somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগবিজেতা কান্নু করে (খোঁচা পোস্ট-৩)

২৩ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আচ্ছা আপনারা যদি এমন কোন ব্লগার দেখেন যে সামু কাপাচ্ছে। যে কোন ধরনের পরিস্থিতিই হোক না হোক না কেন জান বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ছে তাহলে তার সম্বন্ধে আপনাদের কি ধারনা হবে? বাস্তবিক জীবনেও নিঃশ্চই খুবই ঠান্ডা মাথার ধীর স্থীর কোন ব্যাক্তি। যদি বলি তা নয়। সে চরম সেন্টিমেন্টাল একজন পাবলিক। মেয়েদের সেন্টিমেন্টকেও যার সেন্টিমেন্ট হার মানায়। আবেগ নিয়ে মজা করে কথা বললেও সেটাকে সত্যি মনে করে ভেউ ভেউ করে কান্নু করে দিবে কোন ব্লগবিজেতা। বিশ্বাস করবেন কি আমার কথা?
লেটস স্টার্ট আওয়ার এ্যাডভেঞ্চার ম্যান………

আমার ভাল বন্ধু। সেটা আগেই বুঝতে হবে, কারন খুব ভাল বন্ধু না হলে কাউকে নিয়ে খোঁচা পোস্ট লেখা আমার কম্ম নয়। ফেসবুক এমনকি বাস্তবিক জীবনেও যাদের আমি ব্যাপক ভাল পাই তারা আমার খোঁচা খেয়ে ব্যতিব্যাস্ত থাকে। আমি ধীরে ধীরেই খেয়াল করলাম যে এই অসামান্য ব্লগবিজেতা ভয়াবহ রকম সেন্টিমেন্টাল। আমি নিজেই সেন্টিমেন্টাল এই নিয়ে আমার অনেক আফসোস আছে। কিন্তু এ দেখি দাদার বড় আব্বা!!! তো আমার প্রিয় বন্ধু এবং অসামান্য ব্লগ বিজেতাকে সময়ে অসময়ে ইমোশনালি ব্ল্যাক্মেল করা শুরু করে দিলাম। দুঃখের বিষয় বন্ধু আমার এতই সেন্টু যে ব্ল্যাক্মেক বুঝতে পারে না। শেষ মেষ যা করলাম তা এক কথায় অসাধারন। নিজের বুদ্ধি আর লজিক দেখে নিজেই তাজ্জব খেয়ে যাই। ব্লগ বিজেতা একটা আকাম করে বসে। তেমন মেজর কিছুই না কিন্তু আমি সেন্টুকে সুযোগ পেয়ে কচ্ছপের কামড় দেই। ভেবেছিলাম যত যাই হোক এযুগের পোলাপাইন সামলে নিবে। কিন্তু কোথায় কি? সকল সম্ভাবনা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ব্লগবিজেতা চরম ভাবে ট্র্যাপে পা ফেলল। নিচের স্ক্রিন শট গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন।





















ব্লগবিজেতার কান্নাকাটি অবলোকন করবার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
এক্ষেত্রে আমি একটা পন্থা অবলম্বন করি। ভেবে দেখলাম পোস্ট দেবার আগ পর্যন্ত ব্লগবিজেতা কে প্রেসারে রাখা দরকার তাই তার সাথে এমন ভাব নেয়া শুরু করলাম যেন আমি ভীষন থেকে ভীষনতর ক্ষ্যাপা। অথচ উপরের চ্যাট যতক্ষন চলেছিল ততক্ষন হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যাথা হয়ে গিয়েছিল। রাতের বেলা হো হো করে অট্টহাসি হাসার ফলে হয়ত পাশের বাড়ির কারো ঘুমও ভেঙ্গে দিয়াছিলাম। হাসার সময় পা চাপড়াতে চাপড়াতে হাতের তালু এবং পা উভয়ই লাল করে ফেলেছিলাম। ব্লগবিজেতা আমাকে ফোন করেছিল সরি বলবার জন্য, কিন্তু ফোনে কথা বললেই অট্টহাসি দিয়ে দিব এই কথা চিন্তা করে ফোন রিসিভ করিনি।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে ব্লগবিজেতা কি এমন কাজ করেছে যাতে এরকম এলাহী কান্ড। সবার অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি অপরাধের মাত্রাটা এত বেশি সামান্য ছিল যে তা যদি প্রকাশ করি তবে জাতীয় সুশীল সমাজের কাছে আমার প্রহৃত হওয়া অবশ্যম্ভাবি। আমি স্রেফ সেন্টিমেন্টের সুযোগ নিয়ে ইমোশনালী ব্ল্যাক্মেইল করে এই ভয়াবহ কুকাম টি সম্পন্ন করি।

শেষ মেষ আমার বন্ধুটিকে বলছি। বাঙ্গালির উন্নতি হয় না কেন জানিস? বাঙ্গালি অতি আবেগপ্রবন। আর তুই এই দুইদিনে আমাকে যত বার সরি বললি ধরে নে ওই সরি গুলো আমিই তোকে বলেছি। এই আকামটা করবার জন্যই তোর দূর্বলতার সুযোগে আমি ভাব মেরে ছিলাম আর বিভিন্ন ভাবে তোকে প্রেসারে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। সবই আমার ইবলিশি প্ল্যান এর অংশ। বিশ্বাস কর তোর সাথে যতবার চ্যাট করেছি আমার হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গিয়েছে। আমি আসলেই অনেক সরি দোস্ত। আমাকে ভুল বুঝিস না। আর মাফ করে দিস প্লিজ।

আরেকটা কথা। এত বেশি কান্নাকাটি করলে থাব্রামু।


বিঃদ্রঃ
১।ব্লগ বিজেতার নামে কেউ বাজে মন্তব্য করলে কমেন্ট ডিলিট মেরে দেয়া হবে নির্দিধায়, যেহেতু সে আমার খুবই ভাল ফ্রেন্ড
২। কোন আকারে ইঙ্গিতে বা সরাসরি বিজেতার নাম কমেন্টে উল্লেখ করা দেরী কমেন্ট মুছতে দেরী নাই। এক্ষেত্রে বাকশালী আচরন করা হবে (যদিও এখন পর্যন্ত ক্লিয়ার না জিনিসটা কি, সামু যেসব ব্লগার এটা বলে চিক্কুর পারে তারাও আসলে জিনিসটা কি জানে কিনা সন্দেহ)।



সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০১
৭৩টি মন্তব্য ৬৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×