এ বছরের স্বাধীনতা দিবস সত্যই এক অনবদ্য উপহার দিল, আমায় এবং আমার মত সহস্র বাঙালিদের যারা তসলিমার ভিসা অনুমোদনের আশায় দিন-রাত কোনও এক ভগবান, বা কোনও এক দেশ নায়কের কাছে প্রার্থনা করেছে।
আমি ধর্মহীন ব্যক্তি। মানুষ এবং মনুষত্ব যার কাছে প্রথম এবং শেষ কথা। আমার,তোমার,আপনার মতই, তসলিমার মত লেখকেরও আছে বাক স্বাধীনতার অধিকার। ব্যতিক্রম, প্রথম তিন জন ছাড়া, তৃতীয় জনের সে অধিকার বারে বারে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বা হচ্ছে। আজ ভাবতে ভাল লাগছে যে, আমার ভারত অন্তত এবছর একটা নিরপেক্ষ,বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি স্বাগত জানাই তসলিমার মত তীক্ষ্ণ-লেখনীর মানবতাবাদীকে,যার মসী শুধু বাংলাকে নয়, সারা বিশ্বকে চিনিয়েছে বাঙালি-নারীর প্রতিভা, তার বলিষ্ঠতা, ব্যক্তিত্ব, এবং নারী-স্বাধীনতার সহজ-সত্য-গদ্য।
ভারত যেন এই বলিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারে, যেন মাথা উঁচু করে বলতে পারে, তসলিমা শুধু বাঙলার নয়, সমগ্র ভারতের এক অনন্য সম্পদ।
আগামী ২৫শে আগষ্ট জন্মদিনের সকাল যেন এই নমস্য বাঙালির মুখে অখুন্ন রাখে তাঁর অম্লান হাসি।
"সহস্র বছর তুমি বেঁচে থাক তসলিমা, আর ততধিক বেঁচে থাকুক তোমার কলম।"