শিরোনামাহীন
আধিভৌতিক অন্ধকারে দেশলাই জ্বালাই
সিগারেট খাই
মৃত্যু অতিক্রম করি
তারপর আর কিছু নাই
আগত অপরাহ্ন যেন বা সাগর
যেখানে পৃথিবী সমুজ্জ্বল পাহাড়
সমস্ত জ্ঞাত এবং অজ্ঞাত
সকল দৃশ্যমান অতি নিকটের
অথবা, ছোঁয়াহীন বহুদূরের...
সকলেই বিশ্রামে রত
কোথাও কোন ভগ্ন হৃদয় নাই
যারা চলে গেছে যাক
কে কাকে ভাবায় ভাবাক
আমার ভাবনা নাই।
আধিভৌতিক নাট্যশালা হতে রাত্রি ধাবিত হয়ে
দেয়ালে দেয়ালে বাঁধা পায়, ধাক্কা খায়...
আমি আবিষ্কার করি আমাকে একটি চোখের মধ্যিখানে
নিজেকে অনুসরণ করি বিপুল শূন্যতায়
আমি থামি, যেতে চাই
স্থবির হয়ে যাই
স্থবির হয়ে যাই।
কে কাকে কি বলে শুনি না
আমার কথাও কিছু বলি না
শুধু ভাবি,
পৃথিবীতে কোন মগজই মরে নাই।
মন্ত্র আওড়াই
সূর্য, চন্দ্র, ঘাস, আগুন, পানি, বাতাস
ইত্যাদি ইত্যাদি
আর অকল্পনীয় রং
স্বপ্নীল হাঁস...
বোকা ছেলে কি কি পেলে তাই ভেবে দেখ
পাওনি কি, দেখ দেখি
ফের কেন বলে?
ভালোবাসা টালোবাসা কিছু নাই রে-
বলে, এক উন্মাদ ছুটে যায় ভোঃ
সভ্যতা টলে ওঠে কি?
পিতামহদের রাত্রি খুঁজি
খুঁজি স্বেদ, রক্ত, অপবিত্র
যতকিছু আছে
আর উলুবনে মুক্তা ছড়াই।
মূলতঃ কিছুই হারায় না
সব ফিরে আসে
ভবিষ্যৎ ও অতীত বর্তমানে।
নিকতাত্মীয়ের অন্তেষ্টিক্রিয়া শেষে
বোধিপ্রাপ্ত হই
সহসাই বোঝা যায়
মৃত্যুর পরে মানুষ খোলস পাল্টায়
সাপ...
স্মৃতিকাতরতা
এ আর নতুন কি!
বরং পুরোনো কথাই বল
আলোচনা হোক
দীর্ঘ ভোলা অতীত।
গতিবিধি
কোথা থেকে কোথা আস তুমি
ফের কোথা যাও?
আমাকে জানাও।
বয়ে চলা এবং থমকে থাকা দিন
প্রেমের সাথে তার পুরনো পরিচয়
“আমি” থেকে বের হতে চাই
আমাকে বাঁচাও ভাই।