somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কামরুলের টেকো মাথায় টোকা ও একজন বাচাল ব্লগারের গল্প।

২৩ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই ত কিছুদিন আগেও কামরুলের নিকট কম্পিউটারের রহস্য উদঘাটন হয় নি। বয়স তার কুরি বাইস হলেও কম্পিউটারের মাউসে হাত রাখা হয় নি। তবে শিক্ষিত হওয়ার বরকতে কম্পিউটারের নাম কয়েকবার শুনেছে। তার থেকেও ব্যাকডেটের পোলাপাইনের নিকট কম্পিউটারের গুনাগুন বর্ণনা করতে গেলে নিজেকে বেশ মডার্ন মডার্ন মনে হয় কামরুলের নিকট। বড় ভাইদের চেয়ারের পেছনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মনিটরে চোখ রেখে রেখে সে কিন্তু নিজেই নিজেই আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছে যে, তীর চিহ্ন ব্যাবহার করেই কম্পিউটারের সমস্ত কাজ করতে হয়। কিন্তু ঐ তীর চিহ্নের সে কি নাম দিবে, বা আসলেই ওটার নাম কি সে দিকে তার মনোযোগ দেবার টাইম কোথায়? মূল কথা হচ্ছে কম্পিউটার বুঝা, এমনি ক্ম্পিউটার দর্শনে সে আপাতত বিশ্বাসি। এবার তার বুঝার চেষ্টা চলছে, ঐ প্রধান তীর চিহ্ন কিভাবে এদিক সেদিক নেয়া যায়, তার জন্য সে অনেক্ষন সময় নষ্ট করলেও বুঝতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কামরুলকে। প্রথমে কনফিউশন থাকলেও এবার সে ঠিকই শিউর হতে পেরেছে যে হাতের মাউস দিয়েই ঐ তীর চিহ্নকে উপরে নিচে নেয়া যায়। এই ভাবে সে একটা একটা করে একদিন কম্পিউটারের সব শিখবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

যাইহোক সময় সবসময় পরিবর্তনশিল, কামরুলের জীবনেও পরিবর্তন আসল। তার বন্ধু বান্ধবের অনেকেই কম্পিউটার কিনল, ফলে মাঝে মাঝে তার কম্পিউটারে হাত দেবার সুযোগ সৃষ্টি হলো, ফলে কম্পিউটারের গন্ডি পেড়িয়ে এবার সে ইন্টারনেটের দিকে মনোনিবেষ করল।

অনেকের কাছে বলতে শুনেছে, ইন্টারনেটের ভিতর নাকি বিশ্বটা ঢুকানো আছে। কাজেই এর রহস্য তার উদঘাটন করা চাই ই চাই। ফলে তার বন্ধুদের ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই শেয়ার করে ঘড়ে নেট আনল। এখন কামরুলের বাহিরে যাওয়া কমে গেল।

একজনের সাহায্য নিয়ে ইয়াহুতে একটা আইডি বানাল, সে জন্য যদিও তাকে যথেষ্ঠ কাঠ খরি পুরাতে হয়েছে। আরেকজনের সাহায্যে ইয়াহু চ্যাটরুমে আনাগুনা করেই সে বুঝতে পারল, না- আসলেই ইন্টারনেটের ভিতর আলাদা একটা বিশ্ব আছে। বেশ কিছুদিন কেটে গেল চ্যাটরুমে বিচরণ করে। এর মধ্যে সে একাধিক আইডি নিজেই বানিয়ে ফেলেছে এবং যথেষ্ট বন্ধুও হয়েছে তার। জিবনে মাঝে মাঝে সে এখন নতুন দিগন্ত দেখতে পায়। কখনো কখনো তাকে এখন মেয়ে সাজতে হয়। মেয়ে সেজে মেয়ে নামের আইডি দিয়ে চ্যাটকরলে যথেষ্ট সম্মান ও ভালবাসা পাওয়া যায়, তাই সে সূযোগটা হাত ছাড়া করতে পারল না।

কিন্তু কত দিন আর ভাল লাগে এই ইয়াহুতে, তাই ফেসবুকে চলে আসল। মাসাল্লাহ ফেসের অবসথা যাই থাকুক ফেসবুকে তার ছবির কোন কমতি থাকল না। এখানেও সেই একই অবস্থা, মেয়ে নিকের কদর বেশি। তাই সবরকমের কৌশল অবলম্বন করে অল্পদিনেই অসংখ বন্ধু বান্ধব বানিয়ে ফেলল। বেশ জমজমাটই ছিল কিছুদিন। কিন্তু কিছুদিন পরে সে আবিস্কার করতে পারল এ সব পুলাপানের কাজ। তাই অন্য কিছুর সন্ধানে নামল। টুইটারে ইংলিশ অত ভাল না থাকার কারণে জমল না।

এবার সে আবিস্কার করল ব্লগের বাংলা ব্লগের। কিন্তু কোন ব্লগেই ইয়াহু কিংবা ফেসবুকের মত লাখে লাখে দর্শক না পেয়ে মনটা খারাপ হলেও এক পর্যায় মনটা কিছুটা ঠান্ডা হলো সামুর দেখা পেয়ে। সামুতে চট করে একটা একাউন্ট করে নিল। ব্যাস এবার কামরুলকে পায় কে!!! সারাদিন ব্লগে ঘাপটি মেরে বসে থাকে আর কমেন্ট করে। কমেন্ট করে আর ফেৎনা সৃষ্টি করে। কখনো কখনো সে বাজে ভাষায় গালাগালি করতেও দ্বিধা করে না। ইয়াহুর চ্যাটরুমে ঢুকে যত গালি সে শুনেছে সব এখানকার ব্লগারদের ফিরিয়ে দেবে বলে পণ করল। এ ভাবেই চলতে থাকল কামরুলের গল্প।


বি.দ্র. এটি একটি সম্পুর্ন কাল্পনিক গল্প, কারো নামের সাথে কিংবা কারো চরিত্রের সথে মিলে গেলে আমি সম্পুর্ন ভাবে নির্দোষ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:০১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অলীক সুখ পর্ব ৪

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

ছবি নেট

শরীর থেকে হৃদয় কে বিচ্ছিন্ন করে দেখতে চেয়েছি
তুমি কোথায় বাস করো?
জানতে চেয়েছি বারবার
দেহে ,
না,
হৃদয়ে?
টের পাই
দুই জায়গাতে সমান উপস্থিতি তোমার।

তোমার শায়িত শরীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চলুন দেশকে কীভাবে দিতে হয় জেনে নেই!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

চলুন দেশকে কীভাবে দিতে হয় তা জেনে নেই৷ এবার আপনাদের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ঘটনা শেয়ার করবো৷ আমি কোরিয়ান অর্থনীতি পড়েছি৷ দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১৯৭০ সালের পর থেকে প্রায় আকাশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৮

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪


আজকের গল্প হেয়ার স্টাইল ও কাগজের মোবাইল।






সেদিন সন্ধ্যার আগে বাহিরে যাব, মেয়েও বায়না ধরল সেও যাবে। তাকে বললাম চুল বেধে আসো। সে ঝটপট সুন্দর পরিপাটি করে চুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×