Aউপক্রমণিকা: পবিত্র কোরআন শরীফ আরবিতে Hypermetric Rhythm এ নাযিল হয়েছে।আরবির পরে বাংলা হল দ্বিতীয় ল্যাংগুয়েজ যেখানে কোরআন একই রকমভাবে ছন্দায়িত অনুবাদ হয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সর্বপ্রথম একে কাব্যিক ভঙিমায় অনুবাদ করার প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তার এই চেষ্টা বেশিদূর যেতে পারেনি, তিনি কেবল "আমপারা" টুকু অনুবাদ করতে পেরেছিলেন কিন্তু তা ছিল গুরুগম্ভীর, অলংকৃত ও দূর্বোধ্য। ২০০৬ সালে গবেষক পান্না চৌধুরী সম্পূর্ণ ৩০ পারা কুরআনকে ছন্দোবদ্ধ আকারে অনুবাদ করতে সক্ষম হন।

ডিসক্লেইমার: ছন্দোবদ্ধ অনুবাদ বলতে প্রতিটি লাইনের শেষ বর্ণের উচ্চারণের মিলটুকু বুঝানো হয়েছে। দয়া করে কেউ একে ছন্দের প্রকারভেদের মধ্যে ফেলতে যাবেন না, স্বরবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত নাকি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে পড়েছে সেই প্রশ্নও করবেন না। কি ধরনের অন্ত্যমিল রয়েছে সে প্রশ্ন করাও অবান্তর। ব্লগে অনেক কবি আছেন যারা এই অনুবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন। ইতিপূর্বে ব্লগার পাপতাড়ুয়া (প্রাক্তন পাপী০০৭) এর সাথে এই বিষয়ে ক্যাচাল হওয়ায় বিষয়টি আমি আগেই ক্লিয়ার করে দিলাম।

পর্ব: ১৫
সূরা: আল-বাইয়্যেনাহ্
অর্থ: সুস্পষ্ট প্রমাণ
সূরার ক্রম: ৯৮
পারা: ৩০
অবতীর্ণ: মদীনা
আয়াত সংখ্যা: ৮
রুকু: ১

শুরু করি তা্ঁর নামে আল্লা যিনি
পরম করুণাময় দয়ালু তিনি

আহলে কিতাব যারা আনেনি ঈমান
যতদিন আসেনি কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ
কুফরি ছাড়েনি যত মোশরেকগণ
আল্লার তরফ হতে রাসূল একজন
পবিত্র সহিফা পাঠ করিত তখন।
লিখিত ছিল তাতে সঠিক বিষয়
যখন তাদের উপর কিতাব দেয়া হয়
বিভিন্ন দলে তারা ভাগ হয়ে রয়।
অথচ পেল তারা এমনই আদেশ
ইবাদতে করিবে সবাই চিত্তনিবেশ,
ছালাত কায়েমে রবে নিবেদিত প্রাণ
সঠিক এই ধর্মসহ জাকাত প্রদান।
আহলে কিতাবী যারা কুফরি করে
দোযখে জ্বলিবে তারা চিরকাল ধরে।
তারাই সৃষ্টির মাঝে সবচেয়ে অধম
নেককারী মুমিন রহে সবার উত্তম।
প্রতিদান পাবে তারা প্রভুর কাছে
চিরকাল তাদের তরে জান্নাত আছে।
পাদদেশ দিয়ে যার ঝরণা বয়ে যায়
সবাই তারা চিরকাল থাকিবে সেথায়।
আল্লাকে সবাই তারা সন্তুষ্ট করে
তারাও খুশি আছে আল্লার উপরে,
কারণ তারা ভালো রয় প্রভুর ডরে।।

এমপিথ্রি ডাউনলোড করুন: এখান থেকে
পূর্ববর্তী পর্ব: View this link