"লিভ এনাদার ডে
ক্লাইম্ব এ লিটল হাইয়ার
ফাইনড এনাদার রিজন টু ষ্টে
ইউ ওনট ফাইনড ইট হিয়ার
লুক এনাদার ওয়ে
সো ট্রাই এনাদার ডে....
গতকাল মধ্য দুপুরবেলা আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম শাহ বাগ জাতীয় যাদু ঘরের সামনে।চারিদিকে স্বচ্ছ কাঁচের মতো রোদ!একটা সিগারেট ধরিয়ে ভাবছি কোথায় যাবো?হঠাৎ দেখি রাস্তার ওপার থেকে একজন পুলিশ জীপগাড়ি থেকে নেমে আমাকে ডাকছে।আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখি আমাকেই ডাকছে।আমি বুঝতে পারলাম না আমাকে কেন ডাকছে!আমার নামে তো কোনো মামলা নেই।আমি পুলিশের ডাকে সাড়া না দিয়ে সিগারেট টেনে যাচ্ছি।প্রচন্ড রোদ কিন্তু বাতাস আছে।বাতাসে আমার চুল উড়ছে।
রাস্তা পার হয়ে দুজন পুলিশ এসে আমাকে ধরে নিয়ে গেল,তাদের জীপ গাড়ির সামনে।গাড়িতে বসে আছে দু'জন পুলিশ অফিসার আর একজন ম্যাজিস্ট্যাট।ম্যাজিস্ট্যাট আমায় খুব সুন্দর করে বললো (তখন আমার হাতের সিগারেট শেষের দিকে)- জনসমক্ষে ধুম পান করার জন্য আপনার ৫০ টাকা জরিমানা হয়েছে অন্যথায় ৭ দিনের জন্য কারাদন্ড।
আমি হাসতে হাসতে প্যাকেট থেকে ম্যানিব্যাগ বের করে ৫০ টাকা দিয়ে দিলাম।ম্যাজিস্ট্যাট আমার হাতে একটি রশিদ ধরিয়ে দিলো।
সরকার এই নিয়ম কবে করলো কে জানে !তারপর হিমির কথা ভাবতে ভাবতে আজিজ এ গেলাম।
সন্ধ্যায় আজিজ মার্কেট থেকে বের হয়ে সি.এন.জি নিলাম তাজমহল রোড যাবো মেজ চাচার বাসায়।খুব বৃষ্টি হচ্ছে আর সি.এন.জি চলছে।হঠাৎ দেখি একটা ম্যানিব্যাগ পড়ে আছে।ম্যানিব্যাগে ১৩ হাজার টাকা!টাকা গুলো ২ বার ভালো করে গুনে দেখলাম।১৩ হাজার টাকা'ই।২৬ টা ৫০০ টাকার নোট।আইডি দেখে বুঝলাম কার ম্যানিব্যাগ।(সংগত কারনে তার নাম আপনাদের জানালাম না।)আমি সাথে সাথেই তাকে ফোন করলাম কিন্তু আমার পরিচয় দিলাম না।
ভদ্রলোক কে ফোন করে বললাম-আমি আপনার ম্যানিব্যাগ পেয়েছি,আপনি কোথায় আছেন বলুন,আমি এখনি আসছি।
ভদ্রলোক আমাকে বিকট ভাবে বললেন-তুই কি হাজী মোহাম্মদ মহসিন?যা ভাগ !আমাকে আর ফোন করবি না।যা খুশি কর।বারে যা,ইয়াবা খা।খবরদার আমাকে আর ফোন করবি না,বলে ফোন কেটে দিলেন।
আমার খুব রাগ লাগলো।আমি তার ম্যানিব্যাগ ছুড়ে রাস্তায় ফেলে দিলাম।