর ফিরে এল না !
পরীর মা অনেক বুঝালো ! কিন্তু পরী তবুও কাঁদতো !
আর আগের মত নাচতো না ! গাইতো না ! একা একাই থাকতো !
এই ভাবেই পরী আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলো !
একদিন হঠাৎ করে পরীর জীবনে এক ডায়নীর ছায়া পড়লো ! ডায়নী পরীর কত ক্ষতি করতে চাইতো কিন্তু পরীর কোন ক্ষতি করতে পারতো না ! তবুও ডায়নী টা পরীর পিছনে লেগেই থাকতো !
পরীর তখন আর একটু বড় ! দুর দেশে হাজির হল পড়া লেখার জন্য !
কত কিছু শিখতো ! কত কিছু জানতো ! আবার পরীর নিজের ভিতর নিজেকে ফিরে পেল !
আবার পরী গাইতে শুরু করলো । নাচতে শুরু করলো !
এমন একদিন পরী বনের ভিতর আপন মনে গাইছিল ! হঠাৎ করেই এক রাজকুমারের সাথে পরীর দেখা হয়ে গেল !
রাজকুমার অনেক দিন থেকে পরীর গান শুনে আসছিল লুকিয়ে লুকিয়ে !
প্রথম দেখা তেই পরীর প্রেমে পরেছে ! সব কিছুর ছেড়ে পরীর কাছে আসতে চাইলো সে !
পরীও সেই রাজকুমার কে ভালবাসলো !
কিন্তু সেই ডায়নী এখন পরীর পিছু ছাড়ে নি ! সেই ডায়নী রাজকুমার কে মন্ত্র দিয়ে তার সব স্মৃতি ভুলিয়ে দিল ! পরীর সব কথা রাজকুমারের মন থেকে হারিয়ে গেল !
পরী আবার একা হয়ে গেল ! পরী আবার একা একাই দিন কাটাতে লাগলো ! সব কিছু ভুলে থাকতে পরী নিজেই নিজের এক জন কাল্পনিক বন্ধু বানিয়ে নিল !
সেই কাল্পনিক বন্ধুর সাথেই পরীর দিন কাটতে লাগলো ! এতো কিছুর মাঝেও পরী গান গাইতো ! আপন মনে নাচতো ! আট নিজের কাল্পনিক বন্ধুর সাথে কথা বলতো ! এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছিল পরীর
আস্তে আস্তে পরীর গুনের কথা মানুষ জন জানতে শুরু করলো ! দুরদুরান্ত থেকে মনুষ আসতো পরীর সাথে কথা বলার জন্য ! পরীর কন্ঠের গান শোনার জন্য !
পরী কিন্তু কারো সাথে দেখা করতে পারতো না ! সেই ডায়নী যাবার আগে পরীকে মন্ত্র দিয়ে আটকে রেখে গিয়েছিল ! সেই মন্ত্রের তোড় সে একটা বোতলে ভরে নিয়ে গেল নিজের সাথে । নিজের গলায় ঝুলিয়ে !
পরী ঘরের পাশে একটা বড় বারান্দা ছিল কাঁচে ঘেরা ! পরীর যখন গান গাইতে ইচ্ছা করতো তখন বারান্দায় এসে গান গাইতো ! মানুষজন বারান্দার নিচে দাড়িয়ে গান শুনতো !
এমনই করে দুর দেশের আরেক সাধারন ছেলে আসলো পরীর গান শোনার জন্য ! সবাই যখন চল গেল গান শুনে সেই ছেলেটি তবুও বসে রইলো পরীকে দেখার জন্য ! পরীর কন্ঠ ঠিক তার বড় বোনের মত ! ছেলেটির বড় বোনও তাকে ঠিক এই ভাবেই গান শোনাতো !
ছেলেটির বড় বোন মারা গেছে অনেক দিন আগে !
সেই একবার পরীর সাথে দেখা করতে চাইলো !
কিন্তু পরী দেখা দিল না !
এভাবে যখন সাত দিন সাত রাত পার হল তখনও ছেলেটি সেই জায়গায় বসে রইলো !
তখন পরীর একটু মায়া হল !
প্রহরীকে বলে সে ছেলেটি কে নিজের প্রাসাদের ভিতর নিয়ে এল ! পরী পর্দায় আড়াল থেকেই দেখতে কে দেখতে লাগলো !
যখন ছেলেটি কে খাবার দেওয়া হল সে খেতে অস্বীকৃতি জানালো ! সে বলল যে সে পরী কে নিজের চোখে না দেখে কিছু খাবে না !
পরী কি করবে কিছুই ভেবে পেল না ! পরী বলল তার দেখা করতে হলে সেই ডায়নি বুড়িকে মেরে তার গলায় ঝুলানো লকেট নিয়ে আসতে হবে ! আর লকেটক টা আনতে হবে ঠিক তার জন্মদিনের চার দিনের মাথায় ! তা না হলে দেখা হবে না !
ছেলেটি তখনই বের হয়ে গেল ! কারন হাতে সময় ছিল খুব কম !
সাত দিন সাত রাত পার করে ছেলেটি সব থেকে উচু পাহারে গিয়ে হাজির হল যেখানে ডায়নী বুড়ি ছিল !
ডায়নি বুড়ির কে মেরে ছেলেটি বুড়ির গলার গলায় ঝুলনো বোতল নিয়ে আবার রওনা দিল পরীর প্রসাদের উদ্দেশ্য !
ঠিক ঠিক পরীর জন্মদিনের চার দিনের মাথায় হাজির হল পরীর রাজ প্রসাদের সামনে ! আজকে পরীর সাথে তার দেখা হবে ! বোতলে রভেতরে ধোঁয়া জাতীয় কিছু ছিল । ছেলেটি সেই ধোঁয়া প্রসাদের চারি পাশে ছিটিয়ে দিল ! মন্ত্র দুরে হয়ে গেল ! এখন পরী মুক্ত !
পরী কি এখন বের হবে ?
তার মত একজন সাধারন ছেলের সাথে দেখা করবে ! তবুও ছেলটি দারিয়েই রইলো !
এতো দিন পরে ছেলেটি তার হারানো কাউকে ফিরে পাবে ! এই আশায় ছেলেটি দাড়িয়ে রইলো !
আজ কি তার সাথে পরীর দেখা হবে ? ঐ তো সূর্য অস্ত যাচ্ছে । ঠিক তখন প্রাসাদের দরজা খুলে গেল ! এই তো বেড়িয় আসছে !
কেউ একজন বেড়িয়ে আসছে !
পরী আপুর জন্মদিনে ঢাকাতেই ছিলাম না ! কি করি !! একটু দেরী হয়ে গেল ।
যাক না !
আমি জানি পরী আপুর কাছে এটা কিছু মনেই হবে না !
একটু দেরীতে হলেও আপু তোমাকে জানাই শুভ জন্মদিন !!
ঠিক পরীর মতই যেন সুন্দর হয় তোমার জীবন !!
আলোচিত ব্লগ
কথাটা খুব দরকারী
কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।
টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।
ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।
যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ
অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার
বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন
মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি
এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)
কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন