আল্লাহ্কে আল্লাহ্ বলতে নেই, বলুন 'ঈশ্বর'। আপনার কবিতা লিখবার জন্য কোরআন-হাদিসের ঐতিহ্য কোনও বিষয়বস্তু হতে নেই, কবিতার পঙ্ক্তিতে পূরাণ-গীতা-মহাভারত বা দেবদেবীর সসূত্র নামোল্লেখ আপনাকে প্রজ্ঞাবান কবিখ্যাতি এনে দেবে। নাস্তিকতা হলো কবির পাণ্ডিত্যের প্রতীক, এবং উজ্জ্বল অলঙ্কারস্বরূপ। ভালো কবি হতে হলে 'কোরআন'কে অর্থহীন গ্রন্থ, আর মহানবী (সঃ)-এর নামে ভর্ৎসনা বর্ষণ করতে হবে।
একজন মুসলমান-কবি যদি নামাজ ও ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ করতে পারেন এবং কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে কিছু জ্ঞান না রেখে অন্যান্যদের ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান লাভ করতে পারেন, তবেই তিনি উৎকৃষ্ট কবি ও বুদ্ধিজীবী হয়ে উঠতে পারেন।
আমাদের পূর্বসূরি মুসলমান কবিগণ নিজেদের 'মুসলমানত্বে' গর্বিত বোধ করতেন; আমাদের অধুনার কবিতায় ইসলামের গন্ধ পেলে কবির কবিত্বে সন্দিহান হই; একজন মুসলমান কবি তাঁর রচনায় নিজের 'মুসলমান' পরিচয়ে খুবই লজ্জা বোধ করেন। তাই তিনি 'আল্লাহ্' উচ্চারণে দ্বিধান্বিত, নবীরাসুলের নামোল্লেখে বিব্রত বোধ করেন।
আমাদের কিছু কিছু মুসলমান কবিদের দুর্দশায় আমাদের আফসোস করা ছাড়া আর কীইবা করার আছে, এই মুহূর্তে!!