somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহবু১৫৪
জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কোথিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।

বাংলাদেশ এর চাকরি আর বেকার সমস্যা (৪)

১৩ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




১ম পোস্ট

Click This Link


২য় পোস্ট

Click This Link


৩য় পোস্ট

Click This Link


দিন কে দিন অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে । আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন মাঝে মাঝে রাস্তায় মোটা মোটা বই নিয়ে কিছু যুবক ঘুড়তে থাকে । বই বিক্রীর আসায় । যত বেশি বিক্রি ততই লাভ এদের । রাত ৯ টাতেও এদের ঘুরতে দেখা যায়, বিভিন্ন কলেজ, ইউনিভার্সিটি সহ এসব জায়গায় । অথচ এসব এত খাটনির কাজ করার জন্য রাখা হয়েছে তারা বেশি ভাগ ছাত্র বা পরা শেষ করেছে । সম্মানি ও তেমন বেশি না । ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকার বেশি না।


আমার ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষক কয়েক মাস আগে এক মারাত্তক তথ্য দিলেন । যা সত্তি্ অবাক করা ব্যপার। উনি বললেন যে এখনকার রিকশাওয়ালাদের মাসিক আয় নাকি ১৫,০০০ টাকার মত!!! আমরা এটা শুনে খুবই অবাক হলাম । কিন্তু এটাই বাস্তবতা । যেখানে গ্রাডুয়েট পাশ করা কোন ছেলের বেতন মাসিক ৬,০০০ - ৮,০০০ এর উপর যায় না সেখানে ...............।


এই ব্যপারটা আরও ভাল ভাবে বুঝার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে ছিলাম। আসলেই কি এদের আয় এত?? একদিন রিকশা করে যাওয়ার সময় রিকশাওয়ালা মামাই কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলছিল তার মাসিক আয় ১৫,০০০ টাকার কাছাকাছি আবার মাঝে মাঝে ১৫,০০০ টাকার বেশিও হয়!!! তখনই নিশ্চিত হলাম আসলেই এতা সত্তি কথা ।


তাহলে চিন্তা করেন আমরা কই আছি !! আর একটা উদাহরণ দেই । ৫ - ১০ বছর আগে গাড়ির চালকদের বেতন খুব বেশি ছিল না । ৪০০০ টাকাতেই তারা মাস এর পর মাস বছর এর পর বছর চালায় দিত । কিন্তু এখন দেখেন...............। তাদের বেতন এখন ১০,০০০ টাকার এর কাছাকাছি । আসলে সময় এর সাথে সাথে টাকার মূল্য কমে যাচ্ছে । এটা মেনে নিতেই হচ্ছে ।




এবার আসি প্রতিষ্ঠান গুলর নানাবিধ শর্ত নিয়ে -

• ২ - ৪ বছর এর অভিজ্ঞতা (পদটা সাধারণ হলেও)
• কি কি দক্ষতা লাগবে সেটা থাকে
• স্নাতক / স্নাতকত্তর


আমার এরকম ই একটা প্রতিষ্ঠান এ সুযোগ হয়েছিল ইন্টারভিউ দেয়ার । খুব ভাল ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম । তারা আমাকে পরে জানাবে বলে সময় নিয়েছে । কিছুদিন পর তারা আমাকে ফোন এ জানাল যে আমি নিয়োগ পেতে পারি যদি মেট্রিক, ইন্টার আর স্নাতক এর আসল কাগজপএ তাদের কে জমা দেই আর ২ বছর এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হই। এটা শুনেই আমি চিন্তায় পরে গেলাম । কারণ সব কিছুই আমি তাদের মেনে নিয়েছি তারাও মেনে নিয়েছে কিন্তু এই একটা জায়গায় যেয়ে আমার পিছু হটা ছাড়া উপায় ছিল না । বলা বাহুল্য, আমার সাথে যারা যারা ইন্টারভিউ দিয়েছিল তাদের কেউই ওখানে জয়েন করে নাই ।


যাই হোক, আমি তাদের ফোন এ না করে দেয়ার পরও তারা আমাকে ২/৩ বার ফোন দিয়েছিল। আমি যাতে সেখানে চাকরি শুরু করি। কিন্তু ৩ বার ই আমি না করে দিয়েছিলাম । এভাবে অনেক সুযোগ আসার পরও কোন না কোন কারনে থেমে জেতে হত ।



আবার অনেক সময় শোনা যায় যেই প্রতিষ্ঠান এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সেখানে নাকি আগে থেকেই লো্ক ঠিক করা আছে । বিজ্ঞপ্তি দেয়া টা নাকি দেখান !!! তাহলে এতগুলা লোকের সাথে প্রতারনা করা হল না??? অবস্থা এখন ভয়াবহ হয়ে গিয়েছে । আবার কিছু দিন ধরে খুব শুনছি একটা কথা । ব্যাংক এ ঢুকতে গেলে নাকি পরীক্ষা দেয়াও লাগে না। হাই লেভেল এ লিঙ্ক থাকলে ঢোকা কোন ব্যপার না ।



অথচ বছর এর বছর ধরে যেই ছেলেরা বা মেয়েরা সমানে পরে আসছে ব্যাংক এর লিখিত পরিক্ষার জন্য তাদের কি হবে?? তারা তো শুধুই পরিক্ষা দিয়েই যাচ্ছে । আর যারা অন্য উপায়ে ধুকছে তাদের তো পরিক্ষা দেয়াও লাগছে না। সরকারী চাকরি গুলোতেও এই একই অবস্থা ।



আমার এক বড় ভাই বলেন যে একমাত্র সরকারি চাকরি অথবা ব্যাংক এর চাকরি ছাড়া দেশ এ আর কোন ভাল চাকরি নাই । যে গুলা আছে সে গুলা করার থেকে বাসায় বসে থাকা নাকি অনেক ভাল । তখন আমি তাকে বলি সরকারি চাকরি তে তো কম পয়সা । তখন সে বলে চাকরির নিরাপত্তাটা অন্তত আছে ।



মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন না হওয়াতে আমরা প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়ছি । এতো অনিয়মের কারনেই বেকার সমস্যা প্রকট এখন বাংলাদেশে ।



চলবে......
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×