বিদেশে বাংলাদেশীরা যায় কামলা দিয়ে টাকা কামাতে । সব গরীব দেশের মানুষই এটা করে। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক মানুষ আবার খুব খারাপ কাজ করে নিজের তো বটেই দেশেরও বদমান করে। এমন একটা গল্প বলি। তবে নাম বলব না।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয়- কোন এক জেলার এক লোক কুয়েতে যায় টাকা কামাতে । বছর কয়েক আগে সে শ্রীলংকার এক মহিলাকে খুন করে। বিচার চলতে থাকে । বিচারের রায়ে লোকটির মৃত্যুদন্ড হয়।
কুয়েতের আইনে মৃত্যুদন্ড হলে যদি দন্ডিত ব্যক্তি নিহত ব্যক্তির ওয়ারিশের সম্মতিক্রমে রক্তের দাম দিতে পারে তাহলে সরকার মৃত্যুদন্ড মওকুফ করতে পারে। এই সুযোগ এই ব্যক্তিরও এসেছে।
নিহত মহিলার স্বামী শ্রীলংকার বাসিন্দা তার স্ত্রীর রক্তের দাম দাবী করেছেন মাত্র ৩,০০০০০ শ্রীলংকান রুপী! (মনে রাখা দরকার ১১১ রুপী = ১ মার্কিন ডলার)। আমার খুব কষ্ট লাগল, একটি মানুষের জীবনের দাম মাত্র ৩ লাখ রুপী! তাছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত এই লোক ৩ লাখ রুপী হাতে পাবে বলে মনে হয় না। পাবে হয় তো দেড় থেকে দুই লাখ রুপী।
মানুষের জীবনের এমনই দাম।
পরিশেষে বাংলাদেশী ভাইদেরকে বলব, বিদেশে যান ভাল কথা। দেশের সুনাম আপনাদের হাতে। মারামারি,কাটাকাটি কেন করেন?
মানুষ তো বদনাম করে।