মালয়েশিয়া বো'লে ! ...১৮
পুত্রাজায়ার কথা
পুত্রাজায়ার নামকরণ হয়েছে স্বাধীন মালয়েশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী টুংকু আবদুল রহমান পুত্রা'র নামানুসারে। জায়া শব্দটি মালয়ী ভাষায় এসেছে সংস্কৃত থেকে। সংস্কৃতে এর অর্থ বিজয় ( victory)। মালয়ী ভাষায় এটি মূলত: সাফল্য অর্থে ব্যবহৃত হয়।
মালয়েশিয়ার চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী টুন ডা:মাহাথির বিন মোহাম্মদ আশির দশকের শেষ দিকে কুয়ালা লামপুরের ক্রমবর্ধমান ব্যস্ত ও ভীড়াক্রান্ত হয়ে ওঠার বিষয়টি বিবেচনা করে প্রশাসনিক দপ্তর গুলো সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন। সে মোতাবেক তিনি চেয়েছেন কুয়ালা লামপুর শহর আর তার দক্ষিণে সে সময়ে নির্মানাধীন (বর্তমানে চালু) কুয়ালা লামপুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের মাঝামাঝি কোথাও এই প্রশাসনিক নগরীর কথা ভেবেছেন।
এলাকাটি সেলাঙ্গর রাজ্যের অন্তর্গত বলে কেন্দ্রীয় সরকার আর সেলাঙ্গর রাজ্য সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়। নতুন শহরের জন্য চাওয়া হয় ১১ হাজার ৩২০ একর (৪৬ বর্গকিলোমিটার) জমি। সে জন্য সেলাঙ্গর রাজ্য সরকারকে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকায় কেনা হয় সেলাঙ্গরের প্রাং বাসের এলাকায় ৪৬ বর্গ কিলোমিটার জমি।
১৯৯৫ সালের আগস্টে পুত্রাজায়ার নির্মান কাজ শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক সূচনা ১৯ অক্টোবর ১৯৯৫ তারিখে।
এই শহরের নির্মান পরিকল্পনা, ডিজাইন ও বাস্তবায়নের সব কাজ করেছেন মালয়েশীয় কোম্পানী। এই শহরে ব্যবহৃত প্রায় সমুদয় উপকরণ (৯০%) মালয়েশীয়। মাত্র ১০% বাইরে থেকে আনা।
শহরটি নির্মানে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮.১ বিলিয়ন ডলার (৫৬ হাজার কোটি টাকার বেশী)।
এই শহরকে গড়ে তোলার সময় দুটো মূলমন্ত্র স্থির করা হয়-শহরটি হবে বাগান আর বুদ্ধিবৃত্তির শহর। সে জন্য এই শহরের রয়েছে আরো দুটি নাম-Bandar Raya Taman (Garden City) এবং Bandar Raya Bistary (Intelligent City)। সে জন্য পুত্রাজায়ার ৩৮ শতাংশ এলাকা রাখা হয়েছে সবুজ বনে ছেয়ে। নগর পরিকল্পনায় যুক্ত করা হয়েছে অনেক ফাঁকা জায়গা আর বৃক্ষশোভিত প্রশস্ত রাস্তা। ল্যান্ডস্কেপকে যতোটা সম্ভব অবিকৃত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তার দুটি নমুনা দেখুন-
১৯৯৯ সালে ৩০০ কর্মকর্তাসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পুত্রাজায়ায় সরিয়ে নেয়া হয়। অন্যান্য মন্ত্রণালয়/দপ্তর পুত্রাজায়ায় আসে ২০০৫ সালে। ২০০১ সালের ১ ফেব্রুয়ারী পুত্রাজায়াকে সেলাঙ্গর রাজ্য থেকে আলাদা করে ফেডারেল টেরিটোরী ঘোষণা করা হয়। এটি মালয়েশিয়ার তৃতীয় ফেডারেল টেরিটোরী। বাকী দুটি হলো কুয়ালা লামপুর ও লাবুয়ান।
এই নগরীর শোভা বাড়িয়েছে সুন্দর প্রশস্ত রাস্তা-
আছে নানা রকম ফুলের বর্ণিল সমারোহ-
(চলবে)
ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক
বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন