somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন প্রবাসী, একটি লাল শাড়ি, একটি বিয়ের গোলাপী শাড়ী ও আমার প্রিয় ময়মনসিংহ শহর; বিয়ের শাড়ি ফেরত।

১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পোষ্টের শিরোনামটা এলোমেলো হয়ে গেলো নাকি?? না তেমন না প্রতিটা টপিক ই গুরুত্বপূর্ণ এবং গল্পটা টপিক অনুসারেই সাজানো হবে।
একজন প্রবাসীঃ বেকারত্বের অভিশাপে যাদের ৩ বছরের প্রেম-প্রণয় ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়, তারাই কেবল বোঝে জীবনে একটা মাস-মাইনের অন্ন সংগ্রহস্থানের প্রয়োজনীয়তা। চরম প্রিয়জনও তখন দু-চারটা কটু কথা শোনাতে বাদ থাকে না। কিন্তু নাবিলের ক্ষেত্রে বিষয়টা এতোটা জরুরী বা জটিল হওয়ার আগেই সামান্য একটা কর্মসংস্থান জুটেছিলো। কিন্তু সে তার ভবিষ্যত চিন্তা + প্রেমের বাস্তব রুপপ্রদানে অত্যাধিক শংকিত ছিলো। এই সামান্য অন্নসংস্থানের ব্যবস্থায় যে কোন বাবা খুশি হয়ে তার মেয়েকে নাবিলের ঘরকন্যা করতে পাঠাবে সেই ভরসাটুকু নাবিল পাচিছল না। তাই অপর পক্ষের পরোক্ষ প্ররোচনা নিজের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনে জুনিয়র ইন্জিনিয়ার এর অলংকৃত পদটা খালি করে দিয়ে প্রবাসে পাড়ি জমাতে উদ্ধত হয় নাবিল। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে হওয়াতে প্রথমে কেউ নাবিলকে প্রবাসে যেতে দিতে না চাইলেও পরে তার জেদের কাছে সবাই হার মানে। অবশেষে নাবিলের বিদেশ গমনের তারিখ পড়ে। যাওয়ার আগে নাবিল তার জানপাখির সাথে শেসবারের মতো দেখা করতে ময়মনসিংহ যায়। জানপাখির বাসা ময়মনসিংহের চড়পাড়ায় আর নাবিলের বাসা তার থেকে ৪০ কিমি দুরের এক থানা শহরে। সেইদিন নাবিল তার জানপাখিকে সাথে নিয়ে রিকশায় করে কৃষিভার্সিটির বিভিন্নস্থানে, বোটানিক্যাল গার্ডেনে এবং সবশেষে ব্রক্ষ্মপুত্রের বুকে নৌকায় একান্ত কিছু সময় কাটায়। তারপর প্রেয়সীকে তার বাসার কাছে রেখে সে চলে যায় তার বাড়িতে। নির্দিষ্ট সময়ে নাবিল উড়ে যায় তার গন্তব্যে। যাবার আগে প্রেয়সীর হাতদুটি ধরে বলে যায় সে যেন দুটি বছর অপেক্ষা করে। দুই বছর পর নাবিল দেশে ফিরে এসে বিয়ে করবে। জানপাখি কথা দেয় এবং আরও বলে মানুষ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ছুয়ে কথা দেয় আমি এমনিই দিলাম ফিরে এসে তুমি আমাকে পাবে। এবং এও বলে দেয় শুনেছি প্রবাসে অনেক ছেলে অনেক খারাপ কাজ করে, এমনি বিবাহ বা বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্কও করে। তুমি যেখানে যাচ্ছ সেটাতো নাকি শুনেছি এশিয়ার মধ্যে এই সবের জন্য স্বর্গ। কিন্তু আমার বিশ্বাস তুমি এসব করবে না। অপেক্ষা করবে আমার জন্য। নাবিল তাকে এসব করবে না বলে হাতদুটি ধরে আর একবুক বিশ্বাস নিয়ে দেশ ছাড়ে। এসব ঘটনার সাক্ষী জানপাখীর ক্লাশমেট সুমী। এই ঘটনাটুকু সুমির মেসে হয়েছিলো।
একটি লাল শাড়িঃ অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রবাসের দুইটি বছর কাটে নাবিলের। এরই মধ্যে জানপাখির মা বিষয়টি জেনে ফেলে কারণ মহিলা আগেই নাবিলকে খুব কাছ থেকে চিনত। অথবা জানপাখির কাজিন শোভন/মামুন হয়ত বিষয়টি জানপাখির মাকে বলে দিয়েছেলো। তারপর তার মা তাকে কিছুটা শাসনে নির্যাতনে রাখেন। জানপাখি কোন একটা বিশেষ কারণে পলিটেকনিকে একবছর পড়াশুনা করে তারপর পাশের একটা থানা শহরে বিএম কলেজে ভর্তি হয়। সেখানে সে থাকত তার কাকার বাসায়। কাকী/কাকার আড়ালে নাবিলের সাথে তার ফোনে কথা হতো প্রতিদিন। তারপরও কাকীর গোয়েন্দা চোখ ধরে ফেলে এইসব। ফলাফল মোবাইল হাতছাড়া। তিনমাস জানপাখির সাথে কোন যোগাযোগ নেই নাবিলের। এই তিনমাসের এক একটা দিন যেন নাবিলের কেটেছে যন্ত্রনাময় এক একটি প্রহর। প্রবাসের রুটিনবাধা জীবন নাবিলের কাছে বড়ই অসহ্যময় লাগে। অপেক্ষা করে কবে ছুটে যাবে তার প্রেয়সীর কাছে, কবে ধরবে তার দুটি হাত, কবে বুকে টেনে নিয়ে আদর করে দুটি আদর একে দেবে তার গালে ও ঠোটে। তার উপর আবার এখন যোগাযোগ নেই। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে যোগাযোগ স্থাপিত হয়। নাবিলের উদভ্রান্ত জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এবার সময় পেরিয়ে যায় দুই বছরের কাছাকাছি। নাবিল মার্কেটে যায় তার প্রেয়সীর জন্য শাড়ি কিনতে যেটা সে বিয়ের দিন পড়বে। খুব সাধারণ সিল্কের একটি লাল টুকটুকে শাড়ী কিনে নিয়ে আসে। তারপর দুইজনের সিদ্ধান্ত মত ভালো আবহাওয়াপূর্ণ সময়ে (পারিবারিক আবহাওয়া) নাবিল প্রবাস থেকে বাড়ি আসে। সেসময় জানপাখি ইন্টারপাশ করে আর এতে তার ফ্যামিলির আবহাওয়া ভালো থাকে। দুই একটা বিয়ের ঘর প্রতিমাসেই আসে কিন্তু সেগুলি নাবিল, তার বন্ধুরা বা জানপাখি বিভিন্ন পন্থায় ক্যানসেল করে। শেষমেস নাবিল ফিরে আসে দেশে। নাবিল যেদিন দেশে আসে তারপরদিন জানপাখি ছুটে আসে নাবিলের নিজ শহরে ৪০ কিমি দুরে। তারা সারাদিন নাবিলের কাজিনের বাসায় খুবই একান্ত সময় কাটায়। তারপর বিকেলে জানপাখিকে নিয়ে নাবিল তার বাড়িতে যায় এবং বাবা-মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। বাবা-মা তাকে খুব ভালোভাবেই গ্রহন করে। নাবিল জানপাখিকে অনেক কিছু গিফট দেয় এইদিন কিন্ত লাল শাড়িটা আর দেখায় না। তারপর নাবিল তাকে তার বাসায় পৌছে দিয়ে আসে।
বিয়ের শাড়ী গোলাপী এবং ময়মনসিংহ শহর: নাবিল ফিরে আসার পর সারা তার আম্মার কাছে নাবিলের ব্যাপারটা শেয়ার করে। আম্মা রাজি নয়। শেষপর্যন্ত মেয়ের জিদের কাছে হার মানে। সারার অনুরোধে তার বাবার কাছে নাবিলের ব্যাপারটা উথ্থাপন করে। তার বাবা মেয়েকে ডাকে। বাবা সরাসরি মেয়েকে জিজ্ঞেস করে নাবিলের কথা। মেয়েও বলে কিছু কিছু। বাবা অপ্রত্যাশিতভাবে মেয়ের পক্ষ নিয়ে মাকে বকা দেয় আর বলে আমার মেয়ে তো খারাপ কিছু করে নি। অন্যদের মতো সমাজে আমার মাথাও ছোট করেনি। একটা ছেলেকে তার ভালো লাগে, ভালোবাসে এটা আমাদেরকে জানিয়েছে। আমি খুশি যে তুমি সরাসরি জানিয়েছ। নাবিলকে বলো আমার সাথে দেখা করতে। তারপর মেয়ের পক্ষের ১০/১২ জন নাবিলকে তাদের বাড়িতে দেখে যায়। ফিরে গিয়ে সারার বাবা সারার মায়ের সাথে গল্প করে ছেলে খুব ভালো। যেমন লম্বা তেমন ফর্সা এবং স্বাস্থ্যও ভালো। আমাদের মেয়ের সাথে মানাবে বেশ। আর ছেলে-মেয়ে যা হবে না, একেবারে ইউরোপিয়ানদের মতো। সারার আম্মা বলে তুমি যে কি বলো, এখনো বিয়েরই খবর নেই আর তুসি আছো এখনই... পাগল একটা। এই কথা সারা আড়াল থেকে শুনে আবার নাবিলের সাথে শেয়ার করে। মেয়ের মা ও পড়শীদের সাথে হবু মেয়ের জামাই সম্পর্কে বিভিন্ন আলাপ আলোচনা করে। জামাই এই ভালো, সেই ভালো। হবু শ্বাশুড়ি জামাইয়ের জন্য একটা রুম সুন্দর করে নতুন ফার্ণিচার দিয়ে সাজিয়েছে।
এভাবে দুই ফ্যামিলিতে কথা-বার্তা আদান-প্রদান হয়। তারপর বিয়ের দিনক্ষন ঠিক হয়। বিয়ের আগের দিন মেয়েকে গায়ে হলুদ দিতে হবে। এতো দুরে গায়ে হলুদে যাওয়ার কেউ নেই। তাই ঠিক হয় গায়ে হলুদের জিনিসপত্র নাবিল কিনে দেবে। মেয়ের বাসায় মেয়ের খালা, আপুরাই হলুদ দেবে। নাবিল সকালে ময়মনসিংহ যায় এবং সারাকে নিয়ে রিকশায় সারাদিন ঘুরে। আগে যেখানে যেখানে তারা দেখা করত, গল্প করত উষ্ঞ আবেগ বিনিময় করতো সব জায়গা ঘুরে। কারণ এই দিনটাই তো বিয়ের আগের প্রেম করার শেষ দিন। তারপর তারা খন্দকার রেস্টুরেন্টে লাঞ্ছ করে। খন্দকার রেষ্টুরেন্টের মালিক মেয়েটার দুর সম্পর্কের কাকা হয়। কিন্তু এইদিন তিনিও না দেখার ভান করেন। তারপর নাবিল সারার জন্য জয় শাড়ি ঘর থেকে একদামে একটি বিয়ের শাড়ী কিনে গোলাপী রঙয়ের পছন্দটা সারারই। কারণ জয় যে সিল্কের শাড়ী এনেছে সেটা নাকি সাধারণ শাড়ী যেটা বিয়ের শাড়ী নয় এবং তা দেখে সারা আপু, মামীরা কথা তুলবে। সারার পায়ের মাপের জুতা খুজতে সব মার্কেট ঘুরে অবশেষে আল-মাসুদ থেকে ওভার সাইজ জুতা কেনা হয়। মুসলিম লেদার হাউস থেকে একটা ২০" লাগেজ কেনা হয় প্রেসিডেন্ট। এসব দেখে সারা তার হাতের ব্রেসলেট খুলে ৭৫০০.০০ টাকায় বিক্রি করে এবং নাবিলের জন্য ১টা শার্ট এবং বাকি টাকা নাবিলের হাতে দেয় তার পছন্দ মতো কিছু কেনার জন্য। নাবিল অনেক বার না করেছে, ধমকিয়েছে ব্রেসলেট বিক্রি না করার জন্য; কিন্তু সে শোনেনি। নাবিলের কাছে তখন ৩৮০০০.০০ টাকা ছিলো এসব কেনার জন্য। একটু পর সারার কাজিন লিজা আসে মুক্তাগাছা থেকে। তিনি আরও কিছু মেয়েলি জিনিসপত্র এবং গায়ে হলুদের জিনিসপত্র কিনেন। তারপর নাবিল তাদেরকে নিয়ে চড়পাড়ায় গিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের জন্য ৫ কেজি মিষ্টি কিনে সাথে দিয়ে দেয়। নাবিল শুধূ লাগেজ জুতা আর কিছু সাধারণ কাপড় সাথে নিয়ে বাকি সব দিয়ে দেয় সারাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। রাতে গায়ে হলুদ হয়। ভিডিও করা হয় সবকিছু। নাবিল একটু পর পর ফোন করে আপডেট নিচ্ছিল। কি একটু কথা নিয়ে যেন দুজনার মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। সারার বাবা ছুটে এসে সারার কাছ থেকে ফোন নিয়ে নাবিলের সাথে কথা বলে সব মিটিয়ে নেয়। বলে আমার মেয়েটা ছোট, তুমি কিছু মনে করো না। একটু জিদ বেশি। আমি তোমাকে খুব পছন্দ করেছে। আমি আশা করবো আমার মেয়েকে তুমি ভালো রাখবে।
তারিখটা ছিল ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০১০। রাতে শুরু হয় তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। এতোসবের পরও দুজন রাত বারোটা পর্যন্ত কথা বলে ঘুমাতে যায়। নাবিল বলে এখন ঘুমাও; আগামীকাল রাতে কিন্তু ঘুমাতে দেবো না। ওইদিক থেকে ভেসে আসে আর তো মাত্র একটা দিন দেখা যাবে তুমি কতটুকু পারো।
ভাঙলো বিয়ে এবং ফেরত আসলো বিয়ের শাড়ীঃ পরদিন সকাল হলো সারার বাড়ি ভর্তি হয়ে গেছে মেহমানে। নাবিলেরও বাড়ি ভর্তি মেহমান। আজ নাবিলের বিয়ে; ওইদিকে আজ সারার বিয়ে। সকালে সারার এক হুজুর কাকা এসে সারা আম্মাকে বকাবকি শুরু করেছে। বলে"কতো ভালো ঘর আনলাম মা-মেয়ে কানেই তুলল না। এখন একটা প্রবাসী ছেলের সাথে বিয়ে দিচ্ছে। তাও আবার প্রেমের বিয়ে। মা মেয়েটাকে দেখে রাখতে পারেনি। মা মেয়ের উপর চোখ রাখলে মেয়ে প্রেম করে কিভাবে? মা খারাপ তাই মেয়েও খারাপ।" উল্লেখ্য সারার এই কাকা একটু ধর্মভীরু লোক, নামাজ-কালাম পড়েন। (কাকার এই বিষয়টা আমি আগে জানতাম না। বিয়ে ভাঙ্গার অনেকদিন পরে যখন সারার সাথে আবার আমার দেখা হয় তখন জানতে পারি কেন বিয়েটা ভেঙ্গেছিলো) এসব শুনে সারা শুরু করে কান্নাকাটি শুরু করে। তারপর নাবিলকে ফোন দিয়ে বলে,
সারা: এই বিয়ে হবে না। বিয়ে বন্ধ করেন।
নাবিল: কেন হবে না বলো তো!!!
সারা: বলে আমি বলতে পারবো না। এই বিয়ে হবে না।
নাবিল: ৫ বছর প্রেম করে অনেক কষ্ট করে যখন দুজনের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিচ্ছে তখন তুমি এসব কি বলছো!!!!
সারা: আমি বললাম আপনাকে এই বিয়ে হবে না। আপনি দুপুরে আসবেন না।
নাবিল: আচ্ছা ঠিক আছে আসবো না। কিন্তু আমাকে বলো কি হয়েছে। আমি দেখি কিছু করতে পারি কিনা। যদি সমাধান করতে পারি তাহলে তো আর তোমাকে কাদতে হবে না। বলো কি হয়েছে।
সারা: আমি বলতে পারবো না; আপনি আর ফোন করবেন না।
নাবিল: (এই কথা শুনে নাবিল ও শক্ত হয়) আচ্ছা আমি আসবোনা, ফোন করবো না। তোমার বাড়ি ভর্তি মেহমান আমারও। তুমি এভাবে আমাকে অপমান করতে পারো না। আর যে বিয়ে গার্জিয়ানদের মাধ্যমে ঠিক হয়েছে তা তুমি এভাবে ভাঙতে পারো না। আমি তোমার কথা বিশ্বাস করি না। তুমি তোমার বাবাকে আমার বাবার কাছে ফোন দিতে বলো এবং তাকে বলতে বলো। (নাবিলের বিশ্বাস ছিলো যে অন্তত সারার বাবা এই কাজটি করবেন না এবং তিনি ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি ম্যানেজ করবেন।)
একটু পর সারার বাবা নাবিলের বাবাকে ফোন দিয়ে বলে, ভাই আপনাদের সাথে যে সম্পর্ক হতে যাচ্ছিল তা আর সম্ভব নয়। আমার এখন রাজি হচ্ছে না। আমার মেয়ে রাজি না থাকলে তো আর জোর করে এই বিয়ে দিতে পারি না।
তারপর বিয়ে বন্ধ হয়ে গেলো। তিনদিন পর বিয়ের শাড়ী আর গায়ে হলুদের শাড়ী মেয়ের পক্ষের এক লোক দিয়ে যায় নাবিলের চাচাতো ভাইয়ের দোকানে।

অনেককিছু সংক্ষেপ করা হয়েছে। বিস্তারিত লিখতে গেলে দেবদাস-১, দেবদাস-২, দেবদাস-৩, দেবদাস-৪ হয়েও কাহিনী শেষ হবে না। আগামীতে আর একটা পর্ব লিখবো ফেরত দেয়া শাড়ী, নাবিলের বিয়ে আর সারার সাথে দেখা। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১০
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×