যাইহোক সময় সবসময় পরিবর্তনশিল, কামরুলের জীবনেও পরিবর্তন আসল। তার বন্ধু বান্ধবের অনেকেই কম্পিউটার কিনল, ফলে মাঝে মাঝে তার কম্পিউটারে হাত দেবার সুযোগ সৃষ্টি হলো, ফলে কম্পিউটারের গন্ডি পেড়িয়ে এবার সে ইন্টারনেটের দিকে মনোনিবেষ করল।
অনেকের কাছে বলতে শুনেছে, ইন্টারনেটের ভিতর নাকি বিশ্বটা ঢুকানো আছে। কাজেই এর রহস্য তার উদঘাটন করা চাই ই চাই। ফলে তার বন্ধুদের ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই শেয়ার করে ঘড়ে নেট আনল। এখন কামরুলের বাহিরে যাওয়া কমে গেল।
একজনের সাহায্য নিয়ে ইয়াহুতে একটা আইডি বানাল, সে জন্য যদিও তাকে যথেষ্ঠ কাঠ খরি পুরাতে হয়েছে। আরেকজনের সাহায্যে ইয়াহু চ্যাটরুমে আনাগুনা করেই সে বুঝতে পারল, না- আসলেই ইন্টারনেটের ভিতর আলাদা একটা বিশ্ব আছে। বেশ কিছুদিন কেটে গেল চ্যাটরুমে বিচরণ করে। এর মধ্যে সে একাধিক আইডি নিজেই বানিয়ে ফেলেছে এবং যথেষ্ট বন্ধুও হয়েছে তার। জিবনে মাঝে মাঝে সে এখন নতুন দিগন্ত দেখতে পায়। কখনো কখনো তাকে এখন মেয়ে সাজতে হয়। মেয়ে সেজে মেয়ে নামের আইডি দিয়ে চ্যাটকরলে যথেষ্ট সম্মান ও ভালবাসা পাওয়া যায়, তাই সে সূযোগটা হাত ছাড়া করতে পারল না।
কিন্তু কত দিন আর ভাল লাগে এই ইয়াহুতে, তাই ফেসবুকে চলে আসল। মাসাল্লাহ ফেসের অবসথা যাই থাকুক ফেসবুকে তার ছবির কোন কমতি থাকল না। এখানেও সেই একই অবস্থা, মেয়ে নিকের কদর বেশি। তাই সবরকমের কৌশল অবলম্বন করে অল্পদিনেই অসংখ বন্ধু বান্ধব বানিয়ে ফেলল। বেশ জমজমাটই ছিল কিছুদিন। কিন্তু কিছুদিন পরে সে আবিস্কার করতে পারল এ সব পুলাপানের কাজ। তাই অন্য কিছুর সন্ধানে নামল। টুইটারে ইংলিশ অত ভাল না থাকার কারণে জমল না।
এবার সে আবিস্কার করল ব্লগের বাংলা ব্লগের। কিন্তু কোন ব্লগেই ইয়াহু কিংবা ফেসবুকের মত লাখে লাখে দর্শক না পেয়ে মনটা খারাপ হলেও এক পর্যায় মনটা কিছুটা ঠান্ডা হলো সামুর দেখা পেয়ে। সামুতে চট করে একটা একাউন্ট করে নিল। ব্যাস এবার কামরুলকে পায় কে!!! সারাদিন ব্লগে ঘাপটি মেরে বসে থাকে আর কমেন্ট করে। কমেন্ট করে আর ফেৎনা সৃষ্টি করে। কখনো কখনো সে বাজে ভাষায় গালাগালি করতেও দ্বিধা করে না। ইয়াহুর চ্যাটরুমে ঢুকে যত গালি সে শুনেছে সব এখানকার ব্লগারদের ফিরিয়ে দেবে বলে পণ করল। এ ভাবেই চলতে থাকল কামরুলের গল্প।
বি.দ্র. এটি একটি সম্পুর্ন কাল্পনিক গল্প, কারো নামের সাথে কিংবা কারো চরিত্রের সথে মিলে গেলে আমি সম্পুর্ন ভাবে নির্দোষ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:০১