somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই ঋণের বোঝা কেন বইবো আমরা ?

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ ৬ ই আগস্ট ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে ১০০ কোটি ডলারের বা প্রায় ৭০০০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ চুক্তি করা । বাংলাদেশ ঋণ নিয়মিতই নিয়ে থাকে । কিন্তু ভারত থেকে এই প্রথম । আমরা জানি যে ভারত ঋণ প্রদান করার মত এমন কোন উন্নত দেশ নয় । তবুও আমরা এই ঋণ পাচ্ছি । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বারাতে আমরা যা জানতে পারলাম তাতে এই ঋণের কোন সুফল বাংলাদেশ পাবে বলে মনে হয় না ।

এই পর্যন্ত এই ঋণ সম্পর্কে যা জানতে পারলাম তা হল -

১। ১০০ কোটি ডলারের ঋণ পাবে বাংলাদেশ ।

২। ঋণ দেবে ভারতের একটি বেসরকারি ব্যাংক ।

৩। ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ ।

৪। কমিটমেন্ট ফি (সুদের পাশাপাশি ঋণের জন্য দেয়া বাড়তি অর্থ) ধরা হয়েছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। যা ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে।

৫। ঋণের অর্থ ব্যয় হবে ১৪ টি প্রকল্পে ।

৬। সবগুলো প্রকল্পই আবকাঠাম উন্নয়ন সংক্রান্ত ।

৭। বাংলাদেশ কে কোন নগদ অর্থ প্রদাণ করা হবে না । যন্ত্রপাতি কিনা দেয়া হবে ।

৮। ভারত ট্রানজিট পেলে যে যে সড়ক ব্যাবহার করবে তার উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে ।

এখন আমারা কথা হল-

- ট্রানজিট -এর প্রয়োজন ভারতের , বাংলাদেশের নয় । বরং ট্রানজিট দেওয়ার ফলে বাংলাদেশ অযাচিত ভাবে ভারতের বেশ কয়েক টি বিদ্রোহী গ্রুপের টার্গেটে পরিনত হবে এবং এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষমতা বা প্রস্তুতি বাংলাদেশের নেই । এমনকি ভারত ও বাংলাদেশ কে এই ধরনের পরস্থিতি সামাল দেবার ক্ষেত্রে কোন সাহায্য করার কথা বলেনি । বাংলাদেশ সরকারও এই ধরনের কোন বিষয় আলোচনায় তুলে নি ।

তাই স্বাভাবিক ভাবেই গরজ টা ভারতেরই হওয়া কথা । তাদের গরজেই রাস্তাঘাট তাদের উপযোগী করার জন্য খরচ করার কথা ।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এই কাজ করবে । অর্থাৎ এই ঋণ বাংলাদেশের মানুষের ঘামে ভেজা অর্থে পরিশোধ করে হবে তা সুদ সহ ।

এতে কাদের সুবিধা হবে তা বুঝা যাচ্ছে না ।

বাংলাদেশের আয় যে ক্ষেত্র গুলো থেকে তার সিংহ ভাগ ই আসে গার্মেন্টস সেক্টর , বৈদেশিক আয় , কৃষি , এবং নানান ক্ষুদ্র শিল্প থেকে ।

এই প্রত্যেক টি ক্ষেত্রই বাংলাদেশের গরিব মানুশের কর্মস্থল । অর্থাৎ বাংলাদেশের গরিব মানুষের আয় ই বাংলাদেশের আয় ।

আমদের দেশে যে সব দেশি ও বিদেশি কম্পানী ব্যাবসা করে তারা ও সবাই কর ফাকি দেয় এবং ঋণ খেলাপী করে ।

সুতরাং দেশের গবিবরাই সরকার কে অর্থ যোগায় আর ধনীরা নানা ভাবে দেশকে ফাকিঁই দিয়ে যাচ্ছে এবং ঠকিয়েই যাচ্ছে ।

এই গরিবদের অনেক প্রয়োজনেই সরকার অর্থ নেই বলে খরচ করে না । আর তাদের টাকায় কেন ভারতের জন্য রাস্তা করা হবে তা বুঝতে পারছি না।

-এই ভারত সিমান্তে প্রতিদিন বাংলাদেশের মানুষদের মারছে বিনা কারনে।

- বাংলাদেশের গার্মেন্টেস শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রতিদন্ধী ভারত । এই ক্ষেত্রে ভারত কতটা হিংসা পরায়ন তা গার্মেন্টস মালিকদের জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে ।

- বিদেশে শ্রমিকদের বিভিন্ন ভাবে মিডল ইষ্ট থেকে উতখাত করার পেছনে ভারত কি কি করছে তা ও মিডিয়া ও অন্যান্য ভাবে আমরা জানি।

- বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের প্রধান আতংক ভারতের পন্য ।

- টিপাইমুখ বাঁধের ক্ষতিও বাংলাদেশকে বহন করতে হবে ভয়াবহ আকারে ।

-ভারতের অনৈতিক পানি শাসনের কারনে বাংলাদেশের হাজার কয়েক নদী মরে বাংলাদেশ কে মরুকরনের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে । যেখানে বাংলাদেশের অভ্যন্তিরীন বানিজ্যে যোগাযগের মূল মাধ্যম ই ছিল নদী সেখানে আজ অধিকাংশ নদীই বিলিন শুধু ভারতের কারনে আর যে কয় টি আছে সে গুলোও মৃত প্রায় ।

বাংলাদেশের এত ক্ষতি করার পর ও আমদের সরকার কোন কৃতজ্ঞতা থেকে এই ঋণের বোঝা বাংলাদেশের জনগনের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে তা আমি বুঝি না ।

আমরা জনগণ কেন এত বেহায়া ?

নাকি সরকার আমাদের নয় তাদের উপকারে ব্যাস্ত তা বুঝতে ও জানতে চাই।
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

**অপূরণীয় যোগাযোগ*

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৮ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১৯

তাদের সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল ৬ বছর আগে, হঠাৎ করেই। প্রথমে ছিল শুধু বন্ধুত্ব, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা গভীর হয়ে উঠেছিল। সে ডিভোর্সি ছিল, এবং তার জীবনের অনেক কষ্ট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি অজ্ঞ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫২


ভাবতে পারো
৮০ টুকরো হতে হয়;
ভাবতে পারো
জ্বলে পুড়ে মরতে হয়!
ভাবতে পারো
কতটুকু লোভ লালসা
থাকলে পরে
এমন হবে বলো দেখি;
ভাবতে পারো
কেমন জন্ম মৃত্যুর খেলা;
জানি আমি
তুমি কিছু ভাবতে পারবে না
কারণ তুমি অজ্ঞ
মৃত্যুর পরে একা... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×