যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পরদিনই সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে।
Published : 16 May 2013, 07:15 PM
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এরশাদ সরকারের প্রতিমন্ত্রী হবিগঞ্জের কায়সারকে বুধবার গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার রাতে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরসহ কয়েকটি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অসুস্থতার কারণে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে কায়সারের বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য হবিগঞ্জে কায়সার বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন এই ব্যক্তি।
এক সময়ের মুসলিম লীগ নেতা সৈয়দ কায়সার জিয়াউর রহমানের আমলে বিএনপিতে যোগ দেন। এইচ এম এরশাদের সময়ে তিনি কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
কায়সারকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানিয়ে বুধবার প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ট্রাইব্যুনালে বলেন, “যখনি আসামি কায়সারের বিরুদ্ধে তদন্তকাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তখনি সে ও তার পরিবার সাক্ষীদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদান করছে। এতে তদন্ত কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।”
কায়সারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদাতা অনেককেই এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কায়সারকে গ্রেপ্তার করার আবেদন করেন প্রসিকিউটর।
রানা দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, কায়সার যেন অন্য কোথাও পালিয়ে যেতে না পারেন, তা-ও তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন করার আরেকটি প্রধান কারণ।
তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা ট্রাইব্যুনালে বলেন, তদন্ত কাজ পরিচালনার পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তকাজ শেষ হয়ে যেতে পারে।
কায়সারের গ্রেপ্তারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, অভিযুক্তের পরিবার নানাভাবে তদন্ত কাজ প্রভাবিত করতে চাচ্ছে।
এরপর ট্রাইব্যুনাল-২ এর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, “প্রসিকিউশনের আবেদন বিবেচনা করে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সৈয়দ মো.কায়সারকে গ্রেপ্তার করতে দ্রুত পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হল।”