বিশ্বসেরা ছোটগল্পকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়ান দিবস হিসেবে তাঁরই লেখা থেকে তোলা খুবই অল্পকিছু মনিমুক্তো নিয়ে সাজানো মালার বিনম্র প্রয়াস-
বাল্যবিধবা: যেন শরতের শিশিরাপ্লূত শেফালির মতো বৃন্তচ্যূত; কোন বাসরঘরের ফুলশয্যার জন্য সে নহে, সে কেবল দেবপূজার জন্যই উৎসর্গ করা।
প্রেমপত্র লেখার পটভূমি: ভালবাসার মধ্যে ..একটি কাতর সংকোচ।বিনা সাক্ষাৎকারে চিত্ত আকর্ষনের এই এক উপায়।
কবিতা লেখার ঝোঁক: কবিতা যেন বৃদ্ধবয়সের দ্বিতীয় স্ত্রীর মতো..।
ভাল লেখা পাঠ পরবর্তী অনুভূতি: 'ঠিক এই কথাই আমি বলিতে চাই, কিন্তু বলিতে পারি না। অথচ .. এসব ভাব জোগায় কোথা হইতে।'
সত্য ও কল্পনা: সত্য নীরব, কল্পনাই মুখরা।সত্যঘটনা ভাবস্রোতকে পাথরের মতো চাপিয়া থাকে, কল্পনাই তাহার পথ মুক্ত করিয়া দেয়।
মনের বেগ: মনের বেগ পার্বতী নদীর মতো নিজের জন্মশিখরে আবদ্ধ হইয়া থাকিতে চাহে না।কোনো একটা উপায়ে বাহির হইবার চেষ্টা করে। অকৃতকার্য হইলে বক্ষের মধ্যে বেদনার সৃষ্টি করিতে থাকে।
একান্তজনের আত্মীয় সংগ: যাহাকে ভালবাসা যায় তাহার নিকটবর্তী আত্মীয়ের সংগ মধুর বোধ হয়।
হৃৎপিন্ড: হৃৎপিন্ডটা যদি লোহার বয়লার হইত তো এক চমকে ফাটিয়া যাইত।
***********
ওপরের সবই একটি ছোটগল্প থেকে নেয়া। গল্পটি........