ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে সাতক্ষীরায় রাত থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত আছে।
Published : 16 May 2013, 07:20 AM
সন্ধ্যার পর থেকে উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও পদ্মপুকুর এবং আশাশুনির কয়েকটি গ্রাম থেকে নয় হাজার মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জেলা শহরে বিদ্যুৎ থাকলেও আশাশুনি ও শ্যামনগর এলাকার উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো্ হাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে ইউএনওরা জানান।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তৌফিক ই এলাহী সাংবাদিকদের বলেন, রাতভর বৃষ্টির কারণে সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে কয়েকফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা ও পদ্মপুকুর গ্রাম থেকে ছয় হাজার মানুষকে সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলার প্রকল্প কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, উপজেলার আনুলিয়া, প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও খাজরা গ্রামের তিন হাজার মানুষ স্থানীয় সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। এরা মাটির ঘরে বসবাস করেন।
বুধবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করার পর তারা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, শুকনো খাবার, পরিধেয় বস্ত্র, খাবার পানি, মোমবাতি, উদ্ধারকারী নৌযান ও ওষুধপত্র ছাড়াও সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সব ধরনের নৌকা ও ট্রলারকে দূরবর্তী স্থান থেকে সরে এসে উপকূলের কাছাকাছি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
জেলায় ৮৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা সদরগুলোতে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
রেডক্রিসেন্টের উদ্ধারকারী টিম প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া সকল স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সুন্দরবনের গভীরে ঝুঁকিপূর্ণ টহল ফাঁড়ি পুস্পকাঠী ও নটাবেকিতে কর্মরত বনকর্মীদের বুধবার উপকূলে ফিরিয়ে আনা হয়।