somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশীদের পক্ষাঘাতগ্রস্ত দেশপ্রেম ও আরেকটি নিরব ফারাক্কা দিবস।

১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৬ মে ফারাক্কা দিবস। তো কী হইছে! বিজি আছি অন্য ইস্যু নিয়ে!!

১৬ মে ফারাক্কা দিবস। আর দশটা দিনের মতো এটাও ২৪ ঘণ্টার একটি সাধারণ দিবস। এ দিবসের উপর তেমন আলোকপাত করা হবে না কারণ এই দিবসটি বাংলাদেশের সমকালীন রাজনীতিতে কোন গুরুত্ব বহন করে না। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এই দিবসের পেছনে কোন ভৌগলিক ও ভূ-রাজনৈতিক আবহ নেই। নগন্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আমাদের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ভূমিকা খেয়াল করলে এ বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

সীমানার ওপারের বড়দাদা-র অঅঅনেনেনেককক পানি প্রয়োজন। তার বপু বিশাল – তাই পানি-পিপাসাও বেশী। কৃষি, সেচ, মৎস্য, নাব্যতা, পরিবেশ ইত্যাদি অনেক কিছুর প্রতি ওর সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি! তাই গায়ের জোরে বড়দাদা আমাদের প্রাকৃতিক পানি-সংস্থানকে থোরাই কেয়ার করল। বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে প্রবাহিতব্য পানিকে জোর করে ওরা নিয়ে গেল পরীক্ষামূলকভাবে “পাললিক পাপ” মোচনের জন্য। কূটবুদ্ধিতে পারদর্শী এই দুরাত্মা বড়দাদার এই পরীক্ষা শেষ হবে না কোন দিনদিন।
ক্ষমতার পালাবদলে আমাদের ভাগ্যে শুধু নতজানু সেবাদাসই জুটেছে। বিগত সরকারগুলো আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি তুলে ধরতেই পারেনি – কোন লিয়াজো বা লবিং তো দূরের কথা। অবশ্য আমাদের শীর্ষ-পর্যায়ে যারা আছেন তারা তো পানির কোন অভাব বোধ করেন নি! কাজেই কী দরকার বাপু দাদাকে বেজার করে!

পানি বন্টন চুক্তির বেশীর ভাগই ওদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। ওরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক আর আমরা ওদের বন্ধুত্বের দায় মেটাই সবটুকু দিয়ে! আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের আমলারা পানি বন্টন চুক্তির অধিকাংশ শর্ত, ধারা-উপধারার কিছুই বোঝেন না অথবা তাদের ভুল বোঝানো হয়। এসব চুক্তির ভাষাগত মারপ্যাঁচ বোঝার মতো বোদ্ধা আমাদের আছে কিনা সন্দেহ।

আমাদের প্রত্যেকের বাড়ি কোন না কোন নদীর পাশে। ১০ – ১৫ বছর আগের সাথে এখনকার নদীগুলোর চেহারা একটু মিলিয়ে দেখলেই বুঝবেই কী নিরব নদী-হত্যা চলছে। অথচ আমাদের কোন বিকার নেই। স্লো-মোশনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের কৃষি, মৎস্য, বনজ, শিল্প, নৌ পরিবহন, পানি সরবরাহ সর্বোপরি আমাদের জীবন। ১৬ কোটি মানুষের জীবনকে এভাবে বিপন্ন করা এক ধরণের নিরব জেনোসাইড ছাড়া আর কিছুই নয়। অভিন্ন সকল নদীর পানিপ্রবাহকে ওদের অনুকূলে নেবার সব প্রকল্প একের পর এক বাস্তবায়িত হচ্ছে।

অনৈক্যে ও তাবেদারীর সুযোগ নিয়ে ওরা বাংলাদেশের ন্যায্য প্রাপ্য পানি ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কেউ এর প্রতিবাদ করছি না! পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে মালদ্বীপ পানির তলায় তলিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ায় জমি ক্রয় করছে যাতে আগামীতে “গণ-অভিপ্রয়ান” করতে পারে। আগামী শতাব্দীতে হয়তো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মরুভূমি বাংলাদেশ থেকেও মানুষকে সরিয়ে নিতে হবে। তখন জায়গা পাওয়া যাবে তো? তিনদিকে ইন্ডিয়া – তাহলে বঙ্গোপসাগর ছাড়া আমাদের আর কোন যাবার জায়গা থাকবে না!

কোন প্রতিবাদ না করার জন্য আমাদের আগামী প্রজন্ম আমাদের অভিশাপ দেবে না তো?
ক্রমাগত তাবেদারীর জন্য আমাদের ক্ষমতাসীনরা আগামীতে ধিক্কার পাত্র হবে না তো?

নাকি আমরা শুধু বিধাতার বিচার চেয়ে নিরবে দিন গুজরান করব?

অথবা “প্রকৃতির প্রতিশোধ”-এর (backlash of nature) অপেক্ষায় বসে থাকব?

প্রকৃতির প্রতিশোধ কিন্তু পাত্র-মিত্র ভেদ জানে না!
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্যতার কলঙ্ক ইজরাইল

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

ইহুদিদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম তোরাহ। এটি ৫ টি পুস্তকের সমন্বয়ে গঠিত। ইহুদি এবং সকল একেশ্বরবাদীরা বিশ্বাস করে তোরাহ হচ্ছে প্রফেট Moses ( মুসা নবী ) এর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক থেকে ভালোবাসার পথে: আমার এবং মীমের গল্প

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ২:৩৭

## প্রথম অধ্যায়: অনলাইন থেকে অফলাইনে

ফেসবুকের পাতায় একটি সাধারণ দিন। আমি তখন নিউইয়র্কের ব্যস্ত শহরে বসে থাকি, চারপাশে মানুষের কোলাহল আর কাজের চাপ। হঠাৎ করেই ফেসবুকে একটি পোস্টে কমেন্ট করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে প্রায় প্রত্যেকেই স্ব স্ব স্হান থেকে সমস্যার সৃষ্টি করেন।

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩০ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮



শেখ সাহেব পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে ৩য় দিন ( ১/১২/১৯৭২) দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদটা তাজউদ্দিন সাহেব থেকে নিয়ে নিয়েছিলেন; ৯ মাস জেলের পর, উনার দরকার ছিলো কিছুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্যারিয়ার কথন: ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং এবং সর্তকতা।

লিখেছেন জাদিদ, ৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং, পেশা হিসাবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্মানজনক সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ায় অনেকেই এই পেশায় যুক্ত হয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এছাড়া বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে একজন মানুষকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ মনটা কেমন যেন অনেক কিছু চিন্তা করছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



সকালের মৃদু আলোয় মোড়ানো একটি মনোরম দৃশ্য ধরা পড়েছে এই ছবিতে। এটি একটি খোলা জায়গা, যেখানে সবুজের সমারোহ এবং প্রকৃতির ছোঁয়া স্পষ্ট। ছবির বাম দিকে গাছের সারি এবং ডান... ...বাকিটুকু পড়ুন

×