somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডেস্টিনি নিয়ে সবার ই কাহিনি আসে, আমার একটা না দিলে ক্যামন হয়

১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের ব্লগে ডেসটিনি হল প্রধান আলোচ্য বিষয়, তাই ভাবলাম আমারো একটা কাহিনি শেয়ার করি।

ডেসটিনি সম্পর্কে আমি আগে থেকেই জানি, অনেকেই আমারে ফাদে ফেলার চেষ্টা করসে মাগার পারে নাই। কিছু দিন আগে, আমার এক ক্লাসমেট ( দেখতে ভোলা ভোলা ) ক্লাসের ফাকে আমাকে বলে যে আমি নেট এ কি করি। উল্লেখ্য আমি নেট থেকে উপার্জন করি, যাই হোক আমি বললাম যে নেট থেকে কিছু আয়-রোজগার করি। তো সে জানতে চাইলো ক্যাম্নে করি, আমি আবার আবাল পাব্লিকদের এসব বোঝাই না, তাই এরিয়ে গেলাম। কিছুক্ষন পর সে আমারে কয় যে সেউ নাকি একটা ব্যাবসা করতেসে যাতে ভালো টাকা পয়সা ইনকাম হয়। আমি জানতে চাইলাম কি ধরনের ব্যাবসা? সে বলে এডভারটাইসিং। ভাল কথা, আমি জানতে চাইলাম কিসের এডভারটাইসিং? সে আমারে খলা খুলি কিছু বলে না ( বলব ক্যাম্নে, বললে আগেই ধরা খেয়ে যাবে)। যা হোক সে আমারে কইল যে আমাকে নাকি সে নিয়ে যাবে সেখানে, আমার নাকি ভালো লাগবে। আমি ঘাপলা বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু ধরতে পারছিলাম না। তো কথা মতো আমারে একদিন বৃষ্টি ভেজা দিনে হাটাইয়া নিয়ে গেল জিগাতলার দিকে, অনেক গলি ঘুপচি দিয়া নিয়ে জাচ্ছে, আমি ভাব্লাম আমারে মার্ডার করবো নাকি :) , তাউ গেলাম সাহোস করে, কিছুক্ষন যাউয়ার পর দেখলাম অন্ধকার এক যায়গা ৬ তলা বাসা, একদম ৬ তলার ছাদে গিয়ে উঠলাম ( আমারে বইলা আনসিলো অফিস এ যাবে), আমি দেখলাম টিনের চাল দেয়া কয়েকটা ঘর, সেখানে কিছু চেয়ার আর টেবিল, কাগজপত্রের বালাই অ নাই। আমারে নিয়া বসাইলো, একটু পর এক পোলা আইলো , ইন করা টাই পরা, আমি তখনো বুঝতে পারতেসিলাম না কাহিনি কি, কারোন আমার মতো আরো কিছু বেকুব ওখানে ছিল, যাই হোক, তাই পরা পোলাডা আমার সাথে হ্যান্ডশেক করল, নাম পরিচয় বলল, তার পর হঠাৎ কইরা জিগাইলো " আচ্ছা আপনি বড় হয়ে কি হতে চান?" আচমকা এই টাইপের প্রশ্ন দেখে আমি ভরকে গেলাম, তার পর অনেক কাহিনি শোনাল, বিভিন্ন মনিষি, ব্যাবসায়ী, নেতা ইত্যাদি, আমি তখন কিছুটা ধরতে পারসি, আর আমার সাথে আমার যে ক্লাস মেট , সে আমারে উৎসাহ দিতে লাগ্লো, এর পর রীতিমত ডেস্টিনির পাব্লিকরা জা করে আর কি, কাগজে কলমে বঝালো ডাইন হাত, বাম হাত, পিএসডি, ডাইমন্ড আরো কত কি, আমাকে পথ দেখালো কিভাবে আমি ফ্ল্যাট, গাড়ীর মালিক হব অল্প দিনে। আমি এতক্ষন বিরক্তিকর কথা বাত্রা শোনার পর অই টাই পরা ছাগুর কাছে জানতে চাইলাম, আপনাদের কোম্পানির নাম কি? সহজে কইতে চায়না, আমিও ছারিনা, কইতেই হইবো, শেষ মেস কইল আমাদের এটা ডেস্টিনি - ২০০০, আমিও বুঝলাম।

যাই হোক আমাকে তারা তাদের প্রোডাক্ট সমর্কে কইল, কিসের জেনো তেল, ইন্ডিয়ার ফাউল ব্র্যান্ড ভিডিওকন । ও তার পর গাছ লাগানোর কথা কইলো, এখন একটা গাছ লাগালে ১২ বছর পরে নাকি আমি ২৫০০০ টাকা পাবো, ( শালারে চরাইতে ইছে করলো কথাটা সুইনা) ১২ বছর পর ২৫০০০ টাকার ভালু আর এখনকার ২৫০০০ তাকার ভালু সম্পর্কে জানতে চাইলাম, তারা পরিষ্কার এরিয়ে গেলো, যাই হোক, সে আমাকে বললো, তাদের নিয়ে লোকে অনেক কথা বলে, এসব ঠিক না, এসব লোকদের বানোয়াট হেনতেন। আমি তখন বললাম, আপনাদের গাছ নিয়ে তো মামলা হইসে, আপ্নারা বন দখল করে গাছ চুরি করসেন, এই কথা বলার পর সে বলে " আসলে কেউ ভালো কাজ করতে চাইলে তাকে বাধা দেবেই মানুষ, এসব কথায় আমরা কান দেই না" তার কাছে দেখলাম পেপার কাটিং ও আসে ( পাব্লিকরে বোকা বানানোর জন্য)

আমাকে তাদের ফিউচার প্রজেক্ট দেখালো, বড় বর ইন্ডাস্ট্রি তারা করবে, গাছ লাগাবে, বাংলাদেশ কে বদলে দেবে হেনতেন। শেষে এসে আসল কথা টা কইল, আমাকে নাকি ১৫০০০ টাকা দিয়ে গাছ না কি বাল কিনতে হবে, তারপর আমি ডেস্টিনির সদস্য বলে বিবেচিত হব, ( মনে চাইল সালাকে লাথি মারি সাথে আমার ক্লাস মেট তাকেউ) রাগ সংজম করে আমি শান্ত ভাবে বললাম এতা তো সম্ভব না। সব বোলচাল শেষে আমাকে বলে " তাহলে এখন সাইন আপ টা করে ফেলেন" আমারে জোর কইরাই সাইন আপ করাবো, আমি বললাম, না আমি করো না, আমি পরে ভেবে আপনাকে জানাবো, হেউ ছারেনা, বলে ' এখন সাইন-আপ করলে কিছু হবেনা, তাকা পরে দিলেউ হবে ( আমি মনে মনে কইলাম, টাকা তোমার পিছন দিয়া দিবো) কোনো মতে অখান থেকে সরে পরলাম, সাথে এলো আমার ক্লাস মেট টাউ, যাউয়ার পথে বার বার বলে, সাইন-আপ টা করে গেলে পারতা, শালা আমার হাতে ঘুশি খায় নাই সেদিন, বেচে গেসে।

২-৩ দিন আগে ক্লাস এ জিজ্ঞাস করলাম, তোমার ডেস্টিনির খবর কি? সে বলে " যাই না অনেক দিন, যেতে হবে দেখি" :P সেউ ধরা খাইসে, মুখ লজ্যার জন্যে আর আমারে কিছু কইতে পারলো না।

যাই হোক এই ডেস্টিনি নামটাউ নিতে ঘেন্না লাগে, শালাদের কাপর চপর খুলে রাস্তায় নামানো উচিত। বহুত মানুষের খুতি করসে শালারা, আর সব চেয়ে মজার ব্যাপার হলো, যারা ডেস্টিনি তে আছে, ৯৮% ফকিন্নির পোলাপান, কারন এরাই ডেস্টিনির জালে প্রথম ধরা দেয় টাকার জন্যে ( ফকিন্নিদের টাকার লোভ বেশি থাকে)

পোস্ট তা আপনাদের বোর করলে সরি, কিন্তু দেখলাম সবাই যখন তাদের কাহিনি লিখছে আমিও লিখি
১৮টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×