somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মসজিদে মহিলা জামাত; আরেক চরম শয়তানী এবং দলীল ভিত্তিক জওয়াব।

১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশে এবং বিদেশে কিছু মালানা, মুফতী নামধারী (মূলত: মূর্খ) তারা নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য সাধনসহ বাতিল মতবাদ প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় মহিলা জামাত জারি করছে , অথচ হযরত সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা এটা নিষেধ করেছেন। নিম্নে এ শয়তানীর দলীলভিত্তিক জওয়াব দেয়া হলো::::::::::::::---------------------

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে মহিলারা! তোমরা নিজ ঘরে অবস্থান কর, অর্থাৎ পর্দায় থাক।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, মহিলাদের জন্য নামাযের উত্তম স্থান হচ্ছে নিজ গৃহের গোপন প্রকোষ্ঠ।
শরীয়ত মহিলাদের জন্য যেরূপ জুমুয়া ও ঈদের নামায আবশ্যকীয় করেনি তদ্রূপ জুমুয়া, ঈদ, পাঁচ ওয়াক্ত ও তারাবীহ নামাযের জামায়াতে শরীক হওয়ার নির্দেশও দেয়নি।
বরং শরীয়তের ফায়ছালা হলো- মহিলাদের জন্য জুমুয়া, ঈদ, তারাবীহ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযসহ যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া আম ফতওয়া মতে মাকরূহ তাহরীমী বা হারাম; আর খাছ ফতওয়া মতে কুফরী।
ইমাম, মুজতাহিদগণ উনারা পর্দার গুরুত্ব, মহিলাদের ঘরে নামায পড়ার উৎসাহ ও ফযীলতপূর্ণ হাদীছ শরীফ ও হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিষেধাজ্ঞা ও হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার সমর্থনের দৃষ্টিতে ইজতিহাদ করতঃ আমভাবে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়াকে মাকরূহ তাহরীমী ফতওয়া দেন এবং উক্ত ফতওয়ার উপর উম্মতের ইজমা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে, বিশেষ করে হানাফী মাযহাবের ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের মধ্যে। যেমন এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়, “মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার ব্যাপারে উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
যেখানে বিশ্বের অসংখ্য ইমাম, মুজতাহিদ উনারা একমত হয়ে মহিলাদের মসজিদে যাওয়াকে নাজায়িয অর্থাৎ মাকরূহ তাহরীমী বলে ফতওয়া দিয়েছেন, সেখানে এর বিরোধিতা করে এটাকে জায়িয বলা কুফরী ছাড়া কিছুই নয়। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “কারো নিকট হিদায়েত বিকশিত হবার পর রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধাচরণ করবে, আর মু’মিনদের পথ রেখে ভিন্ন পথের অনুসরণ করবে, আমি তাকে সেদিকেই ফিরাবো যেদিকে সে ফিরেছে।”
শায়খ হযরত আহমদ ইবনে আবু সাঈদ মুল্লা জিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে উল্লেখ করেন- “এ আয়াত শরীফ-এ মু’মিনদের বিরোধিতাকে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অতএব, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ-এর মতো তাদের ইজমাও অকাট্য ও প্রামাণ্য দলীল বলে পরিগণিত হবে।” (নুরুল আনোয়ার)
আয়াত শরীফ ও তার তাফসীর দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, ইমাম-মুজতাহিদদের মতের বিরোধিতা করার অর্থ হলো, আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করা; যা সুস্পষ্টই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। আর এটাও জেনে রাখা দরকার যে- ইমাম, মুজতাহিদ উনারা যে ফতওয়া দিয়েছেন, তা কুরআন-সুন্নাহ’র বিপরীত নয় বরং কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক। কাজেই কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও কিয়াসের দৃষ্টিতে সঠিকভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের কোন মাসয়ালার বিরোধিতা করা (সেটা যে কোন মাযহাবেরই হোক না কেন) মূলতঃ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এরই বিরোধিতা করা। তাই খাছ ফতওয়া মতে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদ বা ঈদগাহে যাওয়া বা যাওয়াকে জায়িয বলা কুফরী।
মহিলাদের জন্য জামায়াতে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী বা নিষিদ্ধ হওয়ার উপর উম্মতের তথা ইমাম মুজতাহিদগণ উনাদের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং যুগ যুগ ধরে সারা বিশ্বে তা অনুসৃত হয়ে আসছে। ইজমা ও ক্বিয়াস যেহেতু কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই অন্তর্ভুক্ত ও সমর্থিত, সেহেতু উক্ত ইজমাকে অস্বীকার করা বা মু’মিনদের প্রচলিত পথের বিরোধিতা করা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর দৃষ্টিতে প্রকাশ্য কুফরী।
ইমাম-মুজতাহিদ উনারা যে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়াকে নিষেধ করেছেন তা প্রায় সকল নির্ভরযোগ্য কিতাবেই উল্লেখ আছে। যেমন- ওমদাতুল ক্বারী শরহে বোখারী ৫ম জিলদ ১৫৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “হিদায়ার লেখক বলেন, যুবতী মহিলাদের জামায়াতে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। তিনি আরো বলেন, জামায়াত বলতে এখানে (পাঁচ ওয়াক্তসহ) জুমুয়া, ঈদাইন, কুসূফ, ইস্তিস্কা ইত্যাদি সবই অন্তর্ভুক্ত। আমাদের ফকীহগণ বলেন- কেননা তাদের (মহিলাদের) জামায়াতের জন্য বের হওয়ায় ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে, আর ফিতনা হারামের অন্তর্ভুক্ত। আর যা হারাম কাজে সহায়তা করে তাও হারাম। এ কারণেই মাকরূহ তাহরীমীর দ্বারা মূলতঃ মহিলাদের জামায়াতে যাওয়া হারাম বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হওয়াই উদ্দেশ্য।”
ফায়জুল বারী শরহে বোখারী ২য় জিলদ ৩২২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “উলামায়ে মুতাআখখিরীন উনারা মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া নিষেধ বলে মত প্রকাশ করেন। কেননা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে মরফূ হিসেবে হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে যে, ‘মহিলাদের মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে ঘরে নামায পড়া সর্বোত্তম এবং ঘরের চেয়ে গোপন প্রকোষ্ঠ সর্বোত্তম।’ উপরোক্ত হাদীছ শরীফ-এর আলোকে শরীয়ত এই মতই ব্যক্ত করে যে, মহিলাগণ জামায়াতের জন্য মসজিদে যাবে না।”
হাদীছ শরীফ-এর কিতাব দাইলামী শরীফ-এ উল্লেখ আছে, “মহিলাদের জন্য মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে ঘরে নামায পড়ার মধ্যে ২৫গুণ বেশি ফযীলত।” সুবহানাল্লাহ!
মুমায়ারিফে মাদানিয়াহ, শরহে তিরমিযী ৮ম জিলদ ১০৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মহিলাদের ইসলামের প্রথম যুগে জামায়াতে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করার কারণ হলো বেদ্বীনদের সম্মুখে মুসলমানদের জনসংখ্যা ও জনশক্তি বৃদ্ধি করা। হযরত আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সে যুগ ফিতনা ফাসাদ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা একেবারেই বিপরীত। ‘বাদায়ের’ লেখক বলেন, যুবতী মহিলাদের (পাঁচ ওয়াক্তসহ) জুমুয়া, ঈদাইন ইত্যাদিতে যোগদান করার অনুমতি নেই। কেননা আল্লাহ পাক তিনি বলেন, ‘(হে মহিলাগণ) তোমরা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাক।’ এ ছাড়াও মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়ার মধ্যে ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে।”
মুলকথা হলো- হযরত ইমাম-মুজতাহিদ উনারা যদিও আমভাবে মহিলাদের জুমুয়া, ঈদ, তারাবীহ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাযসহ সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াতের জন্য বের হওয়াকে মাকরূহ তাহরীমী বা হারাম ফতওয়া দিয়েছেন কিন্তু খাছ ফতওয়া মতে তা কুফরী বলে সাব্যস্ত হয়। কারণ মহিলাদের জন্য জুমুয়া, ঈদ, তারাবীহ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাযসহ সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া বা যাওয়াকে জায়িয বলার অর্থ হলো- শরীয়ত অস্বীকার করা ও কুরআন শরীফ-এ বর্ণিত ‘উলিল আমর’ অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের বিরোধিতা করা। যা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তাই খাছ ফতওয়া মতে মহিলাদের জুমুয়া, ঈদ, তারাবীহ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাযসহ সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদে বা ঈদগাহে যাওয়া বা যাওয়াকে জায়িয বলা কুফরী।





কপি পেস্ট।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্টে যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×