ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের কারণে গাছ ও ঘরচাপা পড়ে বরগুনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকশ কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে বহু গাছ।
Published : 16 May 2013, 12:21 PM
বামনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, জয়নগর এলাকার আনোয়ার হোসেন (৪২) ঘরচাপা পড়ে, লক্ষ্মীপুরা গ্রামের সন্তানসম্ভবা ঝুমুর আক্তার নাদিরা (২৫) আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আছড়ে পরে এবং একই এলাকার মোশাররফ হোসেন (৫৫) ঘরচাপা পড়ে মারা যান।
বেতাগী থানার ওসি বাবুল আখতার জানান, পূর্ব আলীপুর গ্রামের সৈয়দ আলী খান (৭৫) নামে এক ব্যক্তি গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন।
এছাড়া আমখোলা গ্রামে গাছচাপা পড়ে চাঁন মিয়া (৬০) নমে আরেকজনের মৃত্যু হয় বলে তালতলী থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান।
বেতাগী থানার ওসি বাবুল আখতার জানান, কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলীতে মারা গেছে আবির হোসেন নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশু। ঘরের ভেতরে থাকলেও বজ্রপাতে ‘আতঙ্কিত হয়ে’ শিশুটির মৃত্যু হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় মহাসেন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এরপর পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ঝরিয়ে দুপুরে মেঘনা মোহনা হয়ে নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড দিয়ে স্থলভাগে পৌঁছে ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ে।